কেন সিস্টেম নিয়ে লিখি না? (নিঝুম মজুমদারের লিখাটির প্রতি উত্তরে)

মঞ্জুর মোর্শেদ
Published : 9 March 2012, 06:11 PM
Updated : 9 March 2012, 06:11 PM

এই বিশ বছরে আমরা শুধু দুবার করে কসমেটিক সার্জারি করিয়েছি, দেহ যা ছিল অবিকল তাইই আছে। আপনি যে নামগুলো উচ্চারণ করেছেন এরা কি দেশের ক্ষতি রাজাকারের চেয়ে কোন অংশে কম করেছে? রাজাকাররা তো চিহ্নিত শত্রু, তদের সবাই ঘৃণা করে । তারা এই সুফিজমের উর্বর জমিতে ওহাবী, মওদুদীর দর্শন চালু করতে চায় । যেটা কোনভাবেই সম্ভব না।

আপনার লিখাটা ভাল লেগেছে। কিন্তু আমি এটাকে ইমোশনাল আউটবারসট ছাড়া আর কিই ই বা বলবো।এদের অনেকেইতো আপনার নিশ্ছিদ্র ভোটের গনতন্ত্রে বিজয়ী। কেন ভাই এই সিস্টেমটা নিয়ে লিখেন না। দুই নেত্রীই তো এদের অনুমোদন দিয়েছেন বা তাদের কাছে অসহায় থেকেছেন। গত কেয়ারটেকারের শেষ দিকে এম পি নমিনি হতে ছয়টা শর্ত চালু করার কথা ছিল। শিক্ষাগত যোগ্যতা থেকে শুরু করে ক্রিমিনাল রেকর্ড বা ঋণ খেলাপি,সদ্য বিদায়ী আমলাদের ব্যাপারে, নমিনেশন পেতে দল পরিবর্তন, পার্টি রাজনীতিতে নুন্যতম অভিজ্ঞতা (বছরের হিসেবে) সম্পত্তির হিসেব ইত্তাদি। দারুন একটা সুযোগ এসেছিলো, মওদুদ নামের একজন রাজাকার(দেশ দ্রোহী অর্থে) এসে সব ভণ্ডুল করে দিলো আর আওয়ামি লিগ নামের একটি রাজাকার বিরোধী দল সেটা অনুমোদন করলো। আমরা চেয়ে চেয়ে দেখলাম।

আপনার অনেক নাম সমেত লিখাটা পড়ে প্রাক্তন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরির কথা মনে পড়লো। বিদায়ী এক সাক্ষাতকারে উনি বলেছিলেন ভোট করে আপনারা শুধু নাম আর চেহারাটা বদলান, রাষ্ট্র যে পিলার গুলোর উপর দাড়িয়ে থাকে যেমন স্বাস্থ্য,শিক্ষাব্যবস্থা,পুলিশ প্রশাসন , বিচার বিভাগ যা তাই ই থাকে। (উনি বলতে পেরেছিলেন কারন উনি তখন আর দায়ীওে ছিলেন না।)
পৃথিবীর কোন সভ্য দেশে ডাক্তার রা এভাবে দোকান খুলে টাকার বিনিময়ে ফ্রী স্টাইল সাস্থ্য সেবা দেয় ? মামুলি জ্বর বা কাশি বা যেকোনো সমস্যায় আপনি চাইলেই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে পারবেন না। আপনাকে অবশ্যই সিস্টেম ফলো করতে হবে। (ব্রিটেন এ এন এইচ এস এর উদাহরন,অনেক দেশই তা অনুসরন করে )

ভোটের বাকি দু বছর। এখনই শুরু হয়েছে কেয়ারটেকার ব্যবস্থা নিয়ে কবচানি। শুরু করল আওয়ামী লিগ আর তাতে ব্যাস্ত বিএনপি ।কি দারুন খেলা। দেশে মনে হয় আর কোন ইস্যু নেই। মনে হচ্ছে দেশে বিদ্যুৎ এখন সারপ্লাস, তিস্তা আর পদ্মা দিয়ে আমরা আর হেঁটে পার হই না, নৌকা লাগে, মুদ্রাস্ফীতির ডবল ডিজিটের উন্মত্ত ষাঁড় টির শিং ধরে আমরা তাকে সিংগেল ডিজিটে নামিয়েছি,আর পূর্ব ভারত তো এখন প্রান এগ্রো , রহিম আফরোজ আর এনার্জি প্যাক এর অভয়ারণ্য, ভারত তার সাম্রাজ্যবাদী দৃষ্টি ভঙ্গি পালটে সকাল বিকাল হ্যান্ডশেক করে।

উলফা দের ধরিয়ে দিয়ে শেখ হাসিনা যে আন্তরিকতা দেখিয়েছেন, ভারত সরকারও পিছিয়ে থাকেনি। এগিয়ে এসেছে দারুন উদারতায়। ব্যাঘ্র সম্পদ রক্ষায় আমরা একসাথে কাজ করব বলে প্রতিজ্ঞা করেছি, দু দেশ মিলে কত আমুদেই না রবীন্দ্র জয়ন্তী করেছি।

দু বা তিন দিন আগে আমেরিকান রাষ্ট্রদূত খুব সম্ভব কুয়াকাটায় এক ভালোচনা অনুষ্ঠানে বলেছেন এবার খুব নিরপেক্ষ পরিবেশে সব দলের উপস্থিতিতেই ভোট হবে। আর দু'দল এতে সায় দিয়ে রাস্তায় নেমেছে। সাতই মার্চে বঙ্গবন্ধুর ভাষণের আবেগীয় অনুরণন এ না যেয়ে মাংশ পেশির প্রদর্শন দেখাল সরকারি দল। দিনটি হতে পারতো গানে কবিতায়,নৃত্যে বা পথনাট্যে। আরেক কুশিলব বিএনপি বা পিছিয়ে থাকবে কেন? ১২ই মার্চ ……