সিরিয়ায় জীবন রক্ষায় কাজ করছে ‘হোয়াইট হেলমেট’

শেখ সাদী মারজান
Published : 14 May 2018, 00:43 AM
Updated : 14 May 2018, 00:43 AM

পাঁচ বছর ধরে চলা রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে বিভিন্ন প্রকার অস্ত্রের আঘাতে প্রতিদিন প্রাণ হারাচ্ছে সিরিয়ার নিরীহ মানুষ। কখনও বোমা হামলা, কখনও রাসায়নিক হামলা, আবার কখনও রকেট লঞ্চারের হামলা গুড়িয়ে দিচ্ছে সাধের বসতি। এই যুদ্ধ পরিস্থিতিতে সাধারণ জনগণের নিরাপত্তা নিয়ে সরাসরি কাজ করছে এমন একটি সংগঠন 'হোয়াইট হেলমেট'। অফিসিয়াল নাম 'সিরিয়া সিভিল ডিফেন্স- এসসিডি'। তবে সাদা হেলমেট পরিহিত সদস্যদের কারণে সংগঠনটি 'হোয়াইট হেলমেট' নামেই সব মহলে পরিচিত।

সিরিয়ায় আহত শিশুদের উদ্ধারকাজে ব্যস্ত হোয়াইট হেলমেট সদস্যদের এই ছবিটি আল জাজিরায় এসেছে।

হোয়াইট হেলমেট একটি মানবিক, নিরস্ত্র ও নিরপেক্ষ সংগঠন। "যে একটি জীবন বাঁচাল, সে যেন গোটা মানবজাতিকে বাঁচাল"- কোরআনের এই আয়াতকে মটো বা উদ্দেশ্য হিসেবে নিয়ে কাজ করছে সংগঠনটি। যখন সিরিয়ার কোথাও বোমা হামলা হচ্ছে সবার আগে সেখানে ছুটে যাচ্ছে 'হোয়াইট হেলমেট'। তারা সিরিয়ার ধ্বংসস্তুপ থেকে জীবনবাজি রেখে মানুষকে উদ্ধার করছে। বিশেষ করে শিশুদের। অথচ কিছু পশ্চিমা মিডিয়া তাদের গায়ে জঙ্গিবাদের কলঙ্ক লাগানোর চেষ্টা করেছিল। অবশ্য তারা এ ক্ষেত্রে সফল হতে পারেনি।

হোয়াইট হেলমেট নিয়ে অপপ্রচারের এই ছবিটি ব্যবহার করেছে গার্ডিয়ান

তবে বিপরীত চিত্রও আছে। অপপ্রচারের বিপরীতে মানবতার কাজ চালিয়ে নেয়ার জন্য হোয়াইট হেলমেটকে আবার অনুদান দেয় কিছু পশ্চিমা দেশ। ২০১৬ সালে শান্তিতে নোবেলের জন্য মনোনীতও হয়েছিল হোয়াইট হেলমেট।

হোয়াইট হেলমেট দুই ধাপে কাজ করে। প্রথম ধাপে তারা করে উদ্ধারকাজ। এ ক্ষেত্রে তারা এ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রদান করে এবং অগ্নি নির্বাপন করে। দ্বিতীয় ধাপে তারা হেলমেট ক্যামেরা ও হ্যান্ডহেল্ড ক্যামেরার মাধ্যমে দেশের কোথায় কি হচ্ছে তার তথ্য রেকর্ড করে।

"যখন আমরা কারো জীবন বাঁচাতে চাই তখন আমরা একটুও চিন্তা করি না যে, সে আমাদের বন্ধু না শত্রু। আমরা উদ্বিগ্ন থাকি, আমাদের মনোযোগ থাকে তার জীবনের দিকে" বলেন, হোয়াইট হেলমেটের এক সদস্য আবিদ।

যাই হোক, হোয়াইট হেলমেট মানুষের জন্য কাজ করছে। সিরিয়ার নিরীহ মানুষের পাশে তারা সরাসরি আছে, জীবন বাজি রেখে দায়িত্বপালন করে যাচ্ছে। তাদের জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা আর শুভকামনা রইলো।