২০১৫ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচটিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১০৫ রানের বিশাল ও দুর্দান্ত জয় দিয়ে মিশন শুরু করল টিম বাংলাদেশ। দলের সবার অবদানের মাধ্যমে অর্জিত হল এই জয়। হাসল ১৬ কোটি মানুষ।
আরেকটি বিষয়, দর্শক গ্যালারী দেখে মনেই হয়নি খেলাটি বিদেশে হচ্ছে। মনে হচ্ছিল খেলাটি বাংলাদেশের কোন একটি স্টেডিয়ামে হচ্ছে। এত বাংলাদেশী বিদেশের মাটিতে গ্যালারীতে বসে এক সাথে খেলা দেখেছেন ও বিভিন্ন শ্লোগান দিয়ে মাশরাফি-সাকিব-রুবেলদের উৎসাহ দিচ্ছেন এটা মনে হয় এই প্রথম।
অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যম্পাসে গিয়ে দেখলাম বিজয় মিছিল। চায়ের দোকানে সবার মুখেই বিজয় হাসি।
তবে একটা বিষয় খেয়াল করলাম, বাংলাদেশের জয়ের বিষয়টির সাথে আজ সবচেয়ে বেশী ব্যবহার হয়েছে রুবেল ও হ্যাপী এই শব্দ দুটি।কারনটি আপনারা সবাই জানেন।
সবাই তার ফেজবুক ওয়ালে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন হ্যাপী শব্দটি ব্যবহার করে। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম এই নিয়ে প্রতিবেদনও প্রচার করছে। এমনকি বিবিসি বাংলায় 'বাংলাদেশের পেসার রুবেলের উইকেটে হ্যাপি সমর্থকরা' নামে একটি প্রতিবেদন করেছেন প্রিয় মুখ আহরার হোসেন ভাই।
তিনি লিখেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পেসার রুবেল হোসেন আজ বল হাতে একটার বেশী উইকেট পাননি। তারপরও আজ বাংলাদেশ আফগানিস্তান ম্যাচ জুড়ে ভক্তদের আলোচনায় রুবেল ছিলেন শীর্ষে।'
দ্বিতীয় ইনিংসের খেলা দেখছিলাম, তখন যতবার রুবেলের হাতে বল তুলে দিচ্ছিলেন অধিনায়ক, ততবারই টিভি কক্ষের দর্শক সমস্বরে 'হ্যাপি হ্যাপি' শ্লোগান তুলছিল। আর প্রথম বলে উইকেট শিকারের পর যে আওয়াজ হলো সেটাকে কানফাটা আওয়াজ বললে ভুল হবে না। শ্লোগান ছিল ওই 'হ্যাপি'।
আজকে এই বিশাল জয় উপহার দেয়ার জন্য টিম বাংলাদেশের সকল সদস্যকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি ও আগামী দিনের শুভ কামনা জানাচ্ছি এবং আগামী ম্যাচ গুলোর ফলাফল হ্যাপীময় করার জন্য রুবেলদের নিকট প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি।