মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, এমপি পুত্রকে আপনি রেহাই দেবেন না প্লিজ। মদ্যপান করে যে ছেলে রাত দু'টোয় মায়ের দুর্নীতির টাকায় কেনা প্রাডো গাড়িতে হৈহুল্লোড় করতে পারে, তাকে বাঁচাবেন না প্লিজ! আমরা সত্যিই আপনার কাছে ন্যায়বিচার চাই।
এমপি পিনু খানের ছেলে বখতিয়ার । শুধু এইটুকুতে সে মাফ পেয়ে যাবে, বলুন তো? কী করেনি সে? নারী লাঞ্ছনা থেকে শুরু করে নিজের মায়ের ক্ষমতার দাপট দেখানো, যখনতখন গুলি ছোঁড়া! এলাকাবাসী ভয়ে তটস্থ থেকেছে! আর কত? মানুষ খুনও কি তার বড় অপরাধের মধ্যে পড়ে না?
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, কাহিনী তো আপনার অজানা নয়। রাত দু'টায় মদ্যপান করে রাস্তায় জ্যামে পড়েছিল গাড়ি। মাথায় নাকি রাগ চাপে তার! এলোপাথারি গুলি করে রিকশাচালক এবং অটোরিকশা চালককে খুন করে। পেছনের বন্ধুরা যখন বলে 'কী করলি তুই?', সে বলে, 'আরে ব্যাপার না'!
মানুষ মৃত্যু তার কাছে ব্যাপার না! মা সংসদ সদস্য, জীবন উপভোগের! না খেতে পারা মানুষগুলোর মৃত্যু তার কাছে ব্যাপার হতে যাবে কেন? কিন্তু আপনার কাছে তো ব্যাপার , মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। এই খেটে খাওয়া মানুষগুলো আপনাকে ভোট দেয়, এদের ছাড়া আপনি একমুহূর্ত ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না! তাদের এই খুন হওয়াটা এতো সোজা দেখবেন না, দাবানল জ্বলতে সময় লাগে না। স্বীকারোক্তি এখনও দেয়নি রনি! দিয়েছে তার বন্ধু এবং ড্রাইভার। ব্যালাস্টিক পরীক্ষায় রিকশাচালকের বুকের গুলি আর রনির বন্দুকের গুলির মিল পাওয়া গেছে। সব প্রমাণ হাতেই আছে।
সবাই সব কিছু ভুলে যাবে সত্য! লিখতে লিখতে সাংবাদিকরাও ক্লান্ত হবে! আজ বড় বিচার হলেও, সেই ভুলে যাওয়ার সময়ের সুযোগে রনি যাতে বেরিয়ে না আসে। দেশের বাইরে না পাঠানো হয় তাকে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য! খুনি পুষবেন না, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। এই খুনিগুলো আপনার রাজনীতির ভালো দিকগুলো নষ্ট করে দেয় জানেন তো!
পিনু খানের অনেক আগেই সাবধান করা উচিত ছিল, তার লাই না পেলে তার ছেলে তার ক্ষমতার অপব্যবহার করতে পারে না। তাই মা হিসেবে সে ব্যর্থ। আপনার কাছে করজোড়ে মিনতি করছি, এই খুনের মামলায় যেন রনির মৃত্যুদণ্ড হয়। "ব্যাপার না" ব্যাপার যেন তারও ঘটে। অন্ধকারে যেন হারিয়ে না যায় এই মামলা। তাহলে জাতি আপনাকে কোনদিন ক্ষমা করবে না।