১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট ও ৩রা নভেম্বর জঘন্য হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে জাতি হয়েছে জাতীয় নেতৃত্ব শূন্য। ক্ষমতায় আসে সামরিক স্বৈরাচার জিয়াউর রহমান। ব্যক্তি জিয়া সৎ এবং সাধারন জীবনের অধিকারী হলেও ক্ষমতায় টিকে থাকতে রাজাকার, ৭৫-এর খুনি সহ সকল রাজনৈতিক উচ্ছিষ্টের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা দেয়, যা পরবর্তী সামরিক স্বৈরাচার হো মোঃ এরশাদ ক্ষমতায় টিকে থাকতে বাকি রাজনীতি জীবী , সামাজিক অপরাধী, রাজাকার এবং ৭৫এর খুনিদের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠিত হবার সুযোগ করে দেয়, সেখান থেকেই এদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় দুর্বৃত্তদের অবস্থান ক্রমেই শক্তিশালী হয়ে বর্তমানে রাজনীতি নষ্টভ্রষ্টদের ভাগ্য বদলের হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। সেই সামরিক শাসকদের ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য যে সকল নষ্ট- ভ্রষ্টদের রাজনীতি ও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অংশীদার করেছিল পরবর্তী গণতান্ত্রিক সরকার এসেও তাদের বিপক্ষে কোনরূপ ব্যবস্থা না নিয়ে বরং নতুন মাত্রা যুক্ত করে যার নাম আত্মীয়তা ও আঞ্চলিকতা ।ইতিমধ্যেই আমরা দেখতে পাচ্ছি রাষ্ট্রীয় প্রশাসনকে ব্যবহার এবং প্রশাসনের বিভিন্ন পদে পদায়ন, নিয়োগেও আত্মীয়তা আঞ্চলিকতা এবং ঘুষ নামক আরেক অসুস্থতা যুক্ত হয়েছে দুই বড় দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ইচ্ছা অনিচ্ছায় ।তাই আজ আমাদের আবার প্রতিবাদ করার, প্রতিরোধ গড়ে তোলার সময় এসেছে কেননা এই দেশ গোপালগঞ্জ ,কিশোরগঞ্জ –নোয়াখালী বগুড়া নিয়েই নয় বরং ৬৪ জেলার ১৬ কোটি মানুষের । আসুন আমরা যারা গোপালগঞ্জ কিশোরগঞ্জ নোয়াখালী বগুড়ার বাইরের জেলার তারা ঐক্যবদ্ধ হই বর্তমান দলীয়,আঞ্চলিক ও আত্মীয়তা প্রাধান্যের রাজনীতির বিপক্ষে ।
আওয়াজ তুলি ——
"" দলীয় ,আঞ্চলিক বা আত্মীয়তা নয়
যোগ্যতাই হবে নাগরিক অধিকারের একমাত্র মানদণ্ড ।।।""