আইনের অপব্যবহার; নারীর উদ্ধতপনা- নিভৃতে নির্যাতিত হয় অনেক পুরুষ

মাসুম আহম্মেদ
Published : 21 May 2012, 06:01 PM
Updated : 21 May 2012, 06:01 PM

বিজ্ঞানের অগ্রগতি আজ বাড়িয়েছে দানবতা ,আর আমরা হারাচ্ছি মানবতা। মুক্তবাজার অর্থনীতি আজ আমাদের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনকে ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করে চলেছে প্রতিনিয়ত ।এমন এক বাস্তবতায় একজন দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে আমার মনে হয়েছে নিন্মোক্ত দাবী আজ সময়ের ।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন পরিবর্তন চাই । নয়ত উদ্যত ,ধর্মীয় মূল্যবোধহীন ,বৈষয়িক ও উচ্চবিলাসী নারীদের জন্য আজ অসংখ্য পুরুষ নির্যাতনের হাতিয়ারে পরিণত হয়ে চলছে এ আইনটির অপপ্রয়োগ দ্বারা । এ অবস্থার অবসান না হলে আমাদের কঠিন মুল্য দিতে হবে ।স্বামীর নির্যাতনে স্ত্রীরা নির্যাতিত হয় -এ ধারনা হয়ত সত্য এবং সেটা প্রতিরোধে ,নারীদের মর্যাদা রক্ষার জন্য সৃষ্টি হয়েছে বিভিন্ন আইন ।আজকের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ -এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ।আমি এই আইনটির বিরোধী নই ,এর বিপরীত কোন আইন প্রণয়নের দাবিও জানাচ্ছি না ।দাবী জানাচ্ছি আইনটির অপপ্রয়োগ রোধে এর প্রায়োগিক পদ্ধতির কিছু পরিবর্তনের। কেননা এই আইনের মামলায় গ্রেফতারের পর তিন মাস জামিন না দিয়ে আটক রাখার অংশটুকু বৈষম্য মূলক এবং ৯৯% পুরুষ নীরবে সহ্য করতে বাধ্য হয় স্ত্রীর নির্যাতন -সন্তানের ভবিষ্যৎ ,নিজের সামাজিক মর্যাদা রক্ষা ও জেল পুলিশ ভীতির কারনে ।এর মধ্যে যারা প্রতিবাদ করে, সে সকল সংসারে পারিবারিক অশান্তি নিত্য সঙ্গী ,আর সেই পরিবারে জন্ম নেয়া শিশুগুলোর মধ্যে এর প্রভাব পড়ে সৃষ্টি হয় -ক্ষুদে প্রতিবাদী। এ প্রতিবাদী শিশুদের একটি বড় অংশ জড়িয়ে পড়ে নেশা এবং নেশাগ্রস্ততার পর তারা নিপতিত হয় অনিশ্চিত গন্তব্যে ।অথচ সংসার করার লক্ষ্যই সু-সন্তান সৃষ্টি ।

মেয়েদের প্রধান অস্ত্র তারা নারী এবং কারন ছাড়াই তাদের প্রয়োজন মত চোখের ফেলা জল ।এ অবস্থার জন্য শুধু মাত্র এ আইনটি দায়ী তা বলছি না ,এর জন্য দায়ী আইনটির বৈষম্য মূলক প্রয়োগ প্রক্রিয়া ।বিচার প্রার্থীর বিচার পাবার অধিকার যেমন আছে ,ঠিক বিচারটিও বাদী বিবাদীর সমান সুযোগের ভিত্তিতে হওয়া উচিত ।আইনের দৃষ্টিতে কোন ভাল কাজও খারাপ পথ দিয়ে সম্পাদন করলে সে কাজটি আর ভাল থাকতে পারে না ।ঠিক বিচারও আমার মতে একই রকম ।নারী -পুরুষ ,ধর্ম -বর্ণ ও লিঙ্গকে ভিন্ন মর্যাদায় দেখতে আমাদের সংবিধান স্বীকৃতি দেয়নি ।সুতরাং আইনটির অপপ্রয়োগ রোধের লক্ষ্যে -বিচারের নামে একতরফা ভাবে পুরুষকে আটকিয়ে রাখা সংবিধান স্বীকৃত মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী । অতএব আমাদের বর্তমান বাস্তবতায় এই আইনটির প্রায়োগিক দিকসহ ন্যায় বিচার সকলের জন্য সমান করার স্বার্থে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন চাই ।

নয়ত বনখেকো ওসমান গনিদের রোধ করা যাবে না । বন খেকো ওসমান গনির জীবন পর্যালোচনায় দেখা যায় -সে জন্মগতভাবে বন খেকো ছিল না -কিন্তু এক উচ্চবিলাসী ও দুঃচরিত্র মহিলার [স্ত্রী ] উচ্চবিলাস চরিতার্থ করতে একসময়ের মেধাবী ওসমান গনি -বাংলাদেশের বন বিভাগ রক্ষার পবিত্র দ্বায়িত্ত পেয়ে পুরা বনবিভাগ বিক্রি করে দেয়ার প্রক্রিয়ায় নেমেছিল । তাই সকল বিবেকবান নারী পুরুষ ,শিক্ষক ,বিচারক বুদ্ধিজীবী ,রাজনীতিবিদ দের প্রতি আকুল আবেদন -বিষয়টির প্রতি আপনারা মনোযোগ দিন ,রক্ষা করুন আমাদের ভবিষ্যৎ সন্তানদের এবং শাস্তি দিন সেই সকল উচ্চবিলাসী নারীদের ,যারা ধর্মীয় এবং স্ব-দেশীয় সংস্কৃতি ও মুল্যবোধ হারিয়ে ব্যাংকের জমানো টাকা ,বাড়ি -গাড়ীর মধ্যে সুখ ও নিরাপত্তা খোঁজে -সেই অসভ্য নারীদের যারা মা জাতির কলঙ্ক ।

মোঃ মাসুম আহম্মেদ
এল এল এম (১ম বর্ষ, ১৬ তম ব্যাচ)
ওয়ার্ল্ড ইউনিভারসিটি,
ঢাকা।