জাতিকে এই সংঘাতের মুখোমুখি করার প্রয়োজন ছিল কি?

এম এ জোবায়ের
Published : 2 July 2011, 04:51 PM
Updated : 2 July 2011, 04:51 PM

সর্ব্বোচ্চ আদালতের রায় অনুযায়ী তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল হলেও আরো দুই বছর এই পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবার কথা। সরকারী দল তাড়াহুড়া করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল করে সংবিধান সংশোধন করলো। বিরোধী দল ঘোষনা দিল ক্ষমতায় গেলে তারা এই সংশোধনী বাতিল করবে। সংবিধান চোত্রা পাতার থেকেও মর্যাদাহীন হল। ধর্ম নিরপেক্ষতার সাথে যোগ হলো রাষ্ট্র ধর্ম। হায়রে সংবিধান হায়রে তার মর্যাদা! সরকারী দলের বক্তব্য সংবিধানের সংশোধনীতে তাড়াহুড়া করা হয়নি। ড: আলী আকবর খানের মন্তব্য; আগামী ছয় মাসের মধ্যেও জাতীয় নির্বাচন হচ্ছেনা, বিরোধী দল সংসদে নেই এবং তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিলেরও বিরোধিতা করছে এই অবস্থায় সংবিধান সংশোধন করলে সন্দেহের অবকাশ থেকেই যায়। তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতির প্রয়োজন আছে কি নেই এ প্রশ্নে জাতি আজ দ্বিধাবিভক্ত এবং মুখোমুখি। বিরোধী দল প্রধানের স্পষ্ট হুংকার "সংঘাত অনিবার্য"। রাজনৈতিক দল গুলোর মধ্যে কোন সমঝোতা, আলোচনা, সমাধান বা মীমাংসার কোন প্রচেষ্টা নেই আছে শুধু উস্কানি। এর পরিণতি কি ভাল হবে? সবাই দিব্য চোখে দেখতে পাচ্ছে সেই পুরানো ঘটনার পুনরাবৃত্তি, প্রকাশ্য রাস্তায় মানুষ হত্যা করে লাশের উপর লাফালাফি পরিনতিতে বন্দুকের ক্ষমতা দখল। আইন করে বন্দুকের ক্ষমতা দখল বন্ধ করা যাবে না। রাজনীতিবিদদের কারনেই বন্দুকের ক্ষমতা দখল অনিবার্য হয়ে পড়ে।

ছোট্ট, হত দরিদ্র একটা দেশ, রাজনৈতিক অস্থিরতা , হরতাল, বন্দুকের ক্ষমতা দখল বার বার এ দেশটাকে পিছিয়ে দিচ্ছে। মাথায় পরাচ্ছে ব্যর্থ রাষ্ট্র, দরিদ্রতম রাষ্ট্র, সর্ব্বোচ্চ দুর্নীতিগ্রস্ত রাষ্ট্রের অসম্মান। দেশ পরিচালনা করার দয়িত্ব যাদের সেই রাজনীতিবিদদের কারনেই দেশের আজ এই অসম্মান।

রাজনীতিবিদদের কাছে আবেদন দয়া করে জাতিকে এই সংঘাতের মুখোমুখি করবেন না জাতির মাথায় পরিয়ে দেবেন না ব্যর্থ রাষ্ট্র, দরিদ্রতম রাষ্ট্র, সর্ব্বোচ্চ দুর্নীতিগ্রস্ত রাষ্ট্রের মুকুট ।