ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ঃ প্রশাসনের হেঁয়ালিপনা কেড়ে নিল শিক্ষার্থীদের মূল্যবান ১টি বছর

প্রদীপ জ্বালবো বলে
Published : 19 June 2011, 04:33 PM
Updated : 19 June 2011, 04:33 PM

লিখেছেনঃ সিফাত মোহাম্মদ আরেফিন, আব্দুল্লাহ আল হাদি, শুভ্র রায়, শাহাবুদ্দিন আহমেদ, মাঈনুল হাসান, বিশ্বজিত ঘোষ, এ আর এম মাসুম, নিশাত তাসনিম, ফারহানা অরিন ফ্লোরা, কে এইচ আলামিন, সফিকুল ইসলাম জুয়েল

অধিকার প্রতিষ্ঠা, অনাচার ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে ছাত্রদের প্রতিবাদ বাঙালি ইতিহাসের এক উজ্জলতম অধ্যায়; অর্জনের তালিকাও সুদীর্ঘ। বায়ান্ন'র ভাষা অন্দোলন, ১৯৭১-র মুক্তির সংগ্রাম ও স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের গৌরব ও অহংকারের অগ্রদূত ছাত্র সমাজ। কিন্তু আজ সেই ছাত্র সমাজই বঞ্চিত ও নির্যাতিত। তারই প্রতিফলনরূপে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুড টেকনোলজি এন্ড নিউট্রিশনাল সায়েন্স বিভাগের ছাত্রদের উপর স্বৈরাচারী, অদক্ষ ও মুখোশধারী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অমানবিক নির্যাতনের সত্যিকার চেহারা উন্মোচিত হয়েছে। মজলুম জননেতা মাওলানা ভাসানীর নামে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়টিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন খেয়ালিপনার ক্ষেত্রে পরিণত করেছে।

১২ই জুলাই, ২০১০ ইন্টার্নিসহ কর্মক্ষেত্র বিবেচনায় আমরা ফুড টেকনোলজি এন্ড নিউট্রিশনাল সায়েন্স বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিদ্যমান বি এস সি সম্মান ডিগ্রির পরিবর্তে বি এস সি ইঞ্জিনিয়ারিং ইন ফুড টেকনোলজি ডিগ্রির প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করায় বিভাগীয় চেয়ারম্যান, রেজিষ্টার, ভাইস চ্যান্সেলর স্যারের অনুপস্থিতিতে প্রো ভাইস চ্যান্সেলর স্যার বরাবর স্মারকলিপি জমা দিই।

স্মারকলিপি জমা দেওয়ার সময় বিভাগীয় এক শিক্ষক সকল শিক্ষার্থীর সামনে বলেন যে স্বয়ংরাষ্ট্রপতি আসলেও ডিগ্রি পরিবর্তন সম্ভব নয়। ঠিক তখন থেকেই আমরা ক্লাশ বর্জন শুরু করি।

১৭ই জুলাই, ২০১০ সকল বিভাগীয় শিক্ষকের উপস্থিতিতে আমাদের সকলের সাথে আলোচনায় বসার কথা থাকলেও আমাদের কোন কথা বলতে দেওয়া হয়নি। এমনকি দাবির পক্ষে তথ্য প্রমাণাদিও উপস্থাপন করতে দেওয়া হয়নি। উল্লেখ্য আমাদের বিভাগের অধিকাংশ শিক্ষকই অনার্স ডিগ্রিধারী। শিক্ষকবৃন্দ সরাসরি বলেন যে "আমরা শিক্ষকরাই চাই না এটা পরিবর্তন হোক" কিন্তু তার জন্য কোন কারন স্পষ্ট করে বলতে পারেনি। তখন শিক্ষার্থীরা হৈচৈ করে উঠলে এক ছাত্রের সাথে শিক্ষকের অশোভন আচরণ করলে শিক্ষার্থীরা কক্ষ থেকে বেড়িয়ে আসে। শিক্ষার্থীরা উপলব্ধি করতে পারে যে বিভাগীয় শিক্ষকগণ তাদের হীনস্বার্থ চরিতার্থের জন্য ধমক দিয়ে তাদের যৌক্তিক দাবি নস্ব্যাত করতে চাইছে।

১৯ই জুলাই, ২০১০ সকালে মানব বন্ধন কর্মসূচি সম্পন্ন করি।
প্রক্টর স্যারের মধ্যস্থতায় বিকাল ৩ ঘটিকায় আমরা সকল শিক্ষার্থীবৃন্দ একাডেমিক কাউন্সিলের বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত মেম্বার, চেয়ারম্যান স্যারদের সাথে আলোচনায় বসি। আলোচনায় বসার পূর্বে বিভাগীয় চেয়ারম্যান এই শর্ত আরোপ করেন যে মিটিং এর সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত হিসেবে গণ্য হবে। আলোচনার ফলাফল আমাদের বিপক্ষে গেলে আমরা যেন তা মেনে নিয়ে ক্লাসে ফিরে যায় আর আমরা সে শর্ত মেনে নিয়ে আলোচনায় বসতে রাজি হই।

উক্ত আলোচনায় আমাদের বিভাগের চেয়ারম্যানসহ সকল বিভাগীয় চেয়ারম্যান আলোচনায় বসেন।

সেখানে আমাদের মধ্য থেকে ৫ জন শিক্ষার্থী দাবির পক্ষে তথ্য প্রমাণাদি, যৌক্তিকতা , গুরুত্ত ও প্রয়োজনীয়তা তাদের সামনে উপস্থাপন করেন। এবং একাডেমিক কাউন্সিলের মেম্বারগণ আমাদের সকল তথ্য প্রমাণাদি অত্যান্ত মনযোগ সহকারে শোনেন। তারা আমাদের দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেন এং দাবির পক্ষে যৌক্তিকতা উপলব্ধি করেন। আমরা লিখিত ফলাফল চাইলে মিটিং এর সভাপতি (সিরাজুল ইসলাম, চেয়ারম্যান, ইএস আর এম বিভাগ)বলেন আমরা শিক্ষক, রাজনীতিবীদ নয়। আমাদের মুখের কথাই যথেষ্ট। তিনি নিজের কথা উল্লেখ করে বলে যে তিনি নিজেই হাজী দানেশ ও চট্টগ্রাম ভেটানারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সিলেবাস প্রণয়ন করেছেন। তিনি আমাদের আরো আশ্বস্ত করেন যে ডিগ্রি পরিবর্তন সম্পন্ন হলে যেন আমরা ক্রেডিট ফি জমা দেই।

তারা বারবার আমাদেরকে আশ্বস্ত করেন যে, তারা বিষয়টি সম্পর্কে সম্মত এবং ভিসি স্যার দেশে ফেরা মাত্রই আমাদের সকল কাজ সুসম্পন্ন করবেন। আমরা উক্ত প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে সকলের মাঝে মিষ্টিবিতরন করি এবং আনন্দমিছিল করি।

আমাদের তথ্য প্রমাণাদির মধ্যে ছিল …
১) অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রির সাথে আমাদের সিলাবাসের সামাঞ্জস্যতা।
২) বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিগ্রি পরিবর্তনের সময়সূচি
৩) বিভিন্ন একাডেমিক বিশেষজ্ঞদের মতামত
৪) শিল্প কারখানার বিশেষজ্ঞদের মতামত
৫) একই পাঠ্যসূচিতে দেশে ও দেশের বাইরে প্রদত্ত ডিগ্রি

উল্লেখ্য, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রির সাথে আমাদের সিলাবাসের সামাঞ্জস্যতা।

আমরা আলোচনার পরদিন থেকে ক্লাসে ফিরে যায়। কিন্তু এবার আমাদের বিভাগের শিক্ষকরা ক্লাস বর্জন শুরু করেন।
ভিসি স্যার দেশে ফিরে আসলে আমরা স্যারের সাথে কথা বলতে অনুমতি চাই, যেহেতু আমাদের শিক্ষকরা আমাদেরকে তাদের প্রতিপক্ষ ভেবে নিয়েছেন।

২১শে আগষ্ট ২০১০ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভিসি স্যার আমাদের সাথে কোন প্রকার আলোচনায় বসতে রাজি না হওয়ার আমরা প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করতে বাধ্য হই এবং শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে থাকি। ঐ অবস্থায় ক্যাম্পাসে ২ শতাধিক পুলিশ মোতায়ন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কোন সাড়া শব্দ না পাওয়ার স্লোগান দিলে ভিসি স্যার নিচে নেমে আসেন এবং ছাত্রদের চরম শাস্তির হুমকি দিয়ে উপরে চলে যান।

আমাদের দাবি ছিল যে প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন করতে হবে। তখন আমরা আমাদের অবস্থানে অনড় থাকলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটা আলোচনায় বসার প্রস্তাব নিয়ে আসলে আমরা মেনে নিই। কিন্তু তারা বসার তারিখ নিয়ে তাল বাহানা শুরু করে এবং এক পর্যায়ে তারা বলেন যে আমাদের ৫ জনের সাথে কথা বলবেন। আমরা তাতেও রাজি হই। কিন্তু সাংবাদিকদের সামনে তা প্রকাশ করতে চাচ্ছিলেন না। তখন আমাদের আর বুঝতে বাকি থাকে না যে এখানে নাটক হচ্ছে। এমন সময় দুটি জলকামান এসে উপস্থিত হয়। এবং পুলিশের সংখ্যা বাড়তে থাকে।

এরপর শুরু হয় বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাসের সবচেয়ে কলঙ্কময় দিনের। আমাদের উপর জলকামান ব্যবহার করে ছত্র ভং করে দেওয়ার চেষ্টা করে। আমরা সবাই দিশেহারা হয়ে যায় এবং চারিদিক থেকে পুলিশ আমাদেরকে ঘিরে ধরে অমানবিক পুলিশি প্রহার চালাতে থাকে।

ছেলে মেয়ে সবাইকে বুটের লাঠি, লাঠিচার্জ, পুরুষ পুলিশ কর্তৃক মেয়েদের অকাথ্য ভাষায় গালি গালাজ এবং গায়ে চলে পৈশাচিক আক্রমণ। পুলিশের লাঠিপেটা থেকে মেয়েরা পর্যন্ত রেহাই পায়নি।

এরপর অন্যান্য বিভাগের ছেলেমেয়েরা এর প্রতিবাদ জানাতে এলেও তাদেরকে বেঢড়ক মারধোর করে। পুলিশ উগ্রভাবে ক্যাম্পাসের বাইরে ধর পাকর শুরু করে।
আনুমানিক রাত ১২টার দিকে আমাদের ১৮০ জনের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে ২০লক্ষ টাকার ভাংচুরের মামলা দেওয়া হয় অথচ ২০টাকার কোন ক্ষতি হয়নি।

আমাদের ব্যানারগুলো দিয়ে পুরো প্রশাসনিক ভবন মুড়ে দেওয়া যাবে। কিন্তু লাভ হয়নি।
৩রা ফেব্রুয়ারি, ২০১১ আমরা টাঙ্গাঈল শহিদ মিনারে একটা সূধীসমাবেশ করি।

সেখানে দেশ বরেণ্য সাহিত্যিক, সাংবাদিক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, অধ্যাপকসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
এর ৩দিন পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ১৪ জনের নামে আরো একটা দ্রুত বিচার আইনে মামলা দেন। এবারের বিষয় ছাত্ররা নাকি ক্যাম্পাসের নাইট গার্ডদের কাছ থেকে ৫ভরি স্বর্ণালংকার আর নগদ ৭০ হাজর টাকা চুরি করেছে। রাত ২টার সময় হলে ঘুমন্ত ২জন ছাত্রকে শিক্ষক কলার ধরে টেনে শিক্ষকদের মাইক্রবাসে করে থানায় দিয়ে আসছে। হায়রে আমার স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়!

ইউজিসির মিটিং বিশ্ববিদ্যালয় একটা নকল সিলেবাস উপস্থাপন করে যা থকে সকল ইঞ্জিনিয়ারিং র্কোস বাদ দেওয়া হয়েছে। এক সংবাদ মাধ্যমে ভিসি স্যার বলছিলেন , আরেকটা ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ খোলা হবে তবু এদেরকে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি দেওয়া হবে না। ৩মাস পর এই কথাগুলোই ইউ জিসি মিটিং এর সিদ্ধান্ত হয়ে আসছে।

২০শে মার্চ, ২০১১ আমরা আমরণ অনশনে বসি। জননেতা রাশেদ খান মেনন (সভাপতি, শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সাংসদীয় স্থায়ী কমিটি) আমাদের দাবি মেনে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে রাজি করাতে পারেন নি।

১৪ মে, ২০১১ দ্বিতীয়বার আমরণ অনশনে বসি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আবারও দ্রুত বিচার আইনে ১১ জনের নামে মামলা দেয়। অনশনের ১০দিন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউ আমাদের দেখতে আসেন নি।

৩২ জনকে গুরুতন আবস্থায় টাঙ্গাইল সদর হাসপাতেলে প্রেরণ করা হয়। এদের মধ্যে ৩জনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাদেরকে ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করেন কর্তব্যরত চিকিতসক। ৬০ জনের অধিক অনশন স্থলেই অসুস্থ ছিল। জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের উপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই প্রতিশ্রুতি দেন যে ডিগ্রি পরিবর্তনে তাদের কোন আপত্তি নেই এবং কাজ সুসম্পন্নের জন্য মন্ত্রণালয়ে অনুরোধ জানাবে।
কিন্তু এখনো তাদের কথার সাথে কাজের মিল পাচ্ছি না। আমাদের মূল্যবান জীবন নষ্ট করার অধিকার কারো নেই।

অপেক্ষীত সময়ের মৃতুযন্ত্রণা আমাদের ধুকে ধুকে মারছে।

পাহাড়সম কষ্ট পেড়িয়ে আজও আমাদের যুক্তিযুক্ত ও যুগোপযোগী দাবির পক্ষে সকল শিক্ষার্থীর সহবস্থান জয়ের পথকে সুদৃঢ় করছে। ছোট ছোট ব্যাক্তিগত দুঃখকে অতিক্রম করে অপ্রতিরোধ্য বিজয়কে বরণ করার জন্য উন্মুখ হয়ে আছি। আমাদের বিশ্বাস বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলন কোন দিন ব্যর্থ হয়নি, হবেও না। শত বাধার বেড়াজাল পেড়িয়ে জ্বলে উঠবে নতুন সূর্যের মুখ।

বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের ডিগ্রির ব্যাপারে আগ্রহী নয়, কারন তারা জানে তারা যদি আমাদের ডিগ্রি প্রদান করে তবে তাদেরকে জবাবদিহি করতে হবে। প্রশ্ন উঠবে, যদি ডিগ্রি পরিবর্তন যৌক্তিকই হয়, তবে কেন তারা আমাদের জীবন থেকে ১টি বছর কেড়ে নিল?

আমরা বিশেষজ্ঞদের সাথে কথা বলে জানতে পারেছি যে, আমাদের সিলেবাসের মাত্র ৫-৭% পরিবর্তন করলেই বি এস সি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি প্রদান করা যায়। যদি সেটা মতান্তরে ১০-১৫% ও হয়, তবে কি কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মুখের দিকে তাকিয়ে এতটুকু পদক্ষেপ নেওয়ার কেউ নেই??

বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের অর্থায়নে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পরিচালিত হয়। দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেমেয়েরা নিজেদের মেধার পরিচয় দিয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হয়। প্রযুক্তিগত উতকর্ষতায় দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে দেশের বিভিন্ন জেলাতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয়েছে। এখানে শিক্ষার্থীরা প্রযুক্তি ও প্রকৌশল শিক্ষায় নিজেদের বিকশিত করে দেশকে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।নিজেদের কর্মক্ষেত্রকে আরো প্রসারিত করতে, আরো একটু উন্নত জীবনযাত্রার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে একটি উন্নত পাঠ্যক্রম চাওয়া কি কোন অপরাধ ??