গবেষণায় আন্তর্জাতিক অ্যাওয়ার্ড পেলেন জাবি শিক্ষক তাজউদ্দিন

আসাদ জামান
Published : 29 Sept 2016, 06:16 PM
Updated : 29 Sept 2016, 06:16 PM

পরিবেশ বিজ্ঞানের উপর ভালমানের গবেষণাপত্র প্রকাশ করে জাপানের হোক্কাইডো ইউনিভার্সিটি'র  'এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যাওয়ার্ড-২০১৬' লাভ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেল্থ এন্ড ইনফরম্যাটিক্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. তাজউদ্দিন সিকদার ।

গত ২৩ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়টির গ্রাজুয়েট স্কুল অফ এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগের ডীন অধ্যাপক আতসুশী কুবোকাওয়া'র কাছ থেকে তিনি এই পদক গ্রহণ করেন। তাঁর একটি গবেষণাপত্র 'কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং জার্নালে' সুনামের সাথে নথিভূক্ত হওয়ার পুরস্কারস্বরূপ তিনি এই এ্যাওয়ার্ড লাভ করেন।

জানা যায়, গ্রাজুয়েট স্কুল অফ এনভায়রনমেন্ট'র বর্তমান এবং প্রাক্তন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অসাধারণ গবেষণাকর্মের উপর ভিত্তি করে এ্যাওয়ার্ডটি প্রদান। যা গত বছরনাগাদ চালু করা হয়েছে। এটি 'মাৎসুনো এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স এ্যাওয়ার্ড' হিসেবেও পরিচিত।

অধ্যাপক তাজউদ্দিন শিকদার এনভায়রনমেন্টাল হেলথ রিসার্চার এবং ন্যানো মেটেরিয়ালস, ন্যাচারাল বাই প্রোডাক্টস এবং পানীয় জলে বিদ্যমান বিষাক্ত ধাতু কণিকা দূরীকরণ পদ্ধতির উন্নয়নে নানাবিদ সাফল্য দেখিয়েছেন।

অন্যদিকে, এই  তরুণ গবেষকের সাফল্যে অভিনন্দন জানিয়েছেন দেশী-বিদেশী অনেক নামকরা গবেষকগণ।  ইতিমধ্যে এই তরুণ গবেষকের ৮টি পিএইচডি গবেষণাপত্র বের হয়েছে। যার ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর ১৫ এর চেয়ে বেশী। দেশী-বিদেশী জার্নালে তাঁর প্রকাশিত গবেষণা পত্রের সংখ্যা ৪০টিরও বেশি। এর আগে ২০১১ সালেও তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে 'এক্সেলেন্ট রিসার্চ এ্যাওয়ার্ড' অর্জন করেন।

এছাড়া তিনি আমেরিকা, ইতালি, জাপান, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, মঙ্গোলিয়া, নেপাল এবং হংকং প্রভৃতি দেশের বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায়ের সাথে তিনি তাঁর গবেষনাকর্ম নিয়ে আলোচনায় অংশ নিয়েছেন। একইসাথ হোক্কাইডো ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতামূলক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায়ও তাঁর গুরুত্বর্পর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলে জানা যায়।

বর্তমানে তিনি হোক্কাইডো ইউানভার্সিটির স্বাস্থ্য বিজ্ঞান অনুষদের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ 'জেএসপিএস' এ পোস্ট ডকটোরাল হিসেবে অংশগ্রহণ করছেন।
সাফল্য সম্পর্কে জানতে চাইলে তরুণ এ গবেষক জানান, ভাল লাগে গবেষণায় মগ্ন থাকতে। তাই পরিবেশ নিয়ে নতুন কিছুর সমাধান খোঁজেন প্রতিনিয়ত। একই সাথে তাঁর গবেষণার কাজে সর্বাত্মক সহযোগিতার জন্য  জাপানের মাসাকি কুরাস্কি এবং জাবি'র পরিবেশ বিজ্ঞানের অধ্যাপক খবির উদ্দিনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। পরিবেশগত ক্ষেত্রে গবেষণা এবং গবেষকদের স্বীকৃতি দেয়ার জন্য তিনি কর্তৃপক্ষকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানান।