ফোর্বসের তরুণ উদ্যোক্তার তালিকায় জাবির সাবেক ছাত্র কিরণ

আসাদ জামান
Published : 14 April 2017, 02:35 PM
Updated : 14 April 2017, 02:35 PM

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সাময়িকী ফোর্বস-এর এশিয়ার অনূর্ধ্ব-৩০ তরুণ সামাজিক উদ্যোক্তাদের তালিকা প্রকাশ করেছে। এতে স্থান পেয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী তরুণ উদ্যোক্তা মিজানুর রহমান কিরণ। এশিয়া থেকে ৩০ জন তরুণ সামাজিক উদ্যোক্তাকে নিয়ে এক তালিকা প্রকাশ করে ম্যাগাজিনটি। ৩০ বছরের কম বয়সী যেসব তরুণ ব্যবসা খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন তাদের স্থান দেওয়া হয়।

২৯ বছর বয়সী কিরণ প্রতিবন্ধীদের সেবাদান ও অধিকার আদায়ে সহযোগিতা করতে ২০০৮ সালে গড়ে তোলেন ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড ডেলেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (পিডিএফ) নামক একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।  এ কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ এশিয়ার ৩০ জন সামাজিক উদ্যোক্তার মধ্যে একজন হয়েছেন তিনি।

কিরণ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী (৩৬ তম ব্যাচ) ছিলেন। ২০০৮ সালে বন্ধুদের নিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গড়ে তোলেন পিডিএফ। বর্তমানে এটি দেশের বিভিন্ন ক্যাম্পাসগুলোতে এর শাখা রয়েছে।   

ফোর্বস-এর ওয়েবসাইটে বলা হয়, পিডিএফ তরুণদের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। যারা তরুণ প্রতিবন্ধী বা ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জডদের নিয়ে কাজ করে। সংগঠনটি সারাদেশে তরুণদের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে কাজ করে যাচ্ছে। একই সাথে সংগঠনটি প্রবিতন্ধীদের বিষয়ে 'সচেতনা বৃদ্ধি'র লক্ষে কাজ করে যাচ্ছে।

এছাড়া ফোর্বস'র একই তালিকা স্থান পেয়েছেন জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার যুবদূত বাংলাদেশের সওগাত নাজবিন খান।  সামাজিক উদ্যোক্তাদের মূল খাতের পাশাপাশি এবারে নতুন করে শুরু করা 'পাইওনিয়ার উইম্যান' ক্যাটাগরিতে তাঁকে নির্বাচিত করা হয়েছে।

এর আগে নাজবিন খান কমনওয়েলথ ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড ফর এক্সিলেন্স-২০১৬, এশিয়া ইয়ং পারসন অব দ্য ইয়ার ২০১৬ এবং গ্রিন ট্যালেন্ট অ্যাওয়ার্ড ২০১৫ লাভ করেন। ময়মনসিংহের ফুলপুরে পিছিয়ে পড়া গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর শিক্ষা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এইচ এ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠার কারণে তাঁকে এই স্বীকৃতি দিয়েছে ফোর্বস ম্যাগাজিন।

এইচ এ ফাউন্ডেশনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম হচ্ছে এইচ এ ডিজিটাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ। প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষার্থীরা মাল্টিমিডিয়া-নির্ভর ক্লাসরুম শিক্ষার পাশাপাশি ল্যাপটপ, ট্যাবের মতো ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে। গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর এই বিদ্যালয়টিতে অধিকাংশ শিক্ষার্থী বিনা খরচে আধুনিক শিক্ষা পাচ্ছে। শিক্ষকদেরও দীর্ঘ সময়ের প্রশিক্ষণ দিয়ে উপযোগী করা হয়েছে। বর্তমানে আশপাশের ৫০টি গ্রামের ৬০৫ জন শিক্ষার্থী ওই স্কুল-কলেজে পড়াশোনা করছে।