এইতো বছর দশেক আগের কথা, যখন আমরা হাই স্কুলে পড়তাম গ্রামের একটি স্কুলে । ক্লাশের ফাঁকে কতই না আড্ডা দিতাম । আর সেই আড্ডার মুল বিষয়বস্তু হত কিভাবে ভাল রেজাল্ট করা যায়? কিংবা পড়া হয়েছে কি না? কখনোই কোন মেয়ের ( বান্ধবী কিংবা জুনিয়র) কথা মাথায় আসতো না । যদিও বা কখনো কারও মাথায় আসতো স্বযতনে এড়িয়ে যেতাম । কারও সাথে প্রেম করা তো দুরের কথা কথা বললেও লজ্জা পেতাম । আর আজকে প্রেম কথাটা এতটাই সহজ হয়ে গেছে যে ক্লাশ ফাইভের মেয়েরাও প্রেম করে । শুধুই কি প্রেম ? প্রেমের নামে চলে অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক । এতে মেয়েদের দোষ যতটা ছেলেদের দোষ তার থেকেও অনেক গুন বেশী । আজকাল একজন মডার্ন ছেলে কিংবা মেয়ের কাছে গার্লফ্রেন্ড কিংবা বয়ফ্রেন্ড না থাকাটা যেন চরম অপমানজনক । তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই না পাওয়ার হতাশা নিয়ে বাকি জীবনটা কাটাতে হচ্ছে তাদের । তবে যে কোন ছেলেই বিয়ের সময় ভার্জিন মেয়ে খুঁজে হন্য হয় । যদিও সে নিজে ভার্জিন নয় । শেষ পর্যন্ত কপালকে মেনে নিতে বাধ্য হয় । কিন্তু তারা কখনোই এটা ভাবে না যে ভার্জিন মেয়ে তাদের জন্য নয় । যেমনটি আল্লাহ পাক স্বয়ং বলেছেন-
ﺍﻟﺰَّﺍﻧِﻲ ﻟَﺎ ﻳَﻨﻜِﺢُ ﺇﻟَّﺎ ﺯَﺍﻧِﻴَﺔً ﺃَﻭْ ﻣُﺸْﺮِﻛَﺔً
ﻭَﺍﻟﺰَّﺍﻧِﻴَﺔُ ﻟَﺎ ﻳَﻨﻜِﺤُﻬَﺎ ﺇِﻟَّﺎ ﺯَﺍﻥٍ ﺃَﻭْ
ﻣُﺸْﺮِﻙٌ ﻭَﺣُﺮِّﻡَ ﺫَﻟِﻚَ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟْﻤُﺆْﻣِﻨِﻴﻦَ
ব্যভিচারী পুরুষ কেবল ব্যভিচারিণী নারী অথবা মুশরিকা নারীকেই বিয়ে করে এবং ব্যভিচারিণীকে কেবল ব্যভিচারী অথবা মুশরিক পুরুষই বিয়ে করে এবং এদেরকে মুমিনদের জন্যে হারাম করা
হয়েছে। সূরাঃ আন নূর ; আয়াতঃ ০৩
অতএব হে ঈমানদারগন একবার চিন্তা করে দেখুন ।