সবাইকে (মডারেটর সাহেব ও ব্লগটিমকে সহ) বড়দিন ও নববর্যের শুভেচ্ছা

এমডি আজিজুর
Published : 22 Dec 2011, 08:19 PM
Updated : 22 Dec 2011, 08:19 PM

সুপ্রিয় ব্লগারবৃন্দ,

আজ ২২শে ডিসেম্বর'২০১১ ইং তারিখ, আর দুইদিন পর খ্রীষ্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচাইতে বড় ধর্মীয় উৎসব। একজন খ্রীষ্টান হিসাবে নয়, বলবো একজন মানুষ হিসাবে, যে প্রত্যেক ধর্মের সুন্দর বসবাসের একমাত্র বড় উদাহরণ বাংলাদেশ। এই দেশে জন্ম নিয়ে আমি প্রতি মুহুর্তে নিজেকে গর্বিত মনে করি। কেননা ভারতের মতো বিশাল একটি দেশে দেখি বাবরি মসজিদ নিয়ে টানা হেচড়া চলে, আর বাংলাদেশ, শিক্ষার দীক্ষার দিক দিয়েও ভারতের চাইতে আমরা অনেক পিছিয়ে, কিন্তু একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত আমরা প্রতিনিয়ত দেখিয়ে চলেছি সাম্প্রদায়িকতার উর্ধে উঠে, যা ভারতের পক্ষে পারা সম্ভব নয়, যদিও ধর্মীয় সূত্রে আমি খ্রীষ্টান নই তবুও প্রতি বড়দিনে আমি খ্রীষ্টানদের প্রার্থনা সভায় যোগদান করি, পুরোহিতের বাণীগুলোর মর্ম আমার কাছে অমৃতের মতো মনে হয়, ইদানিং যদিও বড়দিনকে ঘিরে নিরাপত্তার জন্য স্তানীয় পুলিশ প্রশাসন নিয়োগ দেওয়া হয়েছে যা আগে দেখতাম না কখন ।

যাই হউক, যা বলছিলাম, খ্রীষ্টানরা কতটুকু সহিষ্ণু তার প্রমাণ আমি দেবো না, কেন না তাদের সহিষ্ণুতা তাদের কাছে, তবে যে বিষয়টি আমার ভালো লাগে, তা হলো বড়দিনের দিন যে খ্রীষ্টান বাড়ীতেই আপনি যাবেন না কেন তারা আপনাকে খালি মুখে ছাড়বে না। সেই সাথে আছে গিফট।

শেষ করছি যে কথাটা বলে, বাংলাদেশে আমি এমন কোন উগ্র খ্রীষ্টান দেখিনি যারা জঙ্গী সম্পৃক্ততার সাথে যুক্ত, এমন নিরিহ আর ভদ্র শান্ত ও বিনয়ী কেবল খ্রীষ্টান সম্প্রদায়ের মাঝে দেখা যাই, আমি যে কথা বলে ইতি টানবো তা হলো, আমার এই লেখায় আমি বলবো না যে আসুন আমরা ও খ্রীষ্টান হই, এমনটা যারা মনে করবেন তারা কিন্তু ভুল করবেন, আমি শুধু আমার লেখায় তাদের সভ্যতা, কৃষ্টি আর বিনয়কে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি, প্রথমেই বলেছি আমি খ্রীষ্টান নই, তবে খ্রীষ্টানদের বিনয়ে আমি বাস্তবিকই উপলব্ধি করি, আর মনে মনে ভাবি যদি বাংলাদেশের সকল মানুষ এইরুপ বিনয়ী হতো তবে জাতি হিসাবে আমরা কোথায় পৌছে যেতাম যা হতে কম করে হলেও আর একশো বছর লাগবে, আপাতত বিদায় নিচ্ছি, সবাইকে শুভ বড়দিন ও নববর্ষের শুভেচ্ছা।