বড় বড় নেতা-নেত্রী, সমাজের সুশীলগন, আমরন অনশন কর্মসূচী পালন করা মানুষজন আর সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলের একটি তীর্থ স্থান বর্তমানে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। এখন রীতি মতন মিছিল আর মিটিং ও হয় এই প্রাঙ্গনটিতে! সব কিছুই মেনে নিলাম। কিন্তু কি করছি আমরা এর তত্বাবধানে? শুধু একুশ এলেই সব ঠিক আর অন্যান্য সময় কি হয় তা শুনেছিলাম। আজ আমার ক্যামেরায় বন্দি করে নিয়ে এসেছি।
সুদুর জাপান থেকে একদল মমতাময় মানূষ এসে নিজ হাতে শহীদ মিনার প্রাঙ্গন পরিস্কার করে দিয়ে গেলেন বেশ কিছুদিন আগে। আর আমাদের শহীদ মিনার আমরা কি অবস্থায় রেখেছি তা সেদিন দেখতে পেয়ে লজ্জাবনত মস্তিস্কে লিখতে বসা।
যতবার আমি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এর সামনে দিয়ে যাই। ততবারই আমি শ্রদ্ধাভরে দেখি এই প্রাঙ্গণটি। শহীদ মিনার এর স্তম্ভের মাথা নুয়ে থাকা একেকটি মিনার এর মতনই আমার মাথাও নত হয়ে যায় শ্রদ্ধায় সেই সব শহীদদের প্রতি বিনম্রতায়। সেই ছোট বেলায় বাড়ি থেকে খালি পায়ে হেটে হেটে প্রথমে আজিমপুর কবরস্থান এরপর শহীদ মিনার এর প্রভাত ফেরিতে যাওয়ার অভ্যেস গড়ে উঠেছিল পাড়ার বড় ভাইদের সংস্পর্শের মাধ্যমে। আমাদের পরের প্রজন্ম কিভাবে তা ধরে রেখেছে। তা আর নাইবা বলি। সুধী সমাজ আর সুশীলগনই বা কি করছে এর প্রতীকী পবিত্রতা রক্ষায়। আমার দেয়া ছবিগুলোর এক নং ছবিটুকু তার প্রমান দিয়েছে- না কিচ্ছু হয় নি।
ছবি নং-১
এই ছবিটি আমি ছেলে দুটোর দ্বিতীয় অবস্থা দেখে তুলেছি। প্রথমে ছেলেটি নোটিশ বোর্ডটিকে দু'পায়ের মাঝ খানে রেখে ছবি তুলছিল আর হাসাহাসি করছিলো দুজন'ই প্রথম অবস্থায়। আমার ক্যামেরা তখন রেডি ছিল না। মুহূর্তেই রেডি করে ফেললাম। এরপর তুলে ফেললাম এই দুটো শিক্ষিত তরুনের ছবি পরবর্তী ভঙ্গিমার!
ছবি নং-২
জুতা পায়ে বেদিতে উঠা নিষেধ।নোটিশবোর্ড এর পেছনে দেখেন।
ছবি নং-৩
জম্পেশ আড্ডা আর বাদাম খাওয়া
ছবি নং-৪
ছবি নং-৫
বাদাম খাওয়ার স্থান!! আবার আমরন অনশন করারও স্থান!!!
ছবি নং-৬
শহীদ মিনার এর ডিজাইন অনুযায়ী মুল স্তম্ভের পেছনে লাল সুর্য এর মতন গোলাকার থাকার কথা, আছে কি?
ছবি নং-৭
ছবি নং-৮
ছবি নং-৯
নোটিশ বোর্ড এর সাথেই সাইকেল বেধে রাখা!!!
ছবি নং-১০
দশ নং ছবিতে দিক নির্দেশনা কি আসলেই পালন করার হয়? আমার মনে হয় না। এমন কাউকেই খুঁজে পাইনি সেখানে।