আমি রিকশা বের করবো না যদি আপনারা গাড়ি বের না করেন

ভালবাসার দেয়াল
Published : 8 Dec 2012, 02:30 PM
Updated : 8 Dec 2012, 02:30 PM

যারাই আন্দোলনের সময় গাড়ি ভাংচুর করেছেন, তারাই ভালো করে জানেন অন্যের গাড়ি ভাংচুর করা কত্ত মজা! এ মজা থেকে বঞ্চিত হতে চায় না এখন কোন আন্দোলনকারীই। আমার জানার ভুলও হতে পারে, তবে এখন পর্যন্ত দেখলাম না যারা আন্দোলন করেন তাদের গাড়ি ভাংচুর হয়েছে কোথাও! অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে রাস্তায় রিকশা নামাতেও নিষেধ করেছে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট। গতকাল শুক্রবার বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জোটের সংবাদ সম্মেলনে এ নিষেধের কথা বলা হয়। এর আগের দিন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রাজপথে গাড়ি না নামাতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন। গাড়ি বের করলে কি হতে পারে, তার কোণ দিক নির্দেশনা অবশ্য বিরোধী দলীয় নেতারা দেন নি। আমি যদি এ অবরোধ না সমর্থন করি অথবা গাড়ি ভাংচুর এর ভয় থাকলেও বিশেষ প্রয়োজনে আমাকে গাড়ি বের করতেই হয় অথবা গাড়িতে অথবা রিকশায় চড়তেই হয়। তাহলে আমার কি অবস্থা হতে পারে তা সম্পর্কেও তারা কোণই ধারনা দেন নি। তবে এ অবরোধ না মানলে আর তাদের সামনে পড়লে, আমি নিশ্চিত যাচ্ছি হাসপাতালে।

যাই হোক মেনে নিলাম অবরোধ, তবে আমি অধমের জিজ্ঞাসু ভাবনা- বিরোধী দলীয় নেতা অথবা কর্মীরা কি তাহলে আগামীকাল অবরোধ এর সময়, ঢাকাকে অচল করে দেয়ার রাজনৈতিক কর্মসূচীতে পায়ে হেটে হেটে আসবেন অথবা চলাফেরা করবেন? আগামীকাল বিরোধী দলীয় নেতা অথবা কর্মীরা কি তাহলে নিজেদের গাড়ি বের করবেন না? নৈতিকতা বলে- উনারা নিজেরাও আগামীকাল গাড়ি বের করবেন না। তাহলে দেখতে পাবো আগামীকাল বিরোধী দলীয় সব নেতা-নেত্রী চলাফেরা করছেন বিভিন্ন জায়গায় পায়ে হেটে হেটে!

ব্যারিস্টার মওদুদ, মির্জা ফখরুল এবং মাননীয় বিরোধী দলীয় নেত্রী সহ যারাই এ কর্মসূচীতে সবচেয়ে বেশি বক্তব্য রেখেছেন মিডিয়ায়। অন্তত তারা পায়ে হেটে হেটে নিজ নিজ কর্মসূচীতে আসছেন, তা হওয়া উচিৎ এবং তা আশা করাটা অমূলক না এক ফোটাও। অন্যকে গাড়ি বের করতে না বলে, নিজেদেরও তো গাড়ি বের করা উচিৎ না তাদের। অন্যদের পায়ে হেটে চলার পরামর্শ দিয়ে নিজেদেরও পায়ে হেটে হেটে চলাই উচিৎ।

আসলে উনারা গাড়িতেই চলাফেরা করবেন। তা বলছে নিন্দুকেরা সবাই।