বর্তমান পৃথিবীতে যত সংঘর্ষ তার মূলে তাকালে দেখতে পাই অর্থনৈতিক স্বার্থ। এ স্বার্থে মানবতাকে বিপন্ন করতে এতটুকও কার্পণ্য করে না স্বার্থান্ধ মানুষ গুলো। যেমনটা আমরা সাম্প্রতিককালে মায়ানমারে দেখতেছি। যার সাথে রয়েছে ভারত, রাশিয়া, চায়না সহ বেশ কিছু রাষ্ট্র। এরা কি সত্যিই স্বার্থান্ধ না স্বার্থের বিষয়ে অজ্ঞ? সে প্রশ্নের উত্তর পেতে হয়তো আমাদের আরও কিছু বছর অপেক্ষা করতে হবে। ততদিনে হয়তো মায়ানমার তাদের একটি জাতিকে শেষ করে দিতেও সক্ষম হবে।
তবে মায়ানমারকেই আবার ভারত, রাশিয়া এবং চায়না সহ আরও কিছু দেশের স্বার্থ রক্ষা করতে হবে। অর্থাৎ নিজ জাতির বিনিময়ে অন্য জাতি কিংবা দেশের স্বার্থ রক্ষাই মায়ানমারের লক্ষ্যে পরিণত হবে। আমেরিকা হয়তো এই স্বার্থে ভাগ বসাতে আসবে না, যদি আসে তাহলে হয়তো স্বার্থের দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হবে। আর বাংলাদেশই হবে হয়তো রোহিঙ্গাদের জন্য দায়িত্বশীল দেশ। এই সময়ে রোহিঙ্গাদের তিনটি পরিচয়, যথা – মায়ানমারের নাগরিক, মুসলিম ও মানুষ। সবার উপরে প্রাধন্ন্য পাওয়া প্রয়োজন ছিল মানুষ শব্দটি, সেটি আজ সবার শেষে এবং ক্ষীণ।
এখন দেখি অন্য একটি দৃষ্টিকোণ থেকে, মুসলিম জাতি হিসাবে মোসলমানদের কি করার আছে? মুসলমানরা আজ সবচেয়ে বেশি বিভক্ত এক জাতি। কারণ তারা জ্ঞানে দুর্বল তাই নেতৃত্ব বিভক্ত। বিভক্তি এতটাই বেশি যে মুসলিমদের সামনে এখন দোয়া- মুনাজাত ছাড়া আর কোন কার্যকর ব্যবস্থা নাই। যদিও আল-কুরআনেই রয়েছে সবচেয়ে বেশি জ্ঞান আর মানবতার মুক্তি।
মুক্তি যেখানে দেয়া আছে আল-কুরআনে, তারপরেও কেন এত বিভক্তি আর দুর্বলতা? অর্থনীতি যেখানে আজ মানবতাকে বিপন্ন করে দিচ্ছে সেখানে অর্থনীতির মাধ্যমেই মানবতার মুক্তি খুঁজে বের করতে হবে। আল- কুরআন সেখানে হয়তো দিকনির্দেশনা হবে।
এ প্রসঙ্গে একটি কথা অনেকেই বলেন যে মুসলিমরা যতটা হালাল খাদ্য নিয়ে চিন্তিত, ততটাই চিন্তা মুক্ত হালাল আয় নিয়ে। তবে হালাল আয় নিয়ে অনেকে সীমাবদ্ধতা বেঁধে দিলেও ইনভেশন এবং সার্বজনীন অর্থনৈতিক মডেল দিতে পাড়ছে না। তাই মানবতার মুক্তির জন্য ইনভেটিভ ও সার্বজনীন অর্থনৈতিক মডেল আজ সময়ের দাবি। এ বিষয়ে চিন্তাবিদদের অগ্রণী ভূমিকা কামনা করি।