চাকরির তুলনায় ব্যবসায় সম্মান বাড়ে, সম্পদও বাড়ে। এ কারণে অনেকেই ব্যবসা করতে চান তবে অর্থাভাবে মনোযোগ দিতে পারেন না। অনেকেই সমবায় সমিতি কিংবা অংশীদারি ব্যবসায় দুর্নীতির শিকার হয়ে ব্যবসা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন।
সুদ মুক্ত ব্যবসা করার কথা বলে ঘুরিয়ে সুদ খাওয়ার অভ্যাস করেছেন অনেকেই। তাই অল্পতেই বরকত শেষ হয়ে গেছে। ব্যবসা করার কথা বলে অর্থ সংগ্রহ করেছেন তবে দক্ষতা না থাকায় অল্পতেই লোকসান করে পথে নেমেছেন।
এরকম হাজারো ভুল সিদ্ধান্ত নেয়ার কারণে অনেক ব্যবসায়ী সফল হতে পারেননি কিংবা অর্থ উপার্জন করতে সফল হলেও বিক্রি করে দিয়েছেন নৈতিকতা, ব্যক্তিত্ব এবং পরিশেষে জীবন হয়ে গেছে ঝুঁকিপূর্ণ।
তাই সুদ মুক্ত, সামাজিক দায়বদ্ধতা সম্পন্ন এবং অর্থনৈতিক ভাবে লাভজনক এক ব্যবসায় পরিকল্পনা আজ সময়ের দাবি। এ ধরনের ব্যবসায় পরিকল্পনার জন্য সবার আগে তৈরি হতে হবে উদ্যোক্তা। উদ্যোক্তাকে হতে হবে বিশ্বস্ত ও দক্ষ। কারণ বিশ্বস্ততা ও দক্ষতায় রয়েছে নিশ্চিত সাফল্য।
এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে যে বর্তমান সমাজ পুঁজির কাছে জিম্মি। তাই প্রথমেই পুঁজি সংগ্রহে নামতে হবে বিশ্বস্ততাকে কাজে লাগিয়ে। আপনি যদি বিশ্বাসী না হন তাহলে কী করে মানুষ আপনাকে অর্থ দিবে? এজন্য ধরে রাখতে হবে স্বচ্ছতা। আত্মনিয়ন্ত্রিত ও বিশ্বস্ত মানুষ যারা চূড়ান্ত সাফল্য চায় অবিরত চেষ্টার দ্বারা তাদের জন্যই ব্যবসায় পরিকল্পনা।
দেশে প্রচলিত চুক্তি আইন অনুযায়ী খুব সহজেই লিখিত চুক্তি করে অর্থ ধার নিতে পারেন কিংবা কোনো বিশেষ ব্যবসা করার জন্য চুক্তি বদ্ধ হতে পারেন। যেমন ধরুন একটি ডিপার্টমেন্ট স্টোর করার জন্য এই বলে চুক্তি করতে পারেন যে উদ্যোক্তা নিজে এবং পরিচিতজন অর্থ বিনিয়োগ করবে। এখানে বিনিয়োগকারী লাভের একটি অংশ পাবে এবং প্রয়োজনে মূলধন নির্দিষ্ট সময়ের নোটিস দিয়ে ফেরত নিয়ে যেতে পারবে।
চুক্তিতে একটি ধারা থাকতে পারে যে লোকসান উদ্যোক্তা নিজেই বহন করবে তবে লাভ আনুপাতিক হারে বণ্টন হবে। ঠিক একই শর্তে বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানও গড়ে উঠতে পারে। উদ্যোক্তার বিশ্বস্ততা ও দক্ষতার সুনাম যত বাড়বে তত বেশি মূলধন সংগ্রহও করা সহজ হবে এবং তত বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠানো সহজ হবে।