স্বাধীনতা ও অপরাধীদের নিয়ে কিছু কথা

মুন্না খান
Published : 9 April 2017, 07:57 PM
Updated : 9 April 2017, 07:57 PM

১৯৭১ সালে ৩০ লক্ষ শহীদের বিনিময়ে স্বাধীন দেশ পেয়েছি। কতো কষ্ট করে মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের দেশকে স্বাধীন করেছেন কিন্তু এখন তো দেখি আমাদের দেশে স্বাধীনতা নাই। এই দেশ থেকে স্বাধীনতা হারিয়ে গেছে। এদেশে সত্যি কথা প্রকাশ করতে ইচ্ছুক হইলে প্রতারণার শিকার হতে হয়। এই কেমন দেশ? আমাদের দেশ স্বাধীন দেশ বলা হয় কিন্তু আমাদের দেশ এখনো স্বাধীন দেশ হয় নাই। আমাদের দেশ স্বাধীন করতে হলে সঠিক আইন মানতে হবে। আমাদের আইন-কানুন সঠিক পথে চালাতে হবে, প্রশাসন সত্য পথে থাকতে হবে ও মানবতা থাকতে হবে। সম্মান দিতে হবে সকল পেশার মানুষকে। আমাদের দেশে সবার সমান অধিকার দিতে হবে। সত্য বলার অগ্রাধিকার দিতে হবে। অপরাধীকে কিভাবে ভালো পথে আনা যায় তা সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। আমাদের দেশে এখন অপরাধ দমনের জন্য মাঠে বেশি কাজ করে থাকেন আমাদের পুলিশ ভাই ও অন্যান্য আইন-শৃংখলা বাহিনী।

এই দেশে আজ সাধারণ মানুষ চলাফেরা করতে ভয় পাচ্ছে। সঠিক পথে চলাফেরা করতে পারছে না। কেন পারছে না তা নির্ভর করে দেশে আইনের উপর। কোন ধরনের কার্যকলাপ, ঘটনা কিছু ঘটলে সাংবাদিক ভাইরা হাজির হন এবং তারা চেষ্টা করেন সঠিক সংবাদ প্রকাশ করতে। কিন্তু বিভিন্ন সমস্যার কারণে অনেক সঠিক সংবাদ ভুল প্রকাশিত হয়। আইন-শৃংখলা বাহিনী আমাদের দেশের গর্ব। ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধারা যেমন এই দেশকে স্বাধীন করেছেন ঠিক তেমনি আইন-শৃংখলা বাহিনীর দ্বারা পরিপূর্ণ স্বাধীনতা পাওয়া সম্ভব। এখন মুসলিম ভাইরা পাঞ্জাবী, টুপি পড়তে ও দাঁড়ি রাখতে ভয় পাচ্ছেন এবং কিছু হলে তাদদের দোষী সাবস্থ্য করা হয় এবং লেখন/ব্লগার সোসাল নেটওয়ার্ক ও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ওয়েবসাইট ও ব্লগে লেখতে ভয় পাচ্ছেন। আজকাল মানুষ অনেক কিছু থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ব্লগারা ও মুসলিম ভাইরা সবচেয়ে বিপদের সম্মুখে আছেন। আজকাল রাস্তায় কোন ধরনের প্রকাশ্যে অপরাধ হলে কেউ বাধা দেয় না, কারণ বাধা দিলে হয়তো সেও অপরাধীদের তালিকায় লিস্টে তার নাম লেখা হবে।

অপরাধ একটি মানসিক রোগের মত। মানসিক রোগ চিকিৎসা দিলে যেমন ভালো হয় ঠিক অপরাধীকেও ভালো করা যায় । আমাদের দেশে বিভিন্ন কারণে মানুষ অপরাধে জড়িয়ে পরে, আর কি কারনে অপরাধীরা অপরাধ করে তা কোন গবেষণা কিংবা কোন ধরনের প্রদক্ষেপ নেওয়া হয় না। আসুন আমরা সবাই অপরাধ ধমন করি কিন্তু অপরাধীকে নয়। একজন মা অনেক কষ্ট করে একজন নিষ্পাপ সন্তান জন্ম দেন তার পর থেকে সন্তার বড় হতে থাকে, তার পর থেকে সু-শিক্ষায় থেকে বঞ্চিত হয়ে সামাজিক, পারিবারিক, কষ্ট, আবেগ ও অন্যান্য কিছু সমস্যার কারণে মানুষ অপরাধী হয়ে ওঠে। অপরাধ করলে অবশ্যই শাস্তি দরকার, ঠিক তেমনি তাদের সু-শিক্ষা দেওয়া দরকার। রোগীদের জন্য হাসপাতাল তৈরী করা হয়েছে। ঠিক তেমনি অপরাধীর জন্য আদালত ও জেলখানা তৈরী করা হয়েছে। রোগীদের হাসপাতালে নিয়ে রোগ ভলো হয় কিন্তু অপরাধীকে জেলখানায় রাখলে ভলো হয় না। রোগের মধ্যে যেমন বিভিন্ন প্রকার আছে এবং বিভিন্ন রোগের বিভিন্ন প্রকল্প আছে, ঠিক তেমনি অপরাধী দমনের প্রকল্প থাকলেও অপরাধ দমনের কোন প্রকল্প নেই। আমাদের দেশে অপরাধীদের জন্য একটা পদক্ষেপ নেওয়া দরকার যা অপরাধী দমনের জন্য নয় আপরাধ দমনের জন্য। আজকাল প্রতিবন্ধিদের জন্য অনেক ভালো ভালো ট্রিটমেন্ট প্রতিষ্ঠান তৈরি করা হয়েছে ঠিক এই রকম অপরাধীদের কে নিয়ে জেলখানায় ট্রিটমেন্ট দরকার যা একটি স্কুল প্রতিষ্ঠানের মতো সু-শিক্ষিত মানুষ দ্বারা তাদের ন্যায় অন্যায় ও সুন্দর ভাবে চলাফেরা শিখানো।

এভাবে অপরাধীদের জেলখানায় বন্দি থাকা অবস্থায় তাদের শাস্তি দেওয়ার পাশাপাশি সু-শিক্ষা দেওয়া দরকার। এতে অনেক অপরাধী সু-শিক্ষায় অনেকটা ভালো হতে পারে এবং অপরাধ দমন হলে আমরা স্বাধীন ভাবে চলাফেরা করতে পারবো। পরিপূর্ণ স্বাধীনতা পেতে হলে সব কিছু সঠিক ভবে মেনে চলতে হবে। আমাদের দেশে স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয় স্বাধীন দেশ বলে কিন্তু আজ স্বাধীন দেশকে আমরা হারিয়ে ফেলতেছি। আমারদের দেশকে স্বাধীন রাখতে হলে সবাইকে সমান অধিকার দিতে হবে। আইনের লোকেরা সততার সাথে কাজ করতে হবে। আসুন আমরা সবাই অপরাধ দমনে এগিয়ে আসি এবং স্বাধীন ভাবে বেঁচে থাকার চেষ্টা করি।