কে হবে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট?

মেফতাউল ইসলাম
Published : 14 Sept 2012, 06:47 AM
Updated : 14 Sept 2012, 06:47 AM

এ বছরের ৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এ নিয়ে মার্কিনীদের মধ্যে যেমন উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যাচ্ছে তেমনি বিশ্ববাসীও এখন দৃষ্টি রাখছেন এই নির্বাচনের প্রতি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন প্রসঙ্গ নিয়ে বিশ্ব মিডিয়াসহ মার্কিন মিডিয়াগুলো এখন শোরগোল শুরু করেছে। আবার বিভিন্ন সংস্থা একের পর এক চালিয়ে যাচ্ছে জনমত জরিপের কাজটি। সপ্তাহান্তে তারা প্রকাশ করছেন জনমত জরিপের ফলাফল। বিশ্বের সা¤্রাজ্যবাদী এই দেশটির ভবিষ্যৎ নেতৃত্বে ডেমোক্র্যাট না রিপাবলিকানরা ক্ষমতায় আসেন সেটাই এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
বরাবরের মত এবারের নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বীতা হবে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান প্রার্থীদের মধ্যে। রিপাবলিকান দলের প্রার্থী মিট রমনি এবার ডেমোক্র্যাট দলের বারাক ওবামার সাথে লড়বেন। এই লড়াইয়ে রিপাবলিকানদের হস্তীবাহিনী না ডেমোক্র্যাটদের অশ্বারোহীরা এগিয়ে যাবেন তা বোঝা যাবে ৬ নভেম্বর। ইতিমধ্যে এই লড়াইয়ে দু'শিবিরই একে অপরকে বক্তৃতার মাধ্যমে আক্রমণ করে বসছেন। বারাক ওবামা সমালোচনা করছেন রিপাবলিকানদের দুর্বল পয়েন্টগুলোতে আবার মিট রমনিও আঘাত হানার চেষ্টা করছেন ডেমোক্র্যাটদের দুর্বল দিকগুলোতে। দুজনই একে অপরকে সমানে সমান টক্কর দিচ্ছেন। দুজনই এখন প্রচারণায় ব্যস্ত রয়েছেন দোদুল্যমান রাজ্যগুলোতে। যেসব লোক এখনও ঠিক করেনি কাকে ভোট দেবে তাদের মনে আসন পেতে দুজনই নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।

ডেমোক্র্যাটদের দলীয় কনভেনশনে ওবামাকে চূড়ান্ত প্রার্থীরূপে নির্বাচিত করার পর তার জনমত কিছুটা বাড়তে শুরু করেছে। জরিপ সংস্থা ইপসোস এবং বার্তা সংস্থা রয়টার্সের জরিপে দেখা যায় ওবামা রমনির চেয়ে ৪ পয়েন্ট বেশি জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। সংস্থা দুটির জরিপে দেখা যায় ওবামা ৪৭ শতাংশ এবং রমনি ৪৩ শতাংশ সমর্থন পেয়েছেন। এর পূর্বে সিএনএন এবং আরসি যে সমীক্ষার ফল প্রকাশ করেছিল তাতে দেখা গেছে সবকটি ইলেকটোরাল প্রভিন্সের জনমত অনুযায়ী ওবামা ও রমনি ৪৮ শতাংশ করে ভোট পাচ্ছেন। প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূলবর্তী রাজ্যগুলোতে, দক্ষিণভাগে, নিউইয়র্কসহ আটলান্টিক মহাসাগরের উপকূলবর্তী রাজ্যগুলোতে এগিয়ে রয়েছেন ওবামা। অন্যদিকে মধ্যভাগে, উত্তরভাগে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে একচেটিয়াভাবে এগিয়ে রয়েছেন রমনি।

নির্বাচনে জয় লাভের আশায় উভয় প্রার্থীই ঝুড়িভর্তি আশার বাণী শোনাচ্ছেন। দুজনই পেশ করছেন নির্বাচিত হলে কি কি করবেন তার বিস্তারিত বর্ণনা। ওবামা তুলে ধরছেন ওসামা বিন লাদেন অধ্যায়ের সমাপ্তির কৃতিত্ব, ইরাক থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের কৃতিত্ব, আফগানিস্তান যুদ্ধ শেষ করার পরিকল্পনা, ইরানকে একাট্টাভাবে চাপে রাখার সফল কৌশলের কথা। গাড়ি নির্মাণ শিল্পকে বাঁচানোর সাফল্যও তিনি তুলে ধরছেন। গতবার ওবামা পরিবর্তনের ডাক দিয়ে জনআলোড়নের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছিলেন। আর এবার তিনি ডাক দিয়েছেন ফরওয়ার্ড বা সম্মুখ যাত্রার। ওবামার এই সম্মুখ যাত্রা কতটা সফল হবে তা সময়ই বলে দেবে। ওবামা বলছেন,' মার্কিনীদের বর্তমান অর্থনৈতিক দুরাবস্থার জন্য তার পূর্বসুরী জর্জ বুশই দায়ি। তিনিই ইরাক ও আফগানিস্তান যুদ্ধ শুরু করায় মার্কিনীদের জাতীয় ঋণের পরিমাণ বেড়ে গেছে।'

বর্তমানে মার্কিন ঋণের পরিমাণ ১৬ হাজার বিলিয়ন ডলার। প্রতি মুহুর্তে এই ঋণসীমা বেড়েই চলেছে। সম্প্রতি মার্কিন নাগরিকদের মাথাপিছু ঋণের মাত্রা দাড়িয়েছে ৫০ হাজার ডলারে। আশির দশকে মার্কিনীদের জাতীয় আয়ের অনুপাতে দেশের মোট ঋণ ছিল ৪০ শতাংশের কাছাকাছি। একুশ শতকের গোড়ায় তা ৬০ শতাংশে পৌছায়। এখন অনুপাতটি প্রায় একশ শতাংশ ছুয়েছে। মার্কিন অর্থনীতির অন্তর্নিহিত সমস্যাটির একটি প্রধান কারণ আয় ও ব্যয়ের ভারসাম্যহীনতা। বর্তমানে সরকারি কোষাগার এবং বেসামরিক পরিসর সর্বত্রই আয়ের চেয়ে ব্যয় অনেক বেশি। আবার মার্কিন নাগরিকদের ঋণ করে ব্যয়ের প্রবণতা অনেক বেশি। তাছাড়া গত এক দশকে মার্কিন সরকারের ব্যয়ও ব্যাপকহারে বেড়ে গেছে। সে তুলনায় আয় বৃদ্ধি পেয়েছে অনেক কম। পূর্বোক্ত প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের আমলে অবস্থাসম্পন্ন নাগরিকদের বিভিন্ন করছাড় দেয়া হয়েছিল। ফলে রাজস্ব সীমিত এবং সংকুচিত হয়েছে। যার দরুণ এখনও সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। অর্থাৎ মার্কিনীদের অর্থনীতিতে বর্তমানে যে রুগ্ন অবস্থা লক্ষ্য করা যাচ্ছে তা ওবামা উত্তরাধিকার সূত্রেই পেয়েছেন। এ কারণে ৫ সেপ্টেম্বর ডেমোক্র্যাটিক পার্টির জাতীয় সম্মেলনে নর্থ ক্যারোলাইনার শালর্ট শহরে বিল ক্লিনটন তার বক্তৃতায় বলেন, 'আমেরিকার বর্তমান অর্থনীতির নাজুক অবস্থার জন্য ওবামাকে দোষ দেয়া যায়না। কেননা তা তিনি পেয়েছেন উত্তরাধিকার সূত্রেই।' তিনি আরও বলেন ওবামা যে নীতি গ্রহণ করেছেন তাতে দেশের অর্থনীতি ধসে পড়া থেকে রক্ষা পেয়েছে এবং তা ঘুরে দাঁড়ানো শুরু করেছে। ওবামার অর্থনৈতিক কর্মসূচী ভালোভাবে কাজ করছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। আর তাই অর্থনীতি পুনরুদ্ধার এবং অধিক কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য ওবামাকে পুনঃনির্বাচিত করা উচিত বলে তিনি মনে করেন। ধারনা করা হচ্ছে এবারের নির্বাচনেও ওবামার মূল্যবান অস্ত্র হচ্ছে বিল ক্লিনটন। তিনি মার্কিনীদের নিকট এখনও এক জনপ্রিয় রাষ্ট্রনায়ক। ক্লিনটনের বক্তব্য শ্বেতাঙ্গ মার্কিন ভোটারদেরকে ওবামার পক্ষে অনেকটাই উৎসাহী করবে বলে বিশ্লেষকরা ধারনা করছেন।
আফ্রো-এশীয়, এশীয় ও অশ্বেতকায় মানুষদের কাছে ওবামা এখনও অবিসংবাদিত নেতা। একটি সমীক্ষায় দেখা যায়, মার্কিন সমাজে চোরা বর্ণবিদ্বেষ, জাতিবিদ্বেষ এখনও রয়েছে। তাই বর্ণবাদ প্রসঙ্গে ওবামাই সুবিধা পাবেন বলে ধারনা করা হচ্ছে। আবার শ্বেতাঙ্গদের নিকট এখনও অবিসংবাদিত নেতা হতে পারেননি রমনি। তাই ওবামা বিল ক্লিনটনকে কাজে লাগিয়ে শ্বেতাঙ্গদের মন জয় করতে চেষ্টা করবেন বলে ধারনা করা হচ্ছে।

মিট রমনিও এই নির্বাচনে যে সুবিধাজনক অবস্থানে নেই তা কোনভাবেই বলা যায়না। রমনি বর্তমানে দেশের অর্থনৈতিক দুরাবস্থা, বেকারত্ব, ধর্ম, উগ্রবাদ ইত্যাদি বিষয়কে সামনে রেখে ওবামার সমালোচনা করে যাচ্ছেন। ওবামার অর্থনৈতিক পরিকল্পনাকে তিনি বরাবরই ভুল প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করছেন। তিনি বলছেন ওবামা প্রশাসন অভ্যন্তরীন অর্থনীতি সুসংহতকরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও বেকারত্ব লাঘবে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে। দেশটির বেকারত্বের হার এখনও ৮ শতাংশ। চাকুরীর বাজারে এখনও খরা চলছে, জনগণের ঋণের বোঝা দিন দিন বেড়েই চলেছে। তাই অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ওবামার দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মিট রমনি। ধারনা করা হচ্ছে ওবামা পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে সফল হলেও দেশের অভ্যন্তরীন অর্থনৈতিক দুরাবস্থাকে মোকাবেলা করতে সক্ষম হননি। সেটা রমনির জন্য ওবামাকে আক্রমণ করার একটি সুযোগ সৃষ্টি করেছে। মনে করা হচ্ছে জনগণ ভোট দেয়ার ক্ষেত্রে দু'দলের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের নীতিগুলোকে সর্বপ্রথম আমলে নেবে। এক্ষেত্রে রমনি বলছেন নিজের ব্যবসায়িক প্রজ্ঞা এবং জনগণের সহযোগীতার মাধ্যমেই তিনি ভবিষ্যতে আমেরিকানদের অর্থনৈতিক দুরাবস্থার মোকাবেলা করবেন। তাই ধনিক এবং ব্যবসায়ি শ্রেণী রমনির প্রতি আকৃষ্ট হতে পারেন বলে বিশ্লেষকরা ধারনা করছেন। এছাড়া রমনি গড়ে আয়কর ২০ শতাংশ কমিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কম উৎপাদনকারীদের রেয়াত দেয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আবার অলটারনেটিভ মিনিমাম ট্যাক্স ও এসটেট ট্যাক্স নামে অভিহিত আয়করও প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন রমনি। সামাজিক সুরক্ষার ক্ষেত্রে ভাতা সুবিধা পাওয়ার আওতাযোগ্য বয়সসীমা বাড়াতে চান রমনি। রমনির এই বিস্তৃত অর্থনৈতিক পরিকল্পনা তার জন্য সুবিধাজনক ফলাফল বয়ে আনতে পারে। তবে পররাষ্ট্রনীতিতে রমনির প্রতিশ্রুতিগুলো জর্জ বুশের অনুরূপ। মধ্যপ্রাচ্য ইস্যুতে ইসরাঈলের প্রতি আকুন্ঠ সমর্থন ও বৈশ্বিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান তার পররাষ্ট্রনীতির লক্ষ্য। ফলে দেখা যাচ্ছে পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ে রমনির অবস্থান বারাক ওবামার ঠিক বিপরীত। আল কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনের সমাপ্তি ও গতকয়েক বছরে ওবামার পররাষ্ট্রনীতির কার্যকারীতার বিপরীতে উল্লেখযোগ্য কোন পরিকল্পনা দাড় করাতে পারেননি রমনি। অর্থাৎ পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে ওবামা অপেক্ষা পিছিয়ে রয়েছেন রমনি।

আমেরিকার নাগরিকরা সরাসরি ভোটের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে পারেননা। তারা কেবল স্থানীয় প্রতিনিধি নির্বাচন করেন। আর নির্বাচিত প্রতিনিধিরাই মূলত প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করে থাকেন। নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে ইলেকটোরাল কলেজ গঠিত হয়। একটি রাজ্যের ইলেকটোরাল আসন সংখ্যা রাজ্যটির জন্য বরাদ্দকৃত সিনেট ও প্রতিনিধি পরিষদের মোট আসন সংখ্যার সমান। বর্তমানে ইলেকটোরাল কলেজের মোট আসন ৫৩৮টি। নির্বাচনে কোন প্রার্থীকে বিজয়ী হতে হলে কমপক্ষে ২৭০টি ইলেকটোরাল ভোট অর্জন করতে হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে ভোট গননার পদ্ধতি দুটি। একটি হল মাথাপিছু ভোট বা পপুলার ভোট। অন্যটি হল রাজ্যভিত্তিক ইলেকটোরাল কলেজ ভোট। মার্কিন গণতন্ত্রে পপুলার ভোটের চেয়ে ইলেকটোরাল কলেজ ভোট অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। একজন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী সর্বাধিক পপুলার ভোট অর্জন করলেও সে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবার নিশ্চয়তা পায়না। কিন্তু নির্দিষ্ট পরিমাণ ইলেকটোরাল কলেজ ভোট(২৭০) অর্জন করতে সক্ষম হলেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবার যোগ্যতা অর্জন করে।

যাহোক এবারের নির্বাচনে দু'দলেরই লক্ষ্য যুক্তরাষ্ট্রের বিশাল মধ্যবিত্ত শ্রেণীর সমর্থন নিশ্চিত করা। গত নির্বাচনে এ মধ্যবিত্তের দেয়া ভোটেই ৬৮ শতাংশ জনপ্রিয়তা নিয়ে নির্বাচনী তরী পার করেছিলেন বারাক ওবামা। তাই এবারও তিনি মধ্যবিত্ত শ্রেণীর উপর গুরুত্ব প্রদান করছেন। মধ্যবিত্ত শ্রেণীর উপর গুরুত্ব আরোপ করছেন রমনিও। মূলত মার্কিন অর্থনীতির গতি প্রকৃতিই নির্ধারণ করে দেবে প্রেসিডেন্ট পদপ্রত্যাশীদের ভাগ্য। ওবামা যদি তার অর্থনৈতিক নীতিগুলোকে সুস্পষ্টভাবে জনগণের সামনে তুলে ধরতে পারেন এবং মার্কিন অর্থনীতিতে গতিশীলতা সৃষ্টি করতে পারেন তবে তিনিই হতে পারেন পুনঃনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট। অন্যদিকে রমনি যদি ওবামার অর্থনৈতিক নীতিগুলোর ত্রুটি জনসম্মুখে তুলে ধরতে পারেন এবং অর্থনীতি উদ্ধারের বিকল্প পথ প্রদর্শন করতে পারেন তাহলে ওবামা হবেন এক মেয়াদের মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশটির প্রেসিডেন্ট কে নির্বাচিত হবেন তা নিয়ে বিশ্ববাসীর জল্পনা কল্পনা শেষ নেই। সবখানেই এ নিয়ে উন্মত্ততা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সকলেই ওবামা ও রমনির বাকযুদ্ধ উপভোগ করছেন। মার্কিনীরাও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করছে দুই নেতার বক্তব্য ও পরিকল্পনার কথা। মার্কিন জনগণ ভোট দেবে সেই প্রার্থীকেই যার দ্বারা মার্কিন অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হবে। মার্কিন অর্থনীতিকে গতিশীল করার জন্য পরিকল্পনাভিত্তিক যে যতবেশি এগুতে পারবে সেই নির্বাচিত হবে এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই।