তার পরনে একটা সাদা শার্ট আর লুঙ্গি, হাতে ধরা সিগারেট, চিবিয়ে চিবিয়ে পান খাচ্ছেন! আমাকে দেখেই একটা হাঁক দিলেন, এই যে আপনি কিসের ছবি তোলেন? আমি বল্লাম এই গাড়ীর ছবি তুলি। এই গাড়ীটা দেইখাই মনে হইতাছে ফিটনেসে গন্ডগোল আছে।
লক্কর ঝক্কর মার্কা এই রকম গাড়ী ঢাকা শহরের অনেক জায়গায় চলাচল করে। ছবিটি মতিঝিল এলাকা থেকে তোলা হয়েছে। ছবি: মনিরুল আলম
.
গাড়ীর লাইট, বডি, সিট কিছুই ঠিক নাই। আমার কথাটা শুনে সে যেন আরো বিরক্ত হলো। সে বলল, সব কিছুই ঠিক আছে— ফিটনেস ঠিক আছে, লাইন ম্যান ঠিক আছে, সার্জেন্ট ঠিক আছে। আপনি আমার গাড়ীর ছবি তুলবেন না। আমি তাকে বললাম, এই গাড়ী রাতে চলাচল করলে এ্যাকসিডেন্ট হতে পারে— এইটা আপনার জন্য ক্ষতি, যাত্রীদের জন্য ক্ষতি। ছবিটা প্রকাশ করা হলে আপনি নিজেও সর্তক হবেন, অন্যরাও সর্তক হবেন। রাগ কইরেন না ভাই। আর আপনার গাড়িতেই তো লিখে রেখেছেন "পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আদালত মানুষের বিবেক।" গাড়ীটার দিকে একবার তাকিয়ে বলেন তো আপনার বিবেক কী বলে?
ভাই কিছু নিয়ম-কানুন তো মানতে হয়, তাই না? তার সাথে কথা বলতে বলতে সে একটু যেন নরম হয়ে এলো। তার সাথে থাকা লোকজন আস্তে আস্তে সরে গেলেন। মানুষকে বুঝিয়ে বললে হয়তো কিছুটা কাজ হয়। হিউম্যান হলারটির নাম ছিল— নিশা পরিবহন। পরিবহনটি মতিঝিল-বাসাবো লাইনে চলাচল করে।
লেখক : সাংবাদিক ও আলোকচিত্রী