আমরা বেঁচেছিলাম হুমায়ুনদের সময়ে

মেঘনা পাড়ের ছেলে
Published : 23 Sept 2012, 05:27 AM
Updated : 23 Sept 2012, 05:27 AM

আমাদের জন্ম এবং বেড়ে উঠা হুমায়ুনদের সময়ে। তাঁদের প্রতিভা বিচ্ছুরণের শ্রেষ্ঠ সময়েই আমরা তাঁদেরকে পেয়েছি। নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে হয় আমরা এই সময়টাকে নিজের চোখে দেখেছি বলে, তিন আলোকবর্তিকার আলোতে আমরা আলোকিত হয়েছি বলে। বাংলা সাহিত্য, সংস্কৃতি, সমাজ গঠনে, তরুনদের মানষ গঠনের তিন কারিগর এঁরা। তিনজনই জন্মেছিলেন প্রায় একই সময়ে, পথও চলেছেন একই সময়ে, নশ্বর এ পৃথিবী ছেড়ে চলেও গেছেন প্রায় কাছাকাছি সময়ে। সেই ত্রিরত্ন – হুমায়ুন আজাদ, হুমায়ুন ফরীদি, হুমায়ুন আহমেদ।

প্রথমে আমরা হারালাম অসভ্য পশুদের আক্রমনের ফলশ্রুতিতে হুমায়ুন আজাদকে, মাঝখানে কয়েক বছরের বিরতি দিয়ে এবছরের শুরুতেই একবুক অভিমান নিয়ে চলে গেলেন সবার প্রিয় হুমায়ুন ফরীদি, আর সবশেষে আমরা হারালাম ত্রিরত্নের শেষ রত্ন হুমায়ুন আহমেদকে। একটা সমাজ ও জাতির গঠনে যাঁদের অবদান থাকে সেই মাপের নতুন তিন জন হুমায়ুনকে পেতে বাঙ্গালীকে কয়েক যুগ অপেক্ষা করতে হতে পারে।

প্রথমেই আসি হুমায়ুন আজাদ প্রসঙ্গে :
(জন্ম: ২৮শে এপ্রিল, ১৯৪৭। মৃত্যু: ১১ই আগস্ট, ২০০৪)

বহুগুনে গুণান্বিত একজন মানুষ। তিনি একাধারে ছিলেন শিক্ষক, সাহিত্য সমালোচক, গবেষক, প্রথাবিরোধী বহুমাত্রিক লেখক ও কবি এবং স্বাধীনতাউত্তর বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ ভাষাবিজ্ঞানী। তার ব্যাপক কার্যের মধ্যে রয়েছে কবিতা, উপন্যাস, রাজনৈতিক ও সাহিত্যনির্ভর প্রবন্ধ এবং ভাষাবিজ্ঞান বিষয়ক রচনা সর্বোপরি মুক্তচিন্তার লেখা। তার সৎ ও নির্মোহ সমালোচনা অনেকের কাছেই আক্রমনাত্মক বলে মনে হতো। প্রবন্ধে তো বটেই, কবিতা ও উপন্যাসেও তিনি আক্রমণ করেছেন প্রথাগত জীবন আর সীমাবদ্ধতাকে। তিনি আক্রমন করেছেন উগ্র মৌলবাদ ও রুগ্ন রাজনীতিকে। আমাদের এই মেকি সময়ে উনিই একমাত্র মানুষ ছিলেন, যিনি কালোকে কালো আর সাদাকে সাদা বলার বিরল গুনের অধিকারী ছিলেন।

তাঁর যুক্তিগুলো ব্যাপক প্রভাব বিস্তারকারী। জীবন সম্পর্কিত দৃষ্টিভঙ্গি সম্পুর্ন পাল্টে দিতে পারে তার লেখা। তাকে সত্যিকার ভাবে বুঝতে হলে তার লেখালেখির গভীরে ঢুকতে হবে। ভাষাভাষা জ্ঞান দিয়ে আজাদকে বোঝা অসম্ভবই বলা যায়। তিনি অকপটে নিজের সমালোচনা করতে পারার দুর্লভ ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন। বিপুল পরিমান সাহিত্য কর্মেরই একটি অংশ তাঁর প্রবচনগুচ্ছ। সেই প্রবচনগুচ্ছের মধ্যে নিচে কয়েকটিরই উল্লেখ করা হলো, তাঁকে বোঝার সুবিধার্থে:

১) "আমার লেখার যে-অংশ পাঠককে তৃপ্তি দেয়, সেটুকু বর্তমানের জন্যে; আর যে-অংশ তাদের ক্ষুব্ধ করে সেটুকু ভবিষ্যতের জন্য।"

২) "আর পঞ্চাশ বছর পর আমাকেও ওরা দেবতা বানাবে; আর আমার বিরুদ্ধে কোনো নতুন প্রতিভা কথা বললে ওরা তাকে ফাঁসিতে ঝুলোবে।"

৩)"একবার রাজাকার মানে চিরকাল রাজাকার; কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা মানে চিরকাল মুক্তিযোদ্ধা নয়।"

৪)"সত্য একবার বলতে হয়; সত্য বারবার বললে মিথ্যার মতো শোনায়। মিথ্যা বারবার বলতে হয়; মিথ্যা বারবার বললে সত্য বলে মনে হয়।"

৫) "পৃথিবীতে যতোদিন অন্তত একজনও প্রথাবিরোধী মানুষ থাকবে, ততো দিন পৃথিবী মানুষের।"

এর পরই আসি হুমায়ুন ফরীদি প্রসঙ্গে :
(জন্ম: ২৯ মে ১৯৫২। মৃত্যু: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১২)

মঞ্চ, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রের শক্তিমান অভিনেতা। তিনি শুধু অভিনয়ের জন্য বাংলাদেশের মানুষের অন্তরের মাঝখানে অবস্থান করেছিলেন এবং এখনও অবস্থান করছেন। শুধু অভিনেতা বললে উনার প্রকৃত অবস্থান কখনও বোঝানো যাবে না, অভিনয়ের বাইরের ব্যাক্তিমানুষটি কতবড়মাপের মানুষ ছিলেন তা যারা তার সংস্পর্শে এসেছে তারাই শুধু জানে। তাঁর সংস্পর্শে আসা মানুষ এবং যারা পর্দায় তাঁকে দেখেছে তাদের সবাইকেই উনি হিপনোটাইজ করে রেখেছিলেন যতদিন বেঁচেছিলেন।

একবার এক অনুষ্ঠানে তাঁকে প্রশ্ন করা হলো, আপনার মতো গুনী অভিনেতা বাংলা সিনেমায় কেনো ? ভনিতা না করে তাঁর স্ট্রেইট কাট উত্তর ছিলো : "যখন মঞ্চে নাটক করতাম, তখন রিক্সায় চড়তাম। যখন টিভিতে নাটক করতাম তখন ট্যাক্সিতে চড়তাম। আর এখন ফিল্ম এ গিয়ে গালিগালাজ করি, তাই আমার একটা গাড়ী হইছে। আমার যদি অনেক টাকা থাকতো আমি মঞ্চ ছাড়া অভিনয়ই করতাম না….। "

বিটিভির ৮০'র দশকের দর্শকরাই সবচাইতে বেশী সৌভাগ্যবান। এই অসামান্য গুনী অভিনেতার অভিনয় দেখতে দেখতেই তাঁদের সময় কেটেছে। বিটিভির সাদা-কালো যুগের সবচাইতে বর্নিল অভিনয় শিল্পী হলেন হুমায়ুন ফরীদি। যাঁর অভিনয় দিয়ে তিনি টিভিপর্দাকে বর্নিল করে তুলেছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে সিনেমায় ব্যস্ত হয়ে পড়ায় তাকে নাটকে দেখা গেছে কম। যদিও ফিরে এসেছিলেন আবার ছোটপর্দায়। গ্রামের সহজ-সরল মানুষ কিংবা মুন্তাসির ফ্যান্টাসী অথবা বিখ্যাত নাটক সংশপ্তক এর কানকাটা রমজান! বাংলা নাটকে হুমায়ুন ফরীদির মত এত ভার্সেটাইল অভিনয় আর কেউ করতে পারেন নি।

একেকটি নাটকে একেক রকম চরিত্রে দুর্দান্ত অভিনয় করে চমকে দিয়েছিলেন দর্শকদের। প্রতিটি চরিত্রেই এতোটা সাফল্যের সঙ্গে অভিনয় করেছেন যে তাঁর অভিনীত চরিত্রটিতে অন্য কোনো শিল্পীকে কল্পনাও করা যেতো না। সবচাইতে আশ্চর্য্যকর ব্যপার হলো, তার অনেক নাটক বা চলচ্চিত্রে তিনি মূল স্ক্রিপ্ট ব্যবহার করেননি। নাট্যকার বা পরিচালক তাঁকে নিজের মত সংলাপ বলার স্বাধীনতা দিতেন। প্রতিটি চরিত্রেই ফরীদি নিজেকে অতিক্রম করে যেতেন অভাবনীয় সাফল্যের সঙ্গে। ফরীদি অভিনীত টিভি নাটকগুলো এদেশের মানুষকে সম্মোহিত করে রেখেছিল দীর্ঘকালব্যাপী। এক পর্যায়ে আমাদের চলচ্চিত্রেরও অনিবার্য অভিনেতা হয়ে উঠলেন হুমায়ুন ফরীদি। নায়ক-নায়িকা নির্ভর আমাদের চলচ্চিত্র শিল্পটি এক পর্যায়ে ফরীদি নির্ভর হয়ে উঠেছিল। ফরীদি অভিনয় করেছেন অথচ চলচ্চিত্রটি ব্যবসা সফল হয়নি এরকম উদাহরণ ছিলোইনা বলা যায়।

খুব ছোট্ট একটা চরিত্রেও তাঁর স্বল্পকালীন উপস্থিতি দিয়েই অন্য সবাইকে ম্লান করে দেয়ার অবিশ্বাস্য ক্ষমতা তার ছিলো। হুমায়ুন ফরীদি এমন মাপের একজন অভিনেতা যাঁকে চাইলেই স্মৃতি থেকে মুছে ফেলা যাবে না। আজও টিভির রিমোট হাতে নিয়ে চ্যানেল পাল্টাতে গেলে ফরীদির কোন নাটক পড়লে সে চ্যানেল টপকে যাওয়া বাংলাদেশের কোন দর্শকের পক্ষে অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়।

সর্বশেষে আসি হুমায়ুন আহমেদ প্রসঙ্গে :
(জন্ম: ১৩ নভেম্বর, ১৯৪৮। মৃত্যু : ১৯ জুলাই, ২০১২)

বিংশ শতাব্দীর বাঙ্গালি জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিকদের মধ্যে তিনি শ্রেষ্ঠতম।
তিনি একাধারে শিক্ষক, ঔপন্যাসিক, কল্পবিজ্ঞান সাহিত্যিক, ছোটগল্পকার, নাট্যকার এবং চলচ্চিত্রকার।তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা প্রায় তিনশত।

আমাদের পুরো সমাজের চিন্তায়, ভাবনায়, দৃষ্টিভঙ্গিতে, বেড়ে ওঠায়, জীবনবোধে তিনি ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে গেছেন অনেকটা লম্বা সময় ধরে। বিশেষ করে তরুন সমাজের চিন্তা ও চেতনায় তিনি আরও অনেকটা সময় অবস্থান করবেন।

হুমায়ুন সম্পর্কে একবার সুনীল গঙ্গোপাধ্যয় বলেছিলেন " তিনি রহস্য লেখেন না,তার লেখায় সেক্স নেই, ভায়োলেন্স নেই, তরল প্রেমের ভাবাবেগ নেই অথচ আশ্চযের্র বিষয় তিনি তুমুল জনপ্রিয়"।এটা আসলে অনেক সাহিত্যিকের কাছেই বিস্ময়।"

তরুন প্রজন্মের মাঝে আকাশ ছোঁয়া জনপ্রিয়তার এক কিংবদন্তী ছিলেন তিনি । যেন হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার যাদুর এক জগৎ। গল্পের বুননে ম্যাজিক দেখিয়ে যিনি পাঠককে করে ফেলতেন হিপনোটাইজ।

নিজের জনপ্রিয়তা নিয়ে একবার তিনি বলেছিলেন "অধিকাংশ মানুষের মেধা আসলে এভারেজ স্তরের। একারণে এভারেজ স্তরের জিনিসই অধিকাংশ মানুষের পছন্দ।তাই জনপ্রিয় সাহিত্যিক মানে এভারেজ সাহিত্যিক।" নিজেকে নিয়ে এরকম হিউমার সবাই পারে না। এটাই হুমায়ুন আহমেদ।

সংক্ষিপ্তাকারে হুমায়ুন আজাদের সাহিত্যকর্ম:
কাব্যগ্রন্থ:
অলৌকিক ইস্টিমার, জ্বলো চিতাবাঘ, সবকিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে, যতোই গভীরে যাই মধু যতোই উপরে যাই নীল, আমি বেঁচে ছিলাম অন্যদের সময়ে, হুমায়ুন আজাদের শ্রেষ্ঠ কবিতা, আধুনিক বাংলা কবিতা, কাফনে মোড়া অশ্রু বিন্দু, কাব্য সংগ্রহ, পেরোনোর কিছু নেই।

উপন্যাস বা কথাসাহিত্য :
ছাপ্পান্নো হাজার বর্গমাইল, সব কিছু ভেঙে পড়ে, মানুষ হিশেবে আমার অপরাধসমূহ, যাদুকরের মৃত্যু, শুভব্রত – তার সম্পর্কিত সুসমাচার, রাজনীতিবিদগণ, কবি অথবা দন্ডিত অপুরুষ, নিজের সঙ্গে নিজের জীবনের মধু, ফালি ফালি ক'রে কাটা চাঁদ, শ্রাবণের বৃষ্টিতে রক্তজবা, ১০,০০০ এবং আরো একটি ধর্ষণ, একটি খুনের স্বপ্ন, পাক সার জমিন সাদ বাদ।

সমালোচনা ও গবেষণাগ্রন্থ :
শিল্পকলার বিমানবিকীকরণ ও অন্যান্য প্রবন্ধ, ভাষা-আন্দোলন: সাহিত্যিক পটভূমি, নারী, প্রতিক্রিয়াশীলতার দীর্ঘ ছায়ার নিচে, নিবিড় নীলিমা, মাতাল তরণী, নরকে অনন্ত ঋতু, জলপাই রঙের অন্ধকার , রবীন্দ্র প্রবন্ধ/রাষ্ট্র ও সমাজচিন্তা, শামসুর রাহমান/নিঃসঙ্গ শেরপা, সীমাবদ্ধতার সূত্র, আধার ও আধেয়, আমার অবিশ্বাস, পার্বত্য চট্টগ্রাম : সবুজ পাহাড়ের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হিংসার ঝরনাধারা, মহাবিশ্ব, দ্বিতীয় লিঙ্গ (মূল : সিমোন দ্য বোভোয়ার), আমরা কি এই বাঙলাদেশ চেয়েছিলাম, ধর্মানভূতির উপকথা ও অন্যান্য।

ভাষাবিজ্ঞান:
Pronominalization in Bengali, বাঙলা ভাষার শত্রুমিত্র, বাক্যতত্ত্ব, বাঙলা ভাষা, তুলনামূলক ও ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞান, অর্থবিজ্ঞান।

কিশোরসাহিত্য:
লাল নীল দীপাবলি বা বাঙলা সাহিত্যের জীবনী, ফুলের গন্ধে ঘুম আসেনা , কতো নদী সরোবর বা বাঙলা ভাষার জীবনী, আব্বুকে মনে পড়ে, বুকপকেটে জোনাকিপোকা, আমাদের শহরে একদল দেবদূত, অন্ধকারে গন্ধরাজ, Our Beautiful Bangladesh।

অন্যান্য:
হুমায়ুন আজাদের প্রবচনগুচ্ছ, সাক্ষাৎকার, আততায়ীদের সঙ্গে কথোপকথন, বহুমাত্রিক জ্যোতির্ময়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রধান কবিতা।

সংক্ষিপ্তাকারে হুমায়ুন ফরীদির শিল্পকর্ম:
অভিনীত মঞ্চনাটক:
কিত্তনখোলা, মুন্তাসির ফ্যান্টাসি, কিরামত মঙ্গল, ধূর্ত উই।

অভিনীত টিভি নাটক:
নিখোঁজ সংবাদ, হঠাৎ একদিন, পাথর সময়, সংশপ্তক, সমূদ্রে গাংচিল, কাছের মানুষ, মোহনা, নীল নকশাল সন্ধানে, দূরবীন দিয়ে দেখুন, ভাঙ্গনের শব্দ শুনি, কোথাও কেউ নেই, সাত আসমানের সিঁড়ি, সেতু কাহিনী, ভবের হাট, শৃঙ্খল, জহুরা, আবহাওয়ার পূর্বাভাস, প্রতিধ্বনি, গুপ্তধন, সেই চোখ, অক্টোপাস, বকুলপুর কত দূর, মানিক চোর।

অভিনীত চলচ্চিত্রসমূহ:

বিকল্প ধারার চলচ্চিত্র ( দহন, একাত্তরের যীশু,ব্যাচেলর, জয়যাত্রা, শ্যামল ছায়া, দূরত্ব, আহা!, মেহেরজান।)

বানিজ্যিক ধারার চলচ্চিত্র (সন্ত্রাস, লড়াকু, দিনমজুর, বীর পুরুষ, বিশ্ব প্রেমিক, আজকের হিটলার, দুর্জয়, শাসন, আঞ্জুমান, আনন্দ অশ্রু, মায়ের অধিকার, আসামী বধু, প্রাণের চেয়ে প্রিয়, ভালোবাসি তোমাকে, কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টি, মাতৃত্ব, প্রবেশ নিষেধ, ভণ্ড, অধিকার চাই, মিথ্যার মৃত্যু, বিদ্রোহী চারিদিকে, মনে পড়ে তোমাকে, টাকা, চেহারা, কি যাদু করিলা।)

সংক্ষিপ্তাকারে হুমায়ুন আহমেদ এর সৃষ্টিকর্ম:
টিভি ধারাবাহিক নাটক:
এইসব দিন রাত্রি, বহুব্রীহি, কোথাও কেউ নেই, নক্ষত্রের রাত, অয়োময়, আজ রবিবার।

উপন্যাস:
নন্দিত নরকে, শঙ্খনীল কারাগার, এইসব দিনরাত্রি, জোছনা ও জননীর গল্প, মন্দ্রসপ্তক, দূরে কোথাও, সৌরভ, নি, ফেরা, কৃষ্ণপক্ষ, সাজঘর,
বাসর, গৌরীপুর জংশন, নৃপতি, বহুব্রীহি, আশাবরি, দারুচিনি দ্বীপ, শুভ্র, নক্ষত্রের রাত, নিশীথিনী, আমার আছে জল, কোথাও কেউ নেই, আগুনের পরশমণি, শ্রাবণ মেঘের দিন, আকাশ ভরা মেঘ, মহাপুরুষ, শূন্য, ওমেগা পয়েন্ট, ইমা, আমি এবং আমরা, কে কথা কয়, অমানুষ, অপেক্ষা, মেঘ বলেছে যাবো যাবো, পেন্সিলে আঁকা পরী, অয়োময়, কুটু মিয়া, দ্বিতীয় মানব, ইস্টিশন, মধ্যাহ্ন, মাতাল হাওয়া, শুভ্র গেছে বনে, ম্যজিক মুনসি,
আমরা কেউ বাসায় নেই, মেঘের ওপারে বাড়ি, এপিটাফ।

হিমু সংক্রান্ত উপন্যাস: ( ময়ুরাক্ষী, দরজার ওপাশে, হিমু, হিমুর হাতে কয়েকটি নীলপদ্ম, এবং হিমু,পারাপার, হিমুর রুপালী রাত্রি, একজন হিমু কয়েকটি ঝিঁঝিঁ পোকা, হিমুর দ্বিতীয় প্রহর, তোমাদের এই নগরে, সে আসে ধীরে, আঙ্গুল কাটা জগলু, হিমু মামা, হলুদ হিমু কালো র‌্যাব, আজ হিমুর বিয়ে, হিমু রিমান্ডে, হিমুর মধ্যদুপুর, চলে যায় বসন্তের দিন, হিমুর একান্ত সাক্ষাৎকার ও অন্যান্য)।

মিসির আলি সংক্রান্ত উপন্যাস : ( দেবী, নিশিথিনী, নিষাদ, অন্যভুবন, বৃহন্নলা, ভয়, বিপদ, অনীশ, মিসির আলির অমিমাংসিত রহস্য, আমি এবং আমরা, তন্দ্রাবিলাস, আমিই মিসির আলি, বাঘবন্দী মিসির আলি, কহেন কবি কালিদাস, হরতন ইশকাপন, মিসির আলির চশমা, মিসির আলি! আপনি কোথায়?, মিসির আলি আনসলভ, যখন নামিবে আঁধার) ।

আত্মজীবনী:
বলপয়েন্ট, কাঠপেন্সিল, ফাউন্টেন পেন, রংপেনসিল, নিউইয়র্কের নীলাকাশে ঝকঝকে রোদ, হোটেল গ্রেভার ইন, আমার ছেলেবেলা।

আমরা বেঁচেছিলাম হুমায়ুনদের সময়ে, উত্তরপুরুষের কাছে এই গল্পটা বলে যাবার সুযোগ আমরা পেয়েছি, এটা আমাদের পরম পাওয়া।