আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী জামায়াতের নেতা হলে ব্যাখ্যা কেমন হত!

মেহেদী হাসান
Published : 1 Oct 2014, 04:26 PM
Updated : 1 Oct 2014, 04:26 PM

আচ্ছা, আওয়ামী লীগ বলে নিজের দলের নেতারও সমালোচনা করে অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছে, কিন্তু অন্য দল হলে কি তা সম্ভব হতো? আসুন দেখি, জামায়াতের আতিনেতা পাতিনেতারা বা ছাগুরা হুলো-বিড়াল নেতাদের কেমন করে প্রশ্রয় দিত: ধরুন আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী জামায়াতের নেতা, তার যুক্তরাষ্ট্রে  বক্তব্যের রেশ ধরে জামায়াতের কর্মীরা তা ইসলামের আলোকে বলে কিভাবে মিথ্যা ব্যাখ্যা দিত:

১. আব্দুল্লাহর বেটা মুহাম্মাদ > জামায়াত বলত, আসলে জামায়াতের সিনিয়র নেতা আল্লামা আব্দুল লতিফ সাহেব ঠিকই বলেছেন । কারণ, মুহাম্মাদ যে মানুষের ছেলে , তিনি ঈশ্বর নোন তা উনার বক্তব্যে পরিস্কার হয়েছে । আল্লাহ পাক হযরত ঈসা (আ) কে বার বার 'ঈসা ইবনে মারিয়ম' বলেছেন । তাকে মরিয়মের পুত্র ঈসা বলার কারণ হল তিনি মানুষ এটাই প্রমাণ করা অবশ্যই তিনি খোদার পুত্র নয় , সেটার সাথে মিল রেখে আমাদের নবীকেও আমাদের আলা হযরত আব্দুল সিদ্দিকী লতিফ সাহেব আবদুল্লাহ বেটা মুহাম্মাদ বলেছেন যা আরবিতে 'মুহাম্মাদ ইবনে আবদুল্লাহ' বলেছেন । এটা সম্পূর্ণ শরিয়ত সম্মত । জয়েজ ……..

২. হজ করতে এত লোকের যাওয়ার কি দরকার > জামায়াতের ব্যাখ্যা , আসলে আমাদের নেতা জনাব মওলানা লতিফ (র:) অত্যন্ত সঠিক ও নেক কথা বলেছেন । কারণ, হজ্ব শুধু ধনিদের জন্য , আমাদের দেশে গরিব মানুষ জমি বিক্রি করে হজ্ব যায় । এতে দেশের ক্ষতি ইসলামের ক্ষতি । কারণ, রসূল (সা) বলেছেন ' সেই ব্যক্তি আমার কাছে প্রিয় যে নিজের পরিবারের প্রতি দয়ালু' .. জমি বিক্রি করে টাকা নিয়ে হজ্ব করে পরিবারকে পথে বসানোর কোন মানে হয়না । যে হাজিরা এটা করে তারা মানবতার শত্রু ।

৩. তোমরা ক্যামলা কাজ করতে এসেছ , রাজনীতি করার কি দরকার ? .. জামায়াতের ব্যাখ্যা: আসলে আমাদের নেতা ঠিক বলেছেন । ইসলামে ইতিহাসে আছে, খলিফার শাসন আমলে একজন প্রদেশের গভর্ণরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিতে খলিফার কাছে এল, আর খলীফা তাকে কতল করল । কেননা, হুকমত মানা ফরজ । তাই কোন সমালোচনা বা রাজনীতি করা কারো জায়েজ নেই শুধু রাজনীতিবীদরাই করতে পারে । … আর ক্যামলাদের ক্যামলা মনে করে থাকাটাই উত্তম ।কেননা, রসূল বলেছেন 'তোমরা যদি সুখি হতে চাও তবে নিজেদের চেয়ে নিচু মানুষদের দিকে তাকাও উপরের দিকে নয় ।

৪. ১ লক্ষ টাকার নিচে আমি চান্দা নিইনা > জামায়াতের ব্যাখ্যা … আসলে চান্দা হল 'জিহাদে ফি ছাবিলিল্লাহ'র কুপন দ্বারা গৃহীত মাসিক হাদিয়া সরূপ । এটা দ্বারা হযরত লতিফ ইবনে সিদ্দিকী সাহেব নিজের হিসাবটা খুব পরিস্কার করেছেন । এমন স্বচ্ছতা কেবল জামায়াতের নেতাদের দ্বারাই সম্ভব ।

৫. তাবলীগ জামাতের কোন কাজ নেই এরা শুধু শুধ খায় আর জানজোট সৃষ্টি করে> জামায়াতের মন্তব্য …. আসলে আমাদের নেতা ঠিকই বলেছেন । উনি একজন ভাষাসৈনিক, জেহাদী মানুষ । উনিই তুলে ধরেছেন বেদাত কি জিনিস । তাবলীগ একটি বেদাতি সংগঠন , আমরা জামায়াতে ইসলামী এতবড় দ্বীনি প্রতিষ্ঠান থাকতে তাদের মত সন্যাসী সংগঠনের কি দরকার? দেশে ইসলামী আইন না থাকলে মসজিদে মসজিদে ধর্ণা দিয়ে কি ইসলাম কায়েম হবে ? তারা মসজিদে ঢুকে খাবার খায়, ঘুমায় , খুব সমস্যা । রাতে যদি মসজিদে স্বপ্নদোষ হয়ে যায় তবে মসজিদকে অপবিত্রতা থেকে কে আটকাবে ? আর তারা যেভাবে মোনাজাত করে এটা শরীয়তের দৃষ্টতে সম্পূর্ণ বেদাত ।