জামায়াতের অপরাজনীতি বনাম রাস্ট্রের উদাসীনতা !!

মেহেদী হাসান
Published : 13 Feb 2012, 08:06 AM
Updated : 13 Feb 2012, 08:06 AM

দীর্ঘদিন যাবৎ যে দলটি বিভন্ন অপরাধ ও অপকর্মের জন্মদিয়ে আসছে সেইটির নাম জামায়াতে ইসলাম ! দলটি মুখে ইসলামের লেবাস থাকলেও প্রকৃত পক্ষে ইসলামের কোন আকিদা নেই । দলটি ফেতনা-ফাসাদে লিপ্ত, যা তাদের প্রতিষ্ঠাতা আবু আ'লা মওদুদির আদর্শ । যিনি পাকিস্তানের আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ১০ হাজার মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছিলেন , অথচ আগুনে পুড়িয়ে একটি কিট-পতঙ্গকেও মারা হারাম, হাদিস শরীফে আছে "তোমরা আগুনে কোন প্রানীকে শাস্তি দিওনা কেননা শুধু আল্লাহ তা'লারই আধিকার আছে মানুষকে জাহান্নামের পগুনে পোড়ানোর"। এই ঘটনার কারণে লোকটিকে পাকিস্তান সুপ্রীমকোর্ট ফাঁসির আদেশ প্রদান করে । কিন্তু মুসলিম সমাজের দুর্ভাগ্য পাকিস্তান সামরিক সরকার এই মওদুদীকে রক্ষাকরতে তার কৃতকর্মকে অবৈধ আদেশের মাধ্যমে ক্ষমা প্রদান করে !! যদি সেদিন এই জঘন্য ব্যক্তিটির প্রচলিত আইনে বিচার হতো তবে আর ১৯৭১ সালে আমাদের দেশের মানুষের ভাগ্যে ৩০ লক্ষ্য হত্যার কাহিনী লেখা হতো না ।
যা হোক, এই দলটি যদি ইসলাম মানতো তবে কখনই ১৯৫৪ সালে ভোটিং রাজনীতিতে আসত না । ১৯৪১ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া দলটি প্রথম থেকে গণতন্ত্র বিরোধী মত পোষণ করত । সেই সময় দলটি বৃটিষদের তোষামদি করত । এই কারণে দলটির প্রতিষ্ঠাতাকে ভারতীয় হক্কানে আলেমগণ মওলানা মওদুদী না বলে মিস্টার মওদুদী বলে ডাকতেন । যখন বৃটিষ সরকার ভারত ত্যাগ করে চলে যাচ্ছিল তখন মওদুদী যারপর নাই দু:ক্ষিত হয়েছিলেন । এমনকি তিনি পাকিস্তান নামের দেশ হোক এটাও মনেপ্রাণে মেনে নিতে পারেননি । তাইত পাকিস্তানের নাম দিয়েছিলেন ক্বাফিরিস্তান ! কায়েদে আজম জিন্নাহকে বলেছিলেন কাফীর ।
আমাদের স্বাধীনতার সময়ও ঠিক এভাবেই বাংলাদেশ বিরোধীতা করেছিলেন জামায়াতের নেতারা । মি: মওদুদী সাহেব যখন দেখলেন পাকিস্তান নামের দেশ হয়েই গেছে তখন তিনি পাকিস্তানে চলেগেলেন রিফিউজি হিসেবে । সেখানে তার জামায়াত-এ-ইসলামের রাজনীতি শুরু করেন । তিনি পাকিস্তানে প্রবেশ করেই আবার ফতুয়া জারি করলেন পাকিস্তান হচ্ছে বেহেস্তের বাগান , তাই প্রত্যেক ভারতীয় মুসলীমের পাকিস্তানে হিজরত করা ফরজ্ । এখানে লক্ষনীয় যে এই মওদুদী পাকিস্তানকে ক্বাফিরিস্তান বলে ফতুয়া জারি করেছিলেন আবার এই মওদুদী সেই পাকিস্তানকে বেহেস্তের বাগান বলে মাসলা দিলেন । তাহলে কি মওদুদীর মতে বেহেস্তের বাগানে সব ক্বাফির-রাই বাস করছে ?? এগুলো হল জামায়াতের শুরুথেকেই ঈমান ও আকিদার দৈতনীতির ফল !! যেমনটি আমাদের দেশকে তারা মেনে নিতে পারেনি কিন্তু এখন তাদের এই দেশ মেনেনিতে হয়েছে এবং তাদের দলের নামের সাথে "বাংলাদেশ" শব্দ যোগ করতে হয়েছে , যা তারা মনেপ্রাণে কখনই চাননি । এমনকি তারা বাংলাদেশের জন্ম যাতে না হয় সেইজন্য যার পরনাই অপকর্ম করেছে, তারা পাকিস্তানী আর্মিদের সহায়তা করেছে, নারী ধর্ষণ করিয়েছে, অগুণ লুটপাট, হত্যা লুন্ঠণ কোন কিছু বাদ দেননাই এই জামায়াতে ইসলামে , সেগুলো করেছে শুধুই ধর্মের নামে । যেমনটি তাদের আধ্যাত্বিক গুরু মি: মুওদুদী করিয়েছিলেন পাকিস্তানের আহমদীয়া সম্প্রদায়ের উপর, এবং পাকিস্তানের বিরোধীতাও ছিল আমাদের স্বাধীনতার বিরোধীতার মতই । কিন্তু পাকিস্তান গঠনের পর এই জামায়াতে ইসলামই পাকিস্তানের সবচেয়ে সুবিধা গ্রহণ করেছে । তারা মিলিটারি সহায়তা গ্রহণ করেছে , তারা এই দেশের মতো সেই দেশেও কোয়ালীশন করে ক্ষমতার অংশিদার হয়েছে । তারা জানে ইসলামের খিলাফাতের পদ্ধতিতে রাজনীতি করলে তাদের জীবনে কখনই ক্ষমতার স্বাধ গ্রহণ করা সম্ভব নয় , তাই তারা তাদের নীতি পদ্ধতি পরিবর্তন করে গণতন্ত্রের রাজনীতিতে প্রবেশ করতে বাধ্য হয়েছে । অথচ, এই জামায়াতের ১৯৪১ সাল থেকে ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত চরিত্র ছিল গণতন্ত্র বিরোধী । তাই জামায়াতের প্রতিষ্ঠাতার সেই সময়ের অর্থাৎ ১৯৪১ সাল থেকে একযুগ লেখা বই পর্যালচনা করলে দেখাযায়, তিনি লিখেছিলেন "গণতন্ত্র হারাম, গণতন্ত্র কুফুরী মতবাদ, গণতন্ত্র ভোটিং পদ্ধতি হারাম, গণতন্ত্রের রাজনীতিতে ভোটে দাঁড়ানো হারাম, আইনসভার সদস্য হয়ে আইন পাশ করা হারাম !" তাদের একযুগের রাজনীতি পর্যালচনা করে তারা দেখতে পেয়েছে গণতন্ত্রের রাজনীতি ছাড়া মসনদ হাসিল সম্ভব নয়, তাই তারা ১৯৫৪ সালে সকল লাজ শরমের মাথা খেয়ে ভোটিং পদ্ধতিতে প্রবেশ করে, তারা গণতন্ত্রের রাজনীতিতে নাম লেখায় । যখন জামায়াতে ইসলাম সামাজিক সংগঠন থেকে চরিত্র হারিয়ে গণতন্ত্রে প্রবেশ করে ঠিক তখনই সেই দল থেকে প্রায় একশত বড় বড় ধর্মীয় নেতা পদত্যাগ করেন । এদের মধ্যে পাকিস্তানের ইসলামিক স্কলার হযরত মওলানা ড. ইজরার আহম্মেদ একজন । মওলানা ড. ইজরার আহমেদ জামায়াত থেকে পদত্যাগ করে পৃথক একটি সামাজিক আন্দোলনের দল করেন তার নাম হল "তানজীম-ই-ইসলাম", এবং এই ইসলামিক স্কলার তখন বিভিন্ন সভাসমাবেশে বক্তব্য পদান করেন যে 'জামায়াতে ইসলাম আর ইসলামের পথে নেই , এটি এখন হারাম পথ হয়েগেছে ।' . হযরত মওলানা ড. ইজরার আহম্মেদ একজন ইসলামীক স্কলার , যিনি সারাজীবণ "তানজীম-ই-ইসলাম" দলটির মাধ্যমে ইসলামের প্রচার ও প্রসার করে গেছেন । আল্লাহ হযরত মওলানা ড. ইজরার আহমেদ সাহেব কে বেহেস্ত নসিব করুণ …….. ( আমীন….)
তার মত নির্লোভ ব্যক্তি ইসলামে খুব দরকার যারা হযরত আবু হানিফার (রহ:) মতো ক্ষমতা-বিমূখ ছিলেন , হয়রত আবু হানিফা (রহ:) কে সেই সময়ের খলিফা প্রচুর শাস্তি প্রদান করেছে তবুও আবু হানিফা সেই খলিফার কোন মন্ত্রনালয়ের পদ নেন-নি । শেষ পর্যন্ত তাকে কাজীর পদ প্রস্তাব করেও তাঁকে গ্রহণ করানো যায়নি , তাই তাকে কারাগারেই মৃত্যু বরণ করতে হয়েছে । হযরত আবু হানিফা বলেছিলেন আমি হারাম পদ্ধতিতে ক্ষমতায় বসতে চাইনা, আর কোন বিতর্কীত ব্যক্তির অধিনে মন্ত্রী বা কাজী হতেও চাইনা । এমন ব্যক্তি কজন আছেন হযরত অবু হানিফার মতো ! আর হযরত ড. ইজরার আহম্মেদের মতো !! যারা শত প্রলভোনের মুখে পড়েও নিজেদের আদর্শ ঠিক রেখেছেন । জামায়াতে ইসলামের মতো চরিত্রহীন রাজনীতিবীদ তারা হতে চান-নি ।

জামায়াতে ইসলাম হচ্ছে এমন একটি দল যারা চরিত্রহীন, যারা সব সময়ই দৈত-ফেস প্রদর্শন করে থাকে ! যারা পাকিস্তান চায়নি, আবার পাকিস্তান কে বেহেস্তের বাগান বলে মেনে নিয়েছিল । এর পেছনে একমাত্র কারণছিল মি: মওদুদী চেয়েছিলেন পাকিস্তানকে তার মতো করে তৈরি করতে , তিনি নিজে স্বীকারও করেছেন যে আমি গণতান্ত্রীক পাকিস্তান চাইনি । আমি চেয়েছিলাম পূর্ণ মুসলীম পাকিস্তান যেখানে গণতন্ত্র না থেকে খিলাফাত স্বাসন কায়েম হবে ! তাইতো মি: মওদুদী মনে প্রানে জিন্নাহ কে মেনেনিতে পারেননি বলেই জিন্নাহকে ক্বাফের ঘোষণা করেছিলেন । আর ইংরেজদের দোষর এই মি: মওদুদী চেয়েছিলেন মুসলীম অধ্যুষিত যে দেশটি হবে সেখানে হয়তো তাকে (মি: মওদুদী কে ) খলিফা ঘোষণা করে দিয়ে যাবে , আর সেই ব্যবস্তা তিনি পাকাপোক্ত করেছিলেন কিন্তু যখন জিন্নাহ মতাদর্শের পাকিস্তান কায়েম হল ঠিক তখনই তার আশায় গুড়েবালি পড়েগেল !! শেষমেষ তিনি ক্ষমার লোভে সেই তার ক্বাফিরিস্তানেই গণতন্ত্রের রাজনীতি করেছেন , তবুও তার ক্ষমতা চাই ! আমাদের দেশে জামায়াতে ইসলাম বাংলাদেশও সেই মতাদর্শেরই বিশ্বাসী , তাই তারা নারী নেতৃত্ব হারাম বলে আবার সেই নারীকেই তারা নেতৃত্ব দিয়ে হুজুর হুজুর করছেন আজ একযুগ হল ।

আসলে জামায়াতে ইসলামের আদর্শ হল ইসলাম বিদ্দ্বেশী একটি দল , যারা যুগে যুগে ইসলামের ক্ষতি সাধন করতেই মুনাফিক রুপে জন্ম গ্রহণ করে বার বার ! ইসলামের প্রথম শতাব্দিতেই হযরত মহাম্মাদ (সা:) এর ওফ্ফাতের পর একশ্রেনীর মতাদর্শির জন্ম হল, এরা হল খারিজী সম্প্রদায় , এই খারিজীরা ছিল বরাবরই ক্ষমতালোভী । তাদের চরিত্রের সাথে জামাতের চরিত্র শতভাগ মিলে যায় , কারণ , কারও কারও মতে সেই খারিজী সম্প্রদায়ই হল আমাদের বর্তমান যুগের জামায়াত । যারা ক্ষমতার জন্য বিভিন্ন খলিফাকে হত্যা করেছে , যে খারিজী সম্প্রদায় শুধু খলিফদের হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি তাদের নামে বিভিন্ন সময় ইতিহাস বিকৃতি ঘটিয়েছে , তারা মুসলীমদের মাঝে বিশৃংখলা করিয়ে হত্যা ধর্ষন লুট করেছে । সেই বাতিল মতাদর্শী খারিজী মতাদর্শের মতো আমাদের দেশের জামায়াতে ইসলামেরও আছে শতভাগ গুণ, তারা মুসলীমদের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত, তারা মানুষ হত্যার রাজনীতি করে, তারা খারিজীদের মতো ক্ষমার লোভী । তারা মিথ্যা ফতুয়াদানে পটু , তারা ইতিহাস বিকৃতির ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ !! সেই বাতিল খারিজী সম্প্রদায় যুগে যুগে বিভিন্ন নামে ইসলামের মাঝে ক্ষতি সাধন করে আসছে । ! হযরত মহাম্মাদ (সা:) এর মৃত্যুর মাত্র ৫০ বছরের মাথায় এই খারিজী সম্প্রদায় রাসূল (সা:) এর প্রিয় সোনার মদিনাতে আক্রমণ করে মদিনায় হত্যাযজ্ঞ চালায় ! সেই সময় এই খারিজীরা ১০ হাজার নারীকে আটকে রেখে ধর্ষণ করে গর্ভবতী করেছিল । সেই খারিজী যেন আমাদের দেশে জামায়াতে ইসলাম ! ১৯৭১ সালে আমাদের বাংলাদেশে বাঙালিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে , ৩০ লক্ষ মানুষ হত্যা করিয়েছে ২.৫ লাখ নারী ধর্ষণ করিয়েছে এই খারিজী জামায়াতে ইসলাম !!! তারা খারিজীদের মত ক্ষমতার লিপ্সায় মাতোয়ারা হয়ে এই হত্যা ধর্ষণ অগ্নিসংযোগ লটপাট করেছে ।

আমাদের উচিত ইসলামের পবিত্রতা রক্ষার্থে এই খারিজী সম্প্রদায় জামায়াতে ইসলামকে বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ করা । কারণ এরা ক্ষমতার জন্য যারপর নাই অপরাধ সংঘঠিত করে চলেছে ! তারা যেহেতু আমাদের স্বাধীনতা বিরোধী দল তাই অন্যসব ধর্মীয় দলকে নিষিদ্ধ না করলেও এই দলটিকে নিষিদ্ধকরা উচিত এই জন্য যে এদের বাংলাদেশ নামক দেশটিতে রাজনীতি করার মতো কোন অধিকার নেই । তাদের আধিকার থাকতে পারে পাকিস্তানে , কারণ তারা মনেপ্রাণে ও কাজের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের অখন্ডতা চেয়েছিল। অথচ আমরা আশ্চর্যের সাথে লক্ষ্যকরলাম বর্তমান সরকার তাদের রাজনীতি করার অধিকার দিয়ে রেখেছে !

জামায়াতে ইসলামের রয়েছে ইহুদী ষড়যন্ত্র ! তারা ইসলামী ভাবধারায় ও আদর্শে বদলে ইহুদী মতাদর্শে বিশ্বাস করে । কিছু কিছু উদাহরণ দিলেই এদের উদ্দেশ্য পরিস্কার হবে । যেমন দেখুন , বর্তমানে ইহুদী সম্প্রদায় সংখ্যায় কোম তবুও তারা সমস্ত বিশ্ব রাজনীতিতে নেতৃত্ব দিচ্ছে, জামায়াতও দলীয় দৃষ্টিকোন থেকে ৩% ভোটের অধিকারী, কিন্তু তারা বাংলাদেশের রাজনীতিতে মূল ভুমিকা রাখছে । কিভাবে রাখছে সেটাও বলি , ইসরাইল যেমন বিশ্বের সুপার-পাওয়ার যুক্তরাস্ট্রের মাথায় ভরকরে বিশ্ব রাজনীতি সামাল দিচ্ছে ঠিক জামায়াতে ইসলামও বিএনপি নামক বড় দলটির মাথায় ভর করেই রাজনীতির মূল ভুমিকা রাখছে ।
ইসরাইল যেমন ভেতরে ভেতর প্রচুর শক্তি আর্জন করছে যাতেকরে যুক্তরাস্ট্র তাদের কথার অবাধ্য না হয় , ঠিক তেমনি জামায়াতও ভেতরে ভেতরে প্রচুর আস্ত্র ও সামরিক স্টাইলে শক্তি অর্জন করছে । ইহুদীরা যেমন যুক্তরাস্ট্রের বড় বড় পত্রিকা ও মিডিয়া নিয়ন্ত্র করছে , বড়বড় পত্রিকা টিভি চ্যানেল , ইন্ডাস্ট্রিজ পত্রিকা সম্পাদক বুদ্ধিজীবি দিয়ে যুক্তরাস্ট্র ভড়পূর করে রেখেছে তেমনি বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামীও বড়বড় পত্রিকা চ্যানেল মিডিয়া প্রচার ও প্রসারতায় আগ্রসর হচ্ছে , পেইড পার্সন ভাড়া করছে যাতে মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ করতে পারে । ইহুদীদের উদ্দেশ্য হল কোন যুক্তরাস্ট্র প্রেসিডেন্ট যাতে তাদের কথার অবাধ্য নাহোন । হলে তাকে সমালচনার ঝড় তুলে ইহুদী সম্পাদকগণ জণপ্রিয়তার ধ্বস নামাবেন । ঠিক জামায়াতে ইসলামও বহুটাকা ঢেলে মিডিয়া ব্লগ কভার ও কোট্রোল করছে যাতে তাদের বিরুদ্ধে কোন দল মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে । ইহুদী যেমন তাদের নিজস্ব বড়বড় কোম্পানীদিয়ে বিশ্ব-বাণিজ্য করে টাকা অর্জন করছে, তাদের ইহুদী ফিন্যান্স একটি বড় ফ্যাক্টর , তেমনি জামায়াতে ইসলামেরও নিজস্ব অর্থিক প্রতিষ্ঠান আছে যা বাংলাদেশে একটি বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে । বর্তমানে জামায়াতে ইসলাম দেশে অর্থনীতির ১০ ভাগ নিয়ন্ত্রণ করছে । তাদের নিজস্ব দলীয় হাসপাতাল ব্যাংক বীমা কোচিং ডায়াগনস্টিক সেন্টার ফ্যাক্টরি পত্রিকা টিভি চ্যানেল প্রভৃতির মাধ্যমে দেশে অর্থনীতির একটি বড় নিয়ামক হয়ে দাড়িয়েছে । ইহুদী কিন্তু কখনই ভাবেনা যে তারা এখনই স্বতন্ত্র হয়ে পৃথিবী স্বাসন করবে , তাদের ৫০০ বছর মেয়াদের এটা লক্ষ্য থাকে , যে তারা প্রতি ৫০ বছর পর পর কতদূর অগ্রসর হবে , যেমনি করে প্যালেস্তাইনের মুসলীম অধ্যুষিত ভুমিতে তারা ২০০ বছর মেয়াদি ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার মাধ্যমে তারা ইহুদি বসত করিয়েছে , এবং আস্তে আস্তে মুসলীমদের যাযাবর বানিয়ে বিতারিত করেছে , তাদের সবকিছুই ছিল পরিকল্পনা মাফিক । বর্তমানে জামায়াতে ইসলামও তারা মনে করেনা যে তারা আগামী ইলেকশনেই একক সংখ্যা গরিস্ঠতায় ক্ষমায় বসবে । তারা ইহুদির মতো একটি ছক কষে এগুচ্ছে । তারা প্রথমে ১৯৯১ সালে বিএনপির সাথে অঘোষিত জোট পরে ঘোষিত জোটে এসেছে , প্রথমে ১৯৯১ সালে বিএনপিকে ক্ষমতায় এনে গোলাম আজমের নাগরিকত্ব পরে ২০০১ সালে জামাত নেতাদের মন্ত্রীত্বের অংশিদ্বারিত্ব নিশ্চিত করিয়েছে । তারা জোটবদ্ধভাবে ক্ষমতায় এসে দেশ স্বাসন করে প্রসাশনে লোকজন সেট করেছে । তারা দীর্ঘদির আগে প্রথম পরিকল্পনা করে আগে শিক্ষাঙ্গন দখল করতে হবে , তাই বিভিন্ন পাবলিক ভার্সিটির আশেপাশে মেস বানায়, জামায়াতের কলোনী প্রতিস্ঠাকরে নির্দিষ্ট লক্ষমাত্রা অনুসারে , এরপর ভার্সিটির এলাকায় বসবাস করতে করতে বিয়েশাদি করে ঘরজামাই থেকে এলাকায় নেতৃত্ব প্রদান করে । এভাবেই বিভিন্ন ভার্সিটি এলাকার আশেপাশে তারা তাদের দূর্গ গড়ে তোলে । এভাবেই কোচিং থেকে ছাত্রাবাস, আস্তে আস্তে তারা ছাত্রদের ঘারেবসে ঠিক ইহুদি চক্রন্তের মতোই তারা সুদূরপ্রসারী লক্ষ্যে এগিয়ে যায় ।

জামায়াতে ইসলাম কিন্তু প্রকৃত গণতান্ত্রিক রূপে রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয় । তারা খিলাফাতে বিশ্বাসী না হলেও তারা গণতন্ত্রের লেবাসে সামরিক ও বিদ্রোহের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলে বিশ্বাস করে । তাই তাদের সংগঠন দুটি ধারায় সংঘঠিত । ১, জামায়াতে ইসলাম বাংলাদেশ নামে একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে জনগণের সামনে প্রকাশ পাচ্ছে , এবং ২, আন্ডারগ্রাউন্ডে আধা-মিলিট্যান্ট শক্তির মহড়া জোগাড় করছে । এগুলো হল নেপালের মাওবাদি দলের অনুকরণ । কারণ, তারা চায়, উপরে উপরে গণতন্ত্রের রাজনীতি করলেও তাদের প্রসার হবেনা , তাদের ১৯৪১ থেকে অত্যাবধি ভোটের সংখ্যা কোন দেশেই বাড়েনি ! তাদের পাকিস্তানে ৫% , বাংলাদেশে ৩%, আফগানিস্তানে ২% , ভারতে % ধরা যায় না । তাদের ৭১ বছর রাজনীতির দীর্ঘ সময় পার করে ভোটের সংখ্যার এমন করুন দশা দেশে যে কেউ বলতেই পারেন তাদের এত ভয় পাবার কি আছে , কিন্তু এর জবাবে এটাই বলবো , তাদের ভোট যত কোমই থাক-না কেন তাদের মাধ্যমে ও পর্দার আরালের প্রশ্রয়ে যে অপরাধ অপকর্ম সংঘঠিত হয়েছে তা উপমহাদেশে আর কোন দলের দ্বারা এত আপরাধ সংঘঠিত হয়নি । . তাদের ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় একক ভাবে বসা সম্ভব নয় জন্য তারা মাওবাদিদের মতো অভ্যন্তরীন স্বশস্ত্র শক্তি যোগার করে রেখেছে । মাওবাদি নেপালে রাজনৈতিক দলও করছে আবার আরেকটি সংগঠন স্বশস্ত্র সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে । ঠিক এমনিভাবে জামায়াতে ইসলামও তাদের রাজনৈতিক ফেসদিয়ে তাদের অভ্যন্তরীন শক্তিকে প্রটেক্ট করে চলেছে । তাদের প্রত্যক্ষ ট্রেইনিং দেয়া , অস্ত্র আমদানি করে দুর্গ গড়েতোলা , তাদরে দ্বারা কোথাও অপকর্ম ঘটলে সেই কর্মিদের রাজনৈতিক ভাবে সহায়তা করতেই জামায়াতের এই গণতান্ত্রিক রাজনীতি ।

জামায়াতে ইসলামের রয়েছে আন্তর্জতিক নেটওয়ার্ক, যেখানথেকে প্রচুর টাকা পয়শা আসে । এমনকি বিদেশি যাকাত ফেতরার অর্থ তাদের কর্মীদের একা একজনের নামে তাদের নিজস্ব্য ব্যাংকে একাউন্ট আছে , যেটা মধ্যপ্রাচ্যের শেখদের সাথে সখ্যতার দরুন ঐসব একাউন্টে প্রতি বছর প্রচুর টাকা পয়শা আসে , এদুলো জাকাতের টাকা ফেতরার কোটি কোটি টাকা আমাদের দেশে জামায়াতের বিভিন্ন রোকনের এক্যাউন্টে কোটি কোটি টাকা জমা হয় । যার হিসাব সরকারও জানেনা । এর জবাবদিহিতাও নেই কারণ এই ব্যাংকটি তাদের এইসব ব্যাংক একাউন্ট হিসাব সুইট্চ ব্যাংকের মতো গোপন রাখে ।

আরও সাংঘাতিক কথা হল আমাদের দেশের বিভিন্ন শহর গ্রামান্তর থেকে প্রচুর যাকাত ফেতরা কুরবানির চামড়ার টারা নিয়ে আসে , জিহাদ-এ-ফিসাবিলিল্লাহ নামের রাশিদের মাধ্যমে এসব টাকা জামায়াতের সংগঠনে হাজির হয় । কিন্তু হাদিস ও হক্কানে উলামাদের মারফত জানাযায় 'যেহাদ ঘোষণার এখতিয়ার শুধুই কোন সরকারের থাকে , কোন দল বা সংগঠনের থাকেনা" । তবে তারা এসব টাকা উঠাচ্ছে প্রকাশ্যে কিন্তু সারকারের এদিকে নজরই নেই । নেই কেন তার জবাবও নেই । জামায়াত হচ্ছে একটি বেতন ভুক্ত সংগঠন , বাংলাদেশের একটি মাত্র পার্টি আছে যারা প্রতিটি কর্মীদের বেতন দিয়ে থাকে । এসব টাকা গ্রাম থেকে আসে আবার কেন্দ্র থেকেও যায় । গ্রামে ফেতরা যাকাতের টাকা তারাই উঠিয়ে থাকে , কেন এসব করছে তারা ? তারা এসব সুযোগ কেন পাচ্ছে ? বাংলাদেশে ইসলামিক ফাউন্ডেশনে ত যাকাত বোর্ড আছে , তবে সরকার বাদ দিয়ে একটি দল অবৈধভাবে কেন এসব টাকা উঠাবে ? কেন তারা এব কারার সুযোগ পাচ্ছে ?

সরকার উদাসীন ! এদিকে লক্ষনেই , তাদের এমন ভাবে বাড়তে দিলে দেশে পাকিস্তানের মতো এক ভয়ানক দেশে পরিনত হবে , তাদের আন্তর্জাতিক নেটওয়্যার্ক আলকায়েদার মতো আরও শক্তিশালি হবে , ঠিক তখন আমাদের দেশ হবে মৃত্যুপূরী । আমরা বড় আশা করেছিলাম এই সরকার তাদের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে জামায়াতকে রাজনৈতিক অধিকার থেকে বাতিল করবে । কিন্তু বড়ই দু:খের কথা তা তারা করতে সাহস করলেননা । জানিনা এসব ভুলের খেসারৎ আমাদের কতবড় ভাবে দিতে হবে । তবে সরকার যেহেতু জামায়াতের বিরুদ্ধে জেহাদ করতে অপারগতা প্রকাশ করেছে , সুতুরাং আমাদের মতো প্রগতিশীল যুবক শ্রেনীর সচেতন মহলকে এগিয়ে আসতে হবে যাতে করে এদের তৎপরতা বন্ধ করা যায়। আমাদের মত প্রগতিশীলদের জেহাদ এই জামায়াত-খারিজীদের বিরুদ্ধে যুগে যুগে চিরকাল চলবে ।