জ্ঞানীগণ, প্রয়োজনে নতুন করে ভাবুন

মিন্টু শাহজাদা
Published : 6 June 2017, 09:03 PM
Updated : 6 June 2017, 09:03 PM

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ। বহুকাল ধরেই এ অঞ্চলের সাধারণ জনগোষ্ঠিকে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সম্প্রীতির সাথে বসবাস করার প্রমাণ পাওয়া যায়। এদেশীয় হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খৃস্টানসহ সকল ধর্মের মানুষের মধ্যে আন্তরিকতা ও সহমর্মীতা অটুট ছিল এবং এখনও রয়েছে। তবে গুটিকয়েক মানুষের বিভিন্ন মাধ্যমে ধর্ম নিয়ে বড্ড বেশি মাতামাতি এক অদ্ভুত ও অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে। এতে করে সাধারণের মাঝে এতদিনের সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির যে মেলবন্ধন রচিত হয়েছিল ধীরে ধীরে তা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এর মূলে কারণ কি? কারণ হিসেবে মনে হয় প্রয়োজনের তুলনায় বড় বেশি ধর্মীয় তর্ক ও বিতর্ক। বাংলাদেশে বেশ কিছুকাল ধরে ধর্ম সংক্রান্ত বিষয় অন্যতম প্রধান আলোচ্য বিষয় বলে গণ্য হচ্ছে। অনেকে প্রগতিশীলতার নামে ধর্ম বিরোধী কথাবার্তা বলা আবশ্যক বলে মনে করছেন। কেননা ধর্ম সংক্রান্ত বিষয় অতীব সংবেদনশীল। ধর্মীয় বিতর্ক, আলোচনা ও সমালোচনার জন্ম দিয়ে এক্ষেত্রে নিজেকে দ্রুত আলোচনার কেন্দ্রে আনা সহজ বলেই এদের ধারণা। এই আলোচনার কারণ ও উদ্দেশ্য বিচার করলে বেশিরভাগেরই নিজেকে জ্ঞানী হিসেবে জাহির করার এক অভিনব কৌশল বলেই মনে হবে।এদের এহেন আচরণে ধর্মীয় উস্কানি ও ধর্মীয় সংকট তৈরি হচ্ছে বলেই প্রতীয়মান হয়।যা কিছুই ঘটুক না কেন এর মধ্যে ধর্মকে প্রাসঙ্গিক করে নানা সমালোচনার ঝড় তোলা কোন স্বস্তির বিষয় নয়। এ যেন গরুকে নদীতে নামিয়ে নদীর রচনা লেখার মতই অবস্থা। এসবের প্রতিক্রিযায় ধর্ম রক্ষার গ্রাউন্ড হিসেবে ধর্মভিত্তিক গোষ্ঠির উত্থান পরিলক্ষিত হচ্ছে এটাও শান্তির বিষয় নয়। কারণ হিসেবে নিউটনের তৃতীয় সূত্রের উদ্ধৃতি দিতে হয়- 'প্রত্যেক ক্রিয়ারই একটি সমান ও বিপরীতমুখী প্রতিক্রিয়া আছে।' এই তো অল্প কয়েক বছর আগেও এরকম সমস্যা ছিল না। মানুষ ধর্ম নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টির চেয়ে ধর্মীয় সম্প্রীতির প্রতি বেশি মনোযোগী ছিল। আমাদের তরুণ সমাজের মধ্যে বোধ করি কারো কারো ধর্ম সংক্রান্ত উন্মাদনা একটু বেশিই। এরা আসলে বই পড়ে কি না, মুক্তবুদ্ধির চর্চা করে কি না, তা পরিষ্কার নয়। এরা বর্তমানে ঘটে যাওয়া এবং বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে উত্থাপিত হওয়া কোন চটকদার বিষয়ের অনুসরণ করে মাত্র। এরা চিন্তা করে না বরং ঘটিত বিষয়ের গভীরে না গিয়ে পক্ষে বিপক্ষে ভাসমান কিংবা স্থুল যুক্তিতর্কের অবতারণা ঘটায় যা তাদের এক ধরণের ফ্যান্টাসি; ফ্যাশান। এদের বিজ্ঞান, রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজনীতি, সংস্কৃতি এবং প্রযুক্তিগত গভীর দর্শণ চর্চায় যারপরনাই অনীহা। এদের মধ্যে একপক্ষ ধর্মীয় সংস্কৃতির খুত ধরাকে প্রগতিশীলতা বলে ভাবছে, অন্যপক্ষ ধর্মীয় অতিচর্চাকে ধর্ম পালন বলে গণ্য করছে। এই দুই দলকে সুপথে আনতে না পারলে ভবিষ্যতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশ ভয়ানকরূপে ক্ষতিগ্রস্ত হবে- এ ভয় কিন্তু থেকেই যায়।

তুলনামূলকভাবে উন্নত কিছুর প্রতি মানুষের সহজাত আকর্ষন চিরকালীন। উন্নত দেশ ও জাতির প্রতি ভাল লাগা থাকে বলেও প্রতিটি মানুষ চায় তার নিজের দেশ ও জাতিও উন্নত দেশের মত হোক। উন্নত জীবন ও জীবনাচার কায়েম করতে গিয়ে মানুষকে তাই যুদ্ধ করতে হয় প্রকৃতি, পরিস্থিতি ও পরিবেশের সাথে। জ্ঞানীরা এ নিয়ে প্রতিনিয়ত চিন্তা ও গবেষণা করেন।বিগত কয়েক বছর ধরে এদেশে শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে ঢেলে সাজাতে গিয়ে নানারকম সংগ্রাম করতে দেখা যায়। কথা হল, এ সংগ্রাম কতটুকু সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে সেটাই চিন্তার বিষয়।

জ্ঞানী কিংবা পন্ডিত ব্যক্তিগণ ও তাঁদের চিন্তা-চেতনা হলো কোন দেশ বা জনগোষ্ঠীর মূল্যবান সম্পদ। দেশ ও রাষ্ট্রে শান্তি ও প্রগতি রক্ষায় দেশের জ্ঞানী কিংবা বোদ্ধাদের ভূমিকা অগ্রগণ্য। আমাদের দেশে কেউ কেউ কেবল তাত্ত্বিক জ্ঞানের চর্চা করছেন ঠিকই কিন্তু তত্ত্বের সাথে বাস্তবের সমন্বয় ঘটাতে পারছেন না বলেই মনে হয়। কেননা এই তত্ত্বজ্ঞানসম্পন্ন মানুষগণ দেশের আপামর জনসাধারণের কতটা সংস্পর্শে আছেন এবং সাধারণের আবেগ নিয়ে ভাবছেন কি না সেটাও ভাবনার বিষয়। এই তাত্ত্বিকগণ হয়ত ভাবছেন না যে রাষ্ট্রীয় কোন সিদ্ধান্ত নিতে হলে আগে বিষয়টিকে তাঁদের এদেশের সিংহভাগ মানুষের চোখ দিয়ে দেখতে হবে, মন দিয়ে অনুভব করতে হবে কিংবা অনুধাবন করতে হবে। দেশের মানুষের প্রকৃতি, মানসিকতা, অবস্থান ও পরিপ্রেক্ষিত বিচার করতে হবে। দেশের আপামর জনসাধারণ সবাই কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েনি এবং ক্রমাগত জ্ঞানচর্চা করে শিল্প, সাহিত্য, অর্থনীতি, বিজ্ঞান, দর্শণে পান্ডিত্য অর্জন করেনি। তত্ত্ববোদ্ধারা যা বোঝেন, সাধারণে তা নাও বুঝতে পারে। বস্তুতঃ এ মানুষগুলো বাস্তবিক জীবনদর্শণ ছাড়া পুঁথিতে বর্নিত কোন দর্শণই বোঝে না। তবে এরা যা বোঝে, পুঁথিপাঠ করা জ্ঞানীরা তা কতটুকু বোঝেন কিংবা আদৌ বোঝেন কিনা তা স্পষ্ট নয়। সাধারণে যা বোঝে সেটার জন্যই আমরা সকলে খেয়ে পরে বেঁচে আছি। সবার অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছে এরাই।এরা পরিশ্রম বোঝে, ঘাম বোঝে, বিশ্বাস বোঝে, অভ্যাস বোঝে, জীবনাচার বোঝে। কাগুজে শিল্পের চেয়ে জমি কর্ষণ করে কিংবা মেশিনের চাকা ঘুরিয়ে এরা যা উৎপাদন করে, আমরা যেটার জন্য বেঁচে আছি, সেটাই এদের কাছে শিল্প। এদের জীবনের সবকিছুর সাথে নিবিড়ভাবে জড়িয়ে আছে ধর্মীয় অনুষঙ্গ। এগুলোই এদের জীবণদর্শণ। যুগযুগ ধরে এদের যাপিত জীবনের প্রক্রিয়াকে কেউ সম্মান করতে না পারলে, এ ব্যর্থতা তাঁর ব্যক্তিগত, সিস্টেমের নয়।

জনগণের রাষ্ট্রে কোন কিছুর অবতারণা করতে চাইলে অধিকতর চিন্তা, ভাবনা করা উচিত। বিশেষ করে সেটা যদি হয় রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত, তাহলে গণমানুষের সকলের কথা মাথায় রাখা উচিত। সবদিক থেকে গ্রহণযোগ্য হবে এমন কিছুই প্রবর্তন করতে হবে। শুধুমাত্র বোদ্ধাদের কথা ভাবলেই চলবে না। রাষ্ট্র যে সিদ্ধান্ত নিবে, তা সাধারণের কাছে পরিষ্কার কিনা তা বার বার ভাবতে হবে। গৃহিত সিদ্ধান্ত যতই যৌক্তিক হোক, বোঝাতে ব্যর্থ হওয়ায় যদি তা জনসাধারণের মধ্যে কনফিউশন তৈরি করে করে তাহলে তা থেকে অবশ্যই বিরত থাকা দরকার। অনেকেই আমরা উন্নত দেশের বিষয় আসয়কে উদাহরণ দেই এবং বাংলাদেশের উপর তা প্রতিষ্ঠা করতে চাই এই যুক্তিতে যে, উন্নত দেশে এটা আছে, ওটা আছে, এটা এরকম, ওটা ওরকম ইত্যাদি, ইত্যাদি কিন্তু স্থান, কাল, পাত্র অনুযায়ী তা এদেশে তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিষ্ঠাযোগ্য কি না তা বিবেচনা করি না। দেশ ও দেশের জনগণের জন্য মঙ্গলজনক কোন কিছু প্রতিষ্ঠা হওয়া দেশের জন্য অবশ্যই দরকার তবে জনগণের রাষ্ট্রে জনগণের কল্যাণ বয়ে আনবে এমন কোন নতুন বিষয় প্রতিষ্ঠা করার জন্য পূর্ব-প্রস্তুতিও দরকার। প্রস্তুতির মধ্যে অন্যতম বিষয় হলো জনসাধারণকে প্রতিষ্ঠিতব্য বিষয়ে সম্মক ধারণা প্রদান করা যাতে করে এটা যে জনগণের জন্য কল্যানকর ও ক্ষতিকর নয় তা তারা বুঝতে সক্ষম হয়। তবে জনগণের জন্য কল্যাণ বয়ে আনে না অথচ তাদের মনে ক্ষোভ, কনফিউশন কিংবা বেদনার জন্ম দেয় এমন বিষয় কখনই রাষ্ট্রের জন্য হিতকর নয়। হাতে গোনা বোদ্ধাদের চাওয়াকে বাস্তবায়িত করতে গিয়ে যদি রাষ্ট্রের সাধারণের মনে ক্ষোভ তৈরি হয় তাহলে রাষ্ট্র তা বিবেচনা করতে পারে না। কেননা দেশটা কেবল বোদ্ধা কিংবা জ্ঞানীদের একার নয়। বাংলাদেশে অল্পশিক্ষিত কিংবা স্বশিক্ষিত মানুষেরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। এদের মনে বেদনা তৈরি হয়, এমন কোন সিদ্ধান্ত রাষ্ট্র গ্রহণ করতে পারে না, করা উচিত নয় যতদিন না রাষ্ট্রের সিংহভাগ জনগণকে শিক্ষিত করে সে বিষয়টি অনুধাবনে সমর্থ করে তোলা যাচ্ছে। দেশের সামগ্রিক প্রগতির জন্য হিতকর বিষয়ের প্রতিষ্ঠা অবশ্যই জরুরী নয়ত রাষ্ট্র প্রগতি থেকে ছিটকে পড়তে পারে।তবে তা যেন জোরপূর্বক চাপিয়ে দেওয়া না হয়, তা যতই মঙ্গলজনক হোক। জোর করতে গেলে রাষ্ট্রের সাধারণের মধ্যকার সম্প্রীতি যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাতে কাঙ্খিত প্রগতি প্রতিষ্ঠা তো দূরে থাক বরং রাষ্ট্র ভয়ানক সংকটের সম্মুখীন হতে পারে। এইদেশ বোদ্ধাদের এবং কৃষক, শ্রমিক, কুলি, মজুর, কর্মচারী, পাগল, আধাপাগল, ভবঘুরে, অলস, পরিশ্রমী, শিক্ষিত, অশিক্ষিত, ধার্মিক, অধার্মিক, ধনী, নির্ধন, সবার। রাষ্ট্রের অধিকাংশ জনগণের শান্তি ও বিশ্বাস আঘাতপ্রাপ্ত হয় এমন সিদ্ধান্ত থেকে রাষ্ট্র যদি সরে আসে তবে তার মধ্যে রাজনৈতিক কৌশল ও উদ্দেশ্যে খোঁজা কিংবা কোন বিশেষ ধর্মীয় গোষ্ঠির সাথে কানেকশন খোঁজা যুক্তিযুক্ত বলে মনে হয় না, সে রাষ্ট্র যে রাষ্ট্রই হোক না কেন এবং যে রাজনৈতিক গোষ্ঠীর দ্বারাই পরিচালিত হোক না কেন।

বাংলার কৃষক, বাংলার শ্রমিক-এরা পরিশ্রম করে আমাদের জন্য আহার যোগায়। আমাদের তাত্ত্বিক কথার মানে তারা বোঝে না।সাম্প্রদায়িকতা কি তা তো বোঝে না। তারা মাটি বোঝে, মানুষ বোঝে। যে কৃষক, যে শ্রমিক সারাদিন হাড়ভাঙা পরিশ্রম শেষে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে একসাথে বসে যাত্রা গান শোনে। সকাল হলে ফজর নামায পড়ে কিংবা ঠাকুর কে প্রণাম করে কাজে যায় তাদের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি করে কি লাভ, বলুন? গাঁয়ের চা দোকানে রাম, রহিম, রিচার্ড আর বড়ুয়ারা চার বন্ধু যখন ক্যারম বোর্ডের চারকোনায় চারজন দাঁড়িয়ে ক্যারম খেলে, দোকানের টেলিভিশনে ধর্ম নিয়ে তাত্ত্বিকদের বাদানুবাদের দৃশ্য হঠাৎ চোখে পড়লে তাদের উষ্ণ সম্পর্কে শীতল বাতাসের আচমকা ঝাপটা লাগে।তাদের মধ্যে মানসিক দূরত্ব তৈরি হয়, বেদনা খেলা করে এবং ধীরে ধীরে এ দূরত্ব ব্যক্তি থেকে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে ছড়িয়ে পড়ে- এ কথা আমরা কয়জনে বুঝি? আমরা যারা শহরে থাকি তারা তো ঘর থেকে বের হলেই সরকারি রাস্তায় উঠতে পারি কিন্তু গাঁয়ে? ওখানে তো আব্দুল করিমদের জমিনের উপর দিয়ে হেঁটে পরেশচন্দ্রদেরকে রাস্তায় উঠতে হয় কিংবা প্যাট্রিকদের উঠান পার হয়ে আব্দুর রহিমদেরকে সওদা নিয়ে হাটে যেতে হয়, সওদা বিক্রি করে সংসার চালাতে হয়। ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা সৃষ্টি হলে শহুরে তাত্ত্বিকেদর হয়ত তেমন কোন ক্ষতি হবে না কিন্তু গ্রামীন সাধারণের? তাদের কি হাল হবে? এ কথা কি আমরা ভেবেছি কখনও?

আমরা বাঙালি। আমাদের সব কিছুর ঊর্ধে পারিবারিক ও ধর্মীয় রীতিনীতি, অনুশাসন, ভালবাসা। এগুলোতে আমাদের শান্তি, অস্তিত্ব।এই বিষয়গুলো কি উন্নত দেশে আছে? থাকলে কতটুকু আছে? আমাদের চাইতে কি বেশি? এই ভালবাসা, অনুশাসন, বিশ্বাস কি মূল্যবান নয়? কোন বিশেষ রীতি কিংবা নীতি প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে তাদের মনে বেদনার জন্ম দিয়ে কি লাভ? কোন ধর্মই কখনও প্রগতির বিরুদ্ধে যেতে পারে না বরং ধর্মীয় অনুশাসনই শান্তি ও প্রগতি নিশ্চিত করতে সহায়তা করে। মুসলিম হোক, হিন্দু হোক, বৌদ্ধ কিংবা খৃস্টান হোক- এরা কেউই সংকট সৃষ্টির জন্য দায়ী নয়। যারা সংকট সৃষ্টি করে তারা কখনও ধার্মিক হতে পারে না। পৃথিবীর সকল ধর্মই কেবল শান্তির কথা বলে। একইভাবে প্রগতিশীলতার নামে সচেতনভাবে যারা মানুষের বিশ্বাসকে আঘাত করে তাদের উদ্দেশ্যও মহৎ হতে পারে না। হিন্দুত্ব, মুসলমানিত্ব কিংবা অপরাপর ধর্মের নামে এবং একই সাথে প্রগতিশীলতার নামে যে বা যারা ধর্মীয় সংকট সৃষ্টি করে তাদের কোন নীতি নেই, থাকতে পারে না।

যাঁরা প্রকৃতার্থে জ্ঞানী, বোদ্ধা, সত্যিকারের প্রগতিশীল জ্ঞানী এবং ধর্মীয় চিন্তাবিদ- আমাদের প্রাণের দেশ, প্রাণের মানুষগুলির জন্য তাঁরা সবাই মিলেই তো ভাববেন। প্রয়োজনে নতুন করে ভাববেন। আর কে আছে বলুন?

লেখকঃ গায়ক, কবি, গদ্যকার