তার মৃত্যুতে পাহাড় হারিয়েছে সংস্কৃতির নিবেদিত প্রাণ আলোকবর্তিকা।
কোনো বিশেষ পরিস্থিতিতে আন্দোলনের কৌশল বা পার্টি সংগঠনের বিশেষ কিছু বিষয়ে ২৪ ঘন্টার মধ্যে কৌশল বদলানো সম্ভব । কিন্তু সাধারণভাবে, ধারাবাহিকভাবে এবং আবশ্যিকভাবেই সংগ্রামী ধারার সংগঠনের প্রয়োজনীয়তা বা জনগণের মধ্যে রাজনৈতিক লড়াই জারি রাখার প্রয়োজনয়তা আছে কী না তা নিয়ে ২৪ ঘন্টা বা ২৪ মাসের মধ্যে নিজের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে পারে একমাত্র সার্বিকভাবে নীতি বিবর্জিত ব্যক্তিগণই।
পরিবর্তিত পরিস্থিতি বা সময়ের প্রেক্ষাপট পরিবর্তনকে যুক্তি হিসেবে তুলে ধরা নিতান্তই হাস্যকর। যে কোনো সময় তথা 'একঘেয়ে শান্তিপূর্ণ' সময়ে বা যেভাবেই বলি না কেন'বিপ্লবী চেতনার ক্ষয়মানতার' সময়েও সংগ্রামী ধারার সংগঠন গড়ে তোলা এবং রাজনৈতিক সংগ্রাম জারি রাখা আবশ্যিক অপরিহার্যভাবেই প্রয়োজনীয়। বিস্ফোরন্মুখ বা ঝাঁকুনির সময়ে সংগঠন দৃঢ় করতে গেলে দেরী হয়ে যাবে। মুহূর্তের মধ্যেই সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করার মতো প্রস্তুতি বা সক্রিয়তা পার্টির মধ্যে থাকতে হবে।
আমরা নিরন্তরভাবে ধারাবাহিক ও পরিকল্পিত প্রস্তুতির কথা বলে আসছি। এবং এটা আমাদের চিন্তায় নেই যে শুধুমাত্র নিয়মিত আঘাত অথবা সংগঠিত আক্রমণের মাধ্যমে স্বেচ্ছাচারীর পতন ঘটানো সম্ভব। এই ধরণের চিন্তা বা দৃষ্টিভঙ্গী হাস্যকর এবং গোঁড়ামীপূর্ণ।অপরদিকে যথার্থতই এটা সম্ভব এবং ঐতিহাসিকভাবে অধিকতর সম্ভবপর যে, স্বেচ্ছাচার বা স্বৈরাচারিতার পতন হবে একটা স্বতস্ফূর্ত ঝাঁকুনি বা একটা অপ্রত্যাশিত রাজনৈতিক জটিলতার চাপে যা নিরন্তরভাবে প্রতিনিয়ত তাকে সকল দিক থেকে আশংকার মধ্যে রেখেছে।
কোনো রাজনৈতিক সংগঠনই জুয়াড়ীর মতো কোনো বিস্ফোরণ বা জটিলতা সৃষ্টির আশাকে ভিত্তি করে তার কাজ চালাতে পারে না। যতই অপ্রত্যাশিত বা নিয়তি কিছুর উপর আমরা নির্ভরতা কমাতে পারবো ততই 'ঐতিহাসিক মোড় ' ফেরানোর সময়ে আমরা অসচেতন বা অসাড় হয়ে কম থাকতে পারবো।