ব্রেকিং থট-৬: শেয়ার মার্কেট সাকার

বিভূতি ভূষণ মিত্র
Published : 17 Oct 2011, 08:28 AM
Updated : 17 Oct 2011, 08:28 AM

যুক্তরাষ্ট্রের স্টক মার্কেটের ইতিহাস প্রায় ২০০ বছরের পুরুনো। ইতিহাসে দেখা যায়, উপনিবেশিক সরকার যুদ্ধ অর্থায়নের জন্য বন্ড বিক্রি করত। সরকার এই বন্ড বিক্রির সময় পরে এর লাভ দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করত।

১৮ শতকের মাঝামাঝি অর্থনৈতিক বৃদ্ধির দ্রুত একটি লক্ষণ দেখা গেল। এই সময়ে কোম্পানিগুলোর নতুন চাহিদা যোগানোর জন্য ফান্ড বৃদ্ধির প্রয়োজন পড়ল। কোম্পানি অনুধাবন করল, বিনিয়োগকারীদের আংশিক অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে লাভ ঘোষণা করা যায়।

১৯ শতকে স্টক মার্কেটে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার বিক্রি হওয়া শুরু হল। ১৯২১ সালে এটি আরও বিস্তৃতি লাভ করল।

এই ইতিহাসই শিল্প বিপ্লবের পথ দেখাল। এটি স্টক মার্কেটেও প্রভাব ফেলল। নতুন ধরণের বিনিয়োগ দেখা গেল যখন মানুষ বুঝতে শুরু করল নতুন করে স্টক বিক্রির মাধ্যমে লাভ করা যায়। এর মধ্য দিয়েই নতুন ধরণের স্টক মার্কটের যাত্রা শুরু হল। এটিই পরে বড় হয়ে নিউ ইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জ নাম ধারণ করে।

শেয়ার মার্কেটের প্রথম যাত্রা দেখা ১৪ শতকে ভেনিসে। ভেনিস সরকার প্রতিবেশি দেশগুলোকে সে সময় ঋণ দেওয়া শুরু করে।

লন্ডনে ১৬৯৩ সালে কিং উইলিয়াম অফ ইংল্যান্ড ১০% রেটে এক মিলিয়ন পাউন্ড পাবলিক ইন্টারেস্ট ঘোষণা করে। এক বছর পরই ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড যুদ্ধে অর্থায়ন শুরু করে।

মোদ্দা কথা যুদ্ধ, আগ্রাসন ও টাকা চুষার জন্যই শেয়ার মার্কেটের জন্ম। যে জন্য অনেকেই বলে থাকেন-

১. বীমার বাইরে জীবন নিরাপত্তার আদলে স্টক মার্কেট মূলত একটি দুর্নীতির আখড়া ।

২. এখানে কি পাওয়া যাবে তার ধারণা করা অসম্ভব। যা গাণিতিকভাবে ধারণা করা যায় না, তা মায়া ছাড়া কিছুই নয়।

৩. শেয়ার মার্কেটে আদর্শ বাজার বলে কিছু নেই।

৪. এক ভেড়া যা করে আরেক ভেড়াও তাই করে। দিন শেষে আপনি দেখবেন যা আপনার লাভ, যা চুষে নিয়েছেন ; তাই চুষে নিয়েছে আরেকজন।

৫. এখানে বিনিয়োগকে সহজ মনে করা হলেও আসলে তা নয়। কেননা অন্য কারও কাছে তা হয়ত সহজ নয়। এটি নির্বাচিত অর্থনৈতিক শ্রেনীর জন্যই করা হয়েছে। এবং তার মধ্যে আপনিও একজন।