‘নগর নাব্য ২০১৭’ প্রকাশে প্রস্তাবনা – নগরের কথা নাগরিকের লেখায় পৌঁছে যাক ‘যথাযথ কর্তৃপক্ষের’ কাছে

শফিক মিতুল
Published : 21 Oct 2016, 11:18 AM
Updated : 21 Oct 2016, 11:18 AM

আমরা নাগরিকরা প্রতিনিয়ত আমাদের চারপাশে ঘটে যাওয়া ঘটনাবলি নিয়ে লেখালেখি করি। মূল ধারার সাংবাদিকতার পাশাপাশি ব্লগার বন্ধুদের এই লেখালেখি নাগরিক সাংবাদিকতা হিসেবে স্বীকৃত। তথ্য-প্রযুক্তির উন্নতি ও সহজলভ্যতার কল্যাণে নাগরিক সাংবাদিকতার ধরণ ও ধারণায় ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে।

আমরা নাগরিক সাংবাদিকরা আমাদের অবচেতন মনের না বলা কথাগুলো নিয়েই এই ব্লগে লেখালেখি করি। এই ব্লগ ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে এমন অনেক লেখা আছে যা শুধুমাত্র অর্ন্তজালের এই বৃহৎ পরিমন্ডলের বাইরের অনেক মানুষের কাছে পৌঁছার যোগ্যতা রাখে। আর সবার কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য বই আকারে আমরা নিয়মিত হাজির হতে চেষ্টা করি।  এককভাবে বই আকারে প্রকাশ করা হয়ত একজন ব্লগারের পক্ষে সম্ভব হয়ে ওঠে না।আবার অনেকের পক্ষে সম্ভবও। তবে যুথবদ্ধভাবে কাজ করার আনন্দটা্ই ভিন্ন। একটা সংকলন প্রকাশ হলে অনলাইনের লেখাগুলো অফ-লাইনে পড়া যায়। যারা ব্লগিং জানে না, তাদেরকে আমাদের সংকলনটা উপহার হিসেবে দেয়া যায়।

গত ৭ অক্টোবর, ২০১৬ শুক্রবার ব্লগ ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম এর ব্লগার কাজী শহীদ শওকত ভাইয়ের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ভার্চুয়াল জগতের মানুষদের বাস্তবে মিলনমেলা বসেছিলো জাহাঙ্গীরগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ ক্যাম্পাসে।

ওই আড্ডা আহবান পোস্টে  'নগর নাব্য' নিয়ে কথা তুলেছিলেন আমাদের প্রিয় ব্লগার ডাবল জেড (ZZ) অর্থাৎ জুলফিকার জুবায়ের ভাই। তার কথা ছিলো, "বসন্তে নিয়ম আছে নগর নাব্য প্রকাশ করার। গতবার প্রকাশিত হয়েছিল, তাই আশা করি এবারও প্রকাশিত হবে। পৃথিবী থেকে প্রেমভালোবাসা সম্ভবত উঠে(!) যাচ্ছে। তাই সন্দেহ হয় নগর নাব্যও উঠে যাবে কিনা। পৃথিবী থেকে প্রেমভালোবাসা উঠে গেলেও, অন্তত 'নগর নাব্য' যেন টিকে থাকে, মলাটের ভিতরে ভালোবাসাকে সুরক্ষিত রেখে!"

জুলফিকার জুবায়ের ভাইয়ের কথার রেশ ধরেই নাগরিক সাংবাদিক আড্ডায় নগর নাব্য -২০১৭ প্রকাশ নিয়ে আলাপ হয়। আগামি অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৭'কে সামনে রেখে নতুন উদ্যোগে 'নগর নাব্য ২০১৭' প্রকাশ করার আকাঙ্খা ছিল সকলের। ইতিপূর্বে প্রকাশিত 'নগর নাব্য' নিয়ে ব্লগারদের প্রতিক্রিয়া পড়ে দেখতে পারেন – নগর নাব্য নিয়ে একটি প্রতিবেদন, ভাল-মন্দে 'নগর নাব্য'

উল্লেখ্য,  নগর নাব্য ২০১৬  শুধুমাত্র ব্লগে প্রকাশিত ভ্রমণ কাহিনী নিয়ে প্রকাশিত হয়েছিলো, যা পরবর্তীতে পাঠক সমাজে ব্যাপক সমাদৃত হয়। সেই ধারাবাহিতকায় এবারো নাগরিক সাংবাদিকতা ভিত্তিক বিষয়াদি নিয়ে 'নগর নাব্য' প্রকাশের প্রত্যাশা সবার । যে বিষয়ে আলোকপাত করা হয়- এবারে 'প্রশাসনিক' বিষয়াদি নিয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণপূর্বক ব্লগ প্রতিবেদনগুলো নিয়ে সংকলন হতে পারে।

সিটি কর্পোরেশন বা পৌর এলাকার বিভিন্ন নাগরিক সমস্যা ও প্রস্তাবনা নিয়ে লেখা ব্লগ প্রতিবেদনগুলো নাগরিক সাংবাদিকতা ভিত্তিক বৈশিষ্ট্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। দেশের ৮টি বিভাগে সর্বমোট ১২টি সিটি কর্পোরেশন রয়েছে। আমাদের এই নাগরিক সাংবাদিকতা ভিত্তিক প্লাটফর্মেও রয়েছে প্রতি বিভাগ ও প্রতি সিটি কর্পোরেশন থেকে নাগরিক সাংবাদিক বন্ধুরা। আমরা প্রায়শই নিজ এলাকার নাগরিক সমস্যা নিয়ে সচিত্র ব্লগ প্রতিবেদন প্রকাশ করি। যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করি সমস্যা ও প্রস্তাবনা তুলে ধরে, বিশেষত যে সব সংবাদ মেইনস্ট্রিম মিডিয়াতে আসে না। যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণে এই সকল নাগরিক সমস্যা, অভিযোগ ও সমাধানের নাগরিক প্রস্তাবনা নিয়েই মলাটবদ্ধ হোক এবারের নগর নাব্য। আমরা যদি পৌর এলাকার বিদ্যমান এসব সমস্যা নিয়ে প্রকাশিত ব্লগ প্রতিবেদনগুলোকে নগর নাব্যে মলাটবদ্ধ করি তবে নাগরিক সাংবাদিকতার আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতিতে নাগরিক কণ্ঠ আরো সুস্পষ্ট হবে সর্বস্তরের জন্য।

বিভাগসিটি কর্পোরেশন
চট্টগ্রাম বিভাগচট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন (COCC)
ঢাকা বিভাগঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (DNCC)
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (DSCC)
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন (GCC)
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন (NCC)
ময়মনসিংহ বিভাগময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন (MCC)
বরিশাল বিভাগবরিশাল সিটি কর্পোরেশন (BCC)
খুলনা বিভাগখুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি)
রাজশাহী বিভাগরাজশাহী সিটি কর্পোরেশন (RCC)
রংপুর বিভাগরংপুর সিটি কর্পোরেশন (RACC)
সিলেট বিভাগসিলেট সিটি কর্পোরেশন (SCC)

তো… নগর নাব্য ২০১৭ সংকলন প্রকাশের এই কাজ একক প্রচেষ্টায় কখনোই আলোর মুখ দেখবে না তা একদম নিশ্চিত। তাই পূর্বেকার মত প্রচারণা, লেখা বাছাই, চূড়ান্ত নির্বাচনে এবং চূড়ান্ত সম্পাদনায় আমরাই তথা আমাদের মধ্য থেকেই নতুন-পুরনো সহ-লেখকরা থাকবেন। সকল নাম প্রস্তাব করার সুযোগ স্বভাবতই নেই। কারণ আমাদের একেকজন একেকবার একেক ভূমিকা নিয়ে জড়িত থাকবেন। একেক সময় একেক বন্ধু-অগ্রজ যুক্ত হবেন। এইসব ভেবে নগর নাব্য ২০১৭ এর জন্য আমার প্রস্তাবনা থাকছে –

সম্পাদক 
নাজনীন খলিল

আমি বিশ্বাস করি এ কাজে তারা খুশি মনে হাত বাড়িয়ে দেবেন।  সহব্লগার-লেখক বন্ধুদের তীব্র সমর্থন চাইছি আমার এই প্রস্তাবনায়।

ছবি: নাগরিক সাংবাদিকতায় ব্লগ ডট বিডিনিউজ২৪ডটকমের ১ম বর্ষপূর্তিতে 'নগর নাব্য'

আরো আছে….! এবারের নগর নাব্যের (২০১৭) প্রস্তাবনার পর থেকে এর জন্য লেখা সংগ্রহ, বাছাই থেকে সংকলন প্রকাশ হওয়ার পরবর্তী সময়েও নগর নাব্যের প্রচারণার জন্য একটি শক্তিশালী প্রচারণা টিম খুব জরুরি। প্রচারণা টিম গঠনে আমার প্রস্তাবনা –

প্রধান প্রচার ব্যবস্থাপক
ফারদিন ফেরদৌস

(নগর নাব্য ২০১৩ সংগ্রহ করতে পারেন রকমারি ডটকম থেকে।)

বস্তুত ধারাবাহিক সাফল্যের পর এবারের 'নগর নাব্য' (২০১৭) -কে বিশেষ মাত্রায় নাগরিক ও প্রশাসনের কাছে পরিচিত করানোর  প্রত্যাশা রয়েছে। সেটা কীভাবে? টানটান আগ্রহ-উত্তেজনা-সাসপেন্স ধরে এই অংশটুকু কিছুটা নাটকীয়তার সাথে 'সিক্রেট' রাখা হলো। যদিও সম্পাদক ও প্রচার কমিটি এ সম্পর্কে অবহিত থাকবেন।

গতবারের মত এবারও সময় স্বল্পটা আমাদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। তবে এবার অনেকটা ঘড়ি ও ক্যালেন্ডার ধরে এগুতেই হবে আমাদের, যেন বইমেলার শুরু থেকেই নগর নাব্য পাওয়া যায়।

ব্লগ প্রতিবেদন সংক্রান্ত ও লিংক জমা দেয়ার নিয়মাবলী নিয়ে প্রস্তাবনা:

১. সকল ব্লগার/লেখক/নাগরিক সাংবাদিক বন্ধুরা নিজের অথবা অন্যের লিখিত ব্লগ প্রতিবেদনের লিংক (শিরোনাম সহ) আমার এই পোস্টের মন্তব্য ঘরে জমা দিতে থাকবেন। যে কোন ব্লগারই তার পছন্দের পোস্টের লিংক প্রস্তাব করতে পারেন এই পোস্টের মন্তব্য ঘরে। এর উদ্দেশ্য একটু দ্রুত সহযোগিতা প্রত্যাশা ও নিশ্চিত করা।

২. কেবল মাত্র এই ব্লগে/প্লাটফর্মে প্রকাশিত লেখার লিংকই গ্রহণযোগ্য হবে। এই ব্লগে প্রকাশিত ব্লগ প্রতিবেদনগুলো 'এক্সক্লুসিভ' রাখার অনুরোধ করা হচ্ছে।  এই ব্লগে প্রকাশের পূর্বে ও পরে অনলাইন বা অন্য কোন মাধ্যমে লেখাগুলো 'না' প্রকাশের অনুরোধ করা হচ্ছে। অবশ্য এই ব্লগে প্রকাশিত লেখার লিংক অনলাইন বা যে কোন মাধ্যমে শেয়ার করা যেতে পারে।

৩. প্রশাসনিক, জনজীবন, আইনশৃঙ্খলা, খেলাধূলা, ক্যাম্পাস, ভ্রমণ, প্রকৃতি-পরিবেশ ইত্যাদি ক্যাটেগরি থেকে সহজেই খুঁজে নিতে পারেন নাগরিক সমস্যা মূলক বিভিন্ন ব্লগ প্রতিবেদন।

৪. আপনার ব্লগ প্রতিবেদনের সাথে অবশ্যই 'নিজস্ব ধারণকৃত ছবি' যুক্ত করুন।

৫. ব্লগ প্রতিবেদনে নাগরিক সমস্যার এলাকা কোন সিটি কর্পোরেশনের আওতায় এমন তথ্যও যুক্ত করুন।

৬. আপনার ব্লগ প্রতিবেদন অবশ্যই বিস্তারিত হতে হবে। ব্লগ প্রতিবেদন তথ্যপূর্ণ ও নাগরিক প্রতিক্রিয়াপূর্ণ ও সম্ভাব্য সমাধানের প্রস্তাবনাসহ হওয়া বাঞ্ছনীয়।

৭. ব্লগ প্রতিবেদনে বিভিন্ন তথ্য যুক্তকরণে অবশ্যই সচেতন থাকবেন, ভিন্ন কোন প্রতিবেদন থেকে হুবহু 'কপিপেস্ট' করা অংশ যুক্ত না করার অনুরোধ থাকছে।

৮. ব্লগ প্রতিবেদনে বিশেষ কোন পরিসংখ্যান যুক্ত করলে অবশ্যই সূত্র উল্লেখ করুন।

৯. লেখার লিংক জমা দেয়া শেষ তারিখ ২৮ নভেম্বর ২০১৬ রাত ১১:৫৯ পর্যন্ত।

১০. এই পোস্টে জমা দেয়া ব্লগ প্রতিবেদনের লিংকই বাছায়ের জন্য সহ-সম্পাদক বরাবর পাঠানো হবে।

১১. লেখার সময় নির্দিষ্ট সমস্যা নিয়ে লিখবেন। কর্তৃপক্ষের প্রতি আক্রমণাত্মক না হয়ে লেখার ভাষা ভারসাম্যপূর্ণ ও সাবলীল হওয়া বাঞ্ছনীয়। যাদের ইতোমধ্যেই নগর এলাকার বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে বিভিন্ন পোস্ট আছে, তারা ওসব পোস্টের ঘটনার আপডেট থাকলে (অর্থাৎ সমস্যার সমাধান না হলে, কিংবা সমস্যা আরো বৃদ্ধি পেলে) তা সহকারে নতুন করে পোস্ট দিন। আর যারা এখনো লিখেননি, তারা ঝটপট খোঁজ খবর নিয়ে লিখতে বসে যান।

১২. অবশ্যই বানান সচেতন থাকবেন। অতি দীর্ঘ শিরোনাম পরিহার করবেন।

১৩. নিজ এলাকা ভিন্ন ভ্রমণ বা অন্য কোন সুবাদে দীর্ঘকাল যাতায়াতের কারণে যদি ভিন্ন কোন এলাকার সমস্যা সম্পর্কেও অবহিত থাকেন, তাও তুলে ধরুন ব্লগ প্রতিবেদনে।

লেখা জমার দেয়ার সর্বশেষ ক্ষণের পর জমাকৃত সকল লেখার শিরোনাম ও লিংক একত্র করে সকল সহ-সম্পাদক বরাবর পাঠানো হবে। সহ-সম্পাদকগণ যার যার নির্বাচিত তালিকা তৈরী সম্পন্ন করবেন ৭ই ডিসেম্বর ২০১৬ এর মধ্যে। সহসম্পাদগণের নির্বাচিত লেখার তালিকা একত্রিত করে তা সম্পাদক বরাবর পাঠানো হবে।  সম্পাদক চূড়ান্ত নির্বাচন সম্পন্ন করবেন ১৪ ডিসেম্বর ২০১৬ এর মধ্যে। পাণ্ডুলিপি সম্পাদনা, ফন্ট কনভার্সন, বানান ইত্যাদিতে হয়ত আরো ৩-৪ দিন লেগে যাবে। এরপরেই পাণ্ডুলিপি প্রকাশের হাতে তুলে দেয়া যেতে পারে।

আমাদের প্রচার কমিটি ও প্রধান প্রচার ব্যবস্থাপক নগর নাব্য প্রকাশের আগে ও পরেও বিশেষ ভূমিকা রাখবেন। যেমন –

১. প্রচার কমিটির সদস্যরা বিভিন্ন পোস্টে মন্তব্য দিয়ে নগর নাব্য ২০১৭ -এর জন্য লেখার লিংক আমার এই প্রস্তাবনা পোস্টে জমা দিতে মন্তব্য করবেন। অর্থ্যাৎ্ এই প্লাটফর্মের সকল লেখককে সম্পৃক্ত করা, যেন কারো নাগরিক সমস্যার কথা বাদ না যায়।

২. সময়ের স্বল্পতার কারণে প্রচার কমিটির সদস্যরা নিজেও বিভিন্ন লেখার লিংক সংগ্রহ করে এই প্রস্তাবনা পোস্টে মন্তব্য ঘরে জমা দিতে পারেন।

৩. এবারের থিম যদি ব্লগার/লেখক/নাগরিক সাংবাদিক বন্ধুদের বুঝতে অসুবিধা হয়, তবে তাদের মূল থিম বিষদভাবে বোঝাতে ভূমিকা রাখবেন।

৪. জমাকৃত লেখার লিংক মূল থিম অনুসরণ করছে কিনা সে বিষয়ে নজর রাখবেন।

৫. জমাকৃত লেখা ভিন্ন এই ব্লগে প্রকাশের পূর্বে ও পরে ভিন্ন কোন সাইটে প্রকাশিত হয়ে থাকলে তা লেখক, সহ-সম্পাদক ও সম্পাদককে অবহিত করবেন।

৬. ছদ্মনামে লেখেন এমন কারো লেখা 'না' বাছাইয়ের জন্য নজর রাখবেন। তবে লেখক পূর্ণ নাম জানালে না বিবেচিত হবে।

৭. নগর নাব্য প্রকাশ পরবর্তীতে প্রধান প্রচার ব্যবস্থাপকের পরামর্শে প্রচার কমিটি অনলাইনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ও ব্লগার/লেখককের মাঝে এর প্রচারণায় কাজ করবেন।

৮. বই কিনে পড়তে উৎসাহ যোগাবেন।

গতবার আমাদের নগর নাব্য ২০১৬ কলেবরে সীমিত ছিল। এবার নগর নাব্য কলেবরে সীমিত থাকবে না, এমনটাই প্রত্যাশা। তবে এর জন্য অনেক অনেক ব্লগ প্রতিবেদন চাই। সকল সিটি কর্পোরেশন থেকে অন্তত্ দুটো করে ব্লগ প্রতিবেদন নগর নাব্যে চাই।

আমাদের স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণ আবারো উদ্যোগকে দারুণ সফল করতে পারে, কারণ ব্লগ ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম যেমন আমাদের সবার অংশগ্রহণে মুখরিত, ঠিক তেমনি এই একঝাঁক উদ্যোমী নাগরিক সাংবাদিক বন্ধুদের উদ্যোগেই প্রকাশিত হবে আমাদের লেখা। অতএব আমাদের সাগ্রহেই আমরা অংশগ্রহণ করবো।

আশা করি, সবার স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণে ও সহায়তায় দ্রততম সময়ের মধ্যেই আমরা আমাদের কাঙ্খিত নগর নাব্য সংখ্যা প্রকাশ করতে পারব। সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।

এখানেই শেষ নয়…! বরং এখন হতেই নগর নাব্য ২০১৭ এর প্রস্তুতি শুরু!