বিদ্যুৎ ও গ্যাস খেকো পরিবহন খাত

মিজানুর রহমান৭৫
Published : 4 April 2012, 11:01 AM
Updated : 4 April 2012, 11:01 AM

দেশে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে বিদ্যুৎএর লোডশেডিং চলছেতো চলছে…।গরমের এই সময়ে লোডশেডিং এর মাত্রা জ্যামিতিক হারে বেড়েই চলছে।পরিস্থিতি এমন যে এখন মাঝেমাঝে বিদ্যুৎ যায় না- মাঝেমাঝে বিদ্যুৎ আসে।সরকারের দাবী বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে, কিন্তু ব্যবহার কতটুকু বৃদ্ধি পেয়েছে তাও তো দেখা প্রয়োজন। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে দেশে বিভিন্ন বৈদ্যুতিক যন্ত্রের ব্যবহার অনেক গুন বেড়েছে।পাশাপাশি ক্রমবর্ধমান হারে নতুন নতুন কল-কারখানা স্থাপন হচ্ছে।এই সব গুলো বিদ্যুৎ নির্ভর এবং অনেক বিদ্যুৎ এর প্রযোজন হয়।এগুলো তো নিয়মিত বিষয়। যেখানে এই নিয়মিত চাহিদা পূরনে হিমশিস খাচ্ছে বিদ্রুৎ বিভাগ সেখানে তার উপর যোগ হয়েছে বিদ্যুৎ চালিত অটো যানবাহন। দেশে বিদ্যুৎ চালিত অটো যানবাহনের সঠিক পরিসংখ্যান বলতে না পারলেও সাদা চোখে যা দেখা যায় তা হলো রাস্থায় চোখে পড়ার মতো অসংখ্য যানবাহন চলছে।কোন কোন জায়গায় রিক্সার চেয়ে অটো যানবাহন এর সংখ্যা অনেক বেশি মনে হয়।এই অটো যানবাহন গুলো চার্জ দিতে বিপুল পরিমানের বিদ্যুৎ প্রয়োজন হয় এবং যে পরিমান বিদ্যুৎ খরচ করে তা তো জাতীয় গ্রিড থেকেই খরচ হচ্ছে। তাহলে বিষয় দাঁড়ালো পরিবহন খাতও বিশাল পরিমানের বিদ্যুৎ খরচ করছে।

গ্যাস আমাদের জাতীয় উৎপাদনের অন্যতম সহায়ক।বিদ্যুৎ উৎপাদন সহ অনেক কাজেই গ্যাসের ভুমিকা অপরিহার্য।বেশ কিছু দিন থেকে গ্যাস সংকটও চোখে পড়ার মত।অনেক জায়গায় বাসায় গ্যাস সংযোগ থাকার পরও ঠিকমত ২ বেলা রান্না করে খেতে পারে না।এমনকি দুপুর বেলায় বাসায় মেহমান আসলে হোটেল থেকে খাবার আনিয়ে মেহমানদারী করতে হয়।এর উপর গ্যাস চালিত যানবাহনের ক্রমবর্ধমান বৃদ্ধির কারনে গ্যাস সংকট আরো প্রকট আকার ধারন করছে। CNG,টেম্পু,পিকআপ,বাস,ট্রাক সহ অজস্র যানবাহন গ্যাসে চলছে এবং সিংহভাগ গ্যাস বতর্মানে পরিবহন খাতে খরছ হচ্ছে। তা হলে বিষয় কি দাঁড়ালো-দেশের বিদ্যুৎ ও গ্যাসের একটি বিরাট অংশ পরিবহন খাতে খরচ হচ্ছে।

পরিবহন খাতকেও আমরা উপেক্ষা করতে পারব না কিন্তু অন্য ভাবে চিন্তা করলে আমরা এ খাত থেকে বিদ্যুত ও গ্যাসের সাশ্রয় করতে পারি। যেমন-বিদ্যুত চালিত যানবাহন গুলোকে সোলার সিস্টেমের আওতায় আনা গেলে এ খাতে কোন বাড়তি বিদ্যুতের প্রয়োজন হবে না । দিনে যখন এই গুলো চলবে তখন সোলার শক্তিতে চলবে এবং নির্দিষ্ট ব্যাটারিতে সঞ্চিত শক্তি দিয়ে যতক্ষন সম্ভব রাতের বেলায় চলবে।অপর দিকে সড়ক পরিবহনের উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থাকে জনপ্রিয় করা গেলে এই খাতে গ্যাসের ব্যাবহার অনেকাংশে কমে যাবে।তা ছাড়া বৃহৎ পরিসরের ব্যায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপনের মাধ্যমেও গ্যাস সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে।যাই হউক আমরা পরিবহন খাতকে বিদ্যুৎ ও গ্যাস খাদক অপবাদ থেকে মুক্ত দেখতে চাই।।