আজকের পত্রিকার খবর-''চলতি ২০১১-১২ অর্থবছরের মার্চ মাসে জাতীয় মুল্যস্ফীতি আরেক দফা কমেছে। কিন্তু খাদ্য-বহির্ভূত মূল্যস্ফীতির হারে বড় ধরনের উল্লম্ফন দেখা দিয়েছে। খাদ্য-বহির্ভূত মূল্যস্ফীতির হার মার্চ মাসে বেড়ে ১৩ দশমিক ৯৬ শতাংশ হয়েছে, যা ফেব্রুয়ারি মাসে ছিল ১৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) আজ বৃহস্পতিবার মার্চ মাসের মূল্যস্ফীতির এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
এতে দেখা যায়, মার্চে মাসওয়ারি মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ১০ শতাংশ। ফেব্রুয়ারি মাসে এই হার ছিল ১০ দশমিক ৪৩ শতাংশ। মার্চ মাসে খাদ্যের মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ২৮ শতাংশ। আগের মাসে এই হার ছিল ৮ দশমিক ৯২ শতাংশ।'' প্রথম আলো,(৫/৪/১২)
প্রতিটি মানুষ যে যেই পেশায় আছে প্রত্যেকে তার আয় বাড়াতে প্রতিনিয়ত প্রানপণ চেষ্টা করে যাচ্ছে।আয় বৃদ্ধির মাধ্যমে একটু আরাম আয়েসে দিনাতিপাত করতে চায়।কিন্তু মূল্যস্ফীতির কারনে প্রতিনিয়ত মানুষের আয় কমছে।বিশেষ করে চাকরিজীবীদের তো আর প্রতি মাসে বেতন বাড়ে না।নির্ধারিত নির্দিষ্ট বেতনেই পুরো বছর চাকুরী করতে হয় এবং যে যে পরিমান বেতন পান তিনি সেই হিসেবে তার মাসিক খরচের তালিকা প্রস্তুত করেন।তাহলে প্রতি দিন পাগলা ঘোড়ার মত যে হারে দ্রব্য মূল্য বাড়ছে এই বাড়তি টাকা মাসুষ কোথায় পাবে?আসলে এই দ্রব্য মূল্যের উর্ধ্বগতির কারনে মানুষের নাভিশ্বাস উঠে গেছে। অনেকে তাদের পূর্ব গচ্ছিত অর্থ খরচ করছেন। একদিকে নির্ধারিত হিসাবের মধ্যে খরছ বাড়ছে অন্য দিকে আয় একই অবস্থায় রয়েছে। তা হলে বিষয়টি দাঁড়ালো মানুষের আয় কমে যাচ্ছে।দেশের স্বনাম ধন্য, বিজ্ঞ-অভিজ্ঞ অর্থনীতিবিদগণ কি বিষয়টি বুঝতেছেন না!না কি রঙ্গীন চশমার ফাঁক দিয়ে পৃথিবী রঙ্গীন মনে হচ্ছে! দ্রব্য মূল্যের উর্ধ্বগতির কারনে মানুষ কেমন দিশেহারা হয়ে গেছে তা একটু সরজমিনে দেখেন, ভবিষ্যতের জন্য অনেক ফায়দা হবে।।