কেমন ডিজিটাল বাংলাদেশ চাই

মিজানুর রহমান৭৫
Published : 19 April 2012, 07:15 PM
Updated : 19 April 2012, 07:15 PM

বেশ কিছুদিন থেকে আমরা ডিজিটাল শব্দটির সাথে পরিচিত হয়ে আসছি। ডিজিটাল ব্যাবস্থা হলো অতি মাত্রায় যন্ত্রের ব্যবহার এবং যন্ত্রকে যথাযথ ও সঠিক দিক নিদের্শনার মাধ্যমে অতি অল্পসময়ে নির্ভুল ভাবে অধিক কার্য সম্পাদন করা ও অধিক তথ্য আহরণ করা। বাংলাদেশে বেশ কিছু বেসরকারী প্রতিষ্ঠান ইতিপূর্বের ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যাবহার শুরু করেছে এবং এর সুফল ভোগ করে আসছে। বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ডিজিটাল পদ্ধতি প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার নিয়ে তাদের নির্বাচনী ইশতেহার প্রচার করে। নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা অজর্নের মাধ্যমে সরকার গঠনের পরবর্তী সময়ে সবর্স্থরে ডিজিটাল ব্যাবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী কর্মপ্রক্রিয়া । চাইলেই ২/৪ বছরের মধ্যে ১০০% ডিজিটাল ব্যাবস্থা বাস্থবায়ন কোন ভাবেই সম্ভব নয়। এর জন্য যে উদ্দ্যোগ গ্রহন করার প্রয়োজন ছিল বতর্মান সরকার যথাযথ ভাবে তা গ্রহন করেছে। এখন যা প্রয়োজন তা হল নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে দ্রুত এর বাস্তবায়ন। চূড়ান্ত ডিজিটাল বাংলাদেশের অবয়ব কেমন হবে তা নিশ্চয় এর উদ্যোক্তা ও পরিকল্পনাকারী গন প্রণয়ন করে রেখেছেন। তার পরও বিভিন্ন পর্যায়ে কেমন হওয়া চাই চূড়ান্ত ডিজিটালি বাংলাদেশের অবয়ব তার একটি রূপরেখা আলোকপাত করলাম:

কেমন হওয়া চাই ডিজিটাল অর্থনীতি :
ডিজিটাল অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় প্রথমত কোন প্রকার মূদ্রনকৃত দৃশ্যমান মুদ্রা/টাকা থাকবেনা। সকল প্রকার লেন-দেন ও অর্থনৈতিক কমর্কান্ড ডিজিটাল একাউন্ট এর মাধ্যমে পরিচালিত হবে। প্রত্যেক নাগরিকের একটি স্বতন্ত্র আইডি নাম্বার থাকবে (যা জাতীয় পরিচয় পত্র হিসাবে বিবেচিত হবে) এবং সকল স্তরের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানেরও একটি স্বতন্ত্র আইডি নাম্বার থাকবে। বর্তমান সকল নাগরিক ও প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধনের মাধ্যমে স্বতন্ত্র আইডি গ্রহন করবে এবং নতুন কোন শিশু জন্মগ্রহণের সাথে সাথে ও কোন প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠার সূচনা লগ্নেই নির্দিষ্ট সরকারী প্রতিষ্ঠানে নিবন্ধনের মাধ্যমে আইডি নাম্বার গ্রহন করবে। এই আইডিতে ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সকল প্রকার তথ্য সংরক্ষিত থাকবে এবং ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সকল প্রকার আয়-ব্যায়, লেন-দেন ইত্যাদি পরিচালিত হবে। প্রতিটি আইডির বিপরীতে জাতীয় নিয়ন্ত্রণ সংস্থায় (National Server)এ একটি একাউন্ট থাকবে। প্রতিটি একাউন্ট এর বিপরীতে একটি ডেবিট কার্ড ও একটা রিসিভার মেশিন থাকবে। রিসিভার মেশিনটি হবে খুব হালকা ও সহজে বহন যোগ্য, মোবাইল ফোন সেট সদৃশ। এমনকি মোবাইল সেটের সাথেও এই প্রযুক্তিটি সংযুক্ত করা যেতে পারে। একাউন্ট টু একাউন্ট ব্যালেন্স ট্রান্সফার বা ডেবিট কার্ড টু রিসিভার এর মাধ্যমে যাবতীয় অর্থনৈতিক লেনদেন সম্পাদিত হবে। যেমন কোন ব্যাক্তি কোন প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করলে তার মাসিক বেতন বা সম্মানী ঐ প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তির একাউন্টে প্রতিষ্ঠানের একাউন্ট থেকে ট্রান্সফার করে দেবে। আবার প্রতিটি ব্যাক্তি তার দৈনন্দিন খরচ যেমন- কেনাকাটার বিল, গাড়ী ভাড়া,খাওয়ার বিল,ব্যাংক-বীমায় জমা ইত্যাদি খরচ গুলো তার ডেবিট কার্ড এর মাধ্যমে পরিশোধ করবে। যে ব্যাক্তি বিল প্রদান করবে তার ডেবিট কার্ডটি যাকে বিল প্রদান করা হবে তার রিসিভিং মেশিনে পাঞ্চিং এর মাধ্যমে প্রদান কারীর একাউন্ট থেকে গ্রহীতার একাউন্টে এ নির্ধারিত অংকের অর্থ জমা হবে। প্রতিটি ব্যাক্তি সব সময় ডেবিট কার্ড ও রিসিভিং মেশিন বহন করবে বিধায় অতি সহজে ও অনাআশে সব ধরনের লেনদেন মূদ্রিত/দৃশ্যমান মূদ্রা ছাড়া অল্পসময়ে অতি দ্রুত সম্পন্ন করতে পারবে। পাশাপাশি সকল প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে। প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় লেন-দেন,ক্রয়-বিক্রয়,বেতন-ভাতা ইত্যাদি খরচাদি প্রতিষ্ঠানের নামে ইস্যুকৃত ডেবিট কার্ড ও রিসিভার মেশিন বা একাউন্ট ট্রান্সফার এর মাধ্যমে হবে। এতে বিপুল পরিমানের নগদ অর্থ বহনের ঝক্কিঝামেলা থাকবে না। জাতীয় নিয়ন্ত্রণ সংস্থার মাধ্যমে ব্যাক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় লেনদেন ১০০% ডিজিটাল ব্যবস্থায় সম্পন্ন হলে এই লেনদেন বিবরনী জাতীয় সার্ভারে সংরক্ষিত থাকবে। এর ফলে ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে ভ্যাট/ট্যাক্স/রাজস্ব নির্ধারন ও আদায় করা খুব সহজ হবে। নির্ধারিত নিয়মে নির্দিষ্ট পরিমানের কর স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে সময়মত কর দাতার একাউন্ট থেকে জাতীয় কোষাগারে জমা হয়ে যাবে। এতে সবর্স্থরে ১০০% রাজস্ব আদায় সম্ভব হবে এবং জাতীয় রাজস্ব বোডর্ সবচেয়ে বেশী উপকৃত হবে। সরকারের রাজস্ব আদায় সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গুলোতে বিপুল সংখ্য কর্মকর্তা কমর্চারী রয়েছেন। ব্যাপক প্রচার প্রচারনা,ধরপাকড়, নিয়মনীতি, চেষ্টাতদ্ববির সত্বেও আশানুরুপ রাজস্ব আদায় সম্ভব হয় না এমনকি সরকারের রাজস্ব আদায় সংক্রান্ত সংস্থাগুলোর কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে নান ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ আছে। ডিজিটাল ব্যাবস্থা কাযর্কর করা হলে দুর্নীতিমুক্ত ভাবে ১০০% রাজস্ব আদায় সম্ভব হবে। তবে ডিজিটাল অর্থনৈতিক ব্যাবস্থা কাযর্কর করার জন্য উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক, বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ও দক্ষ জনবল প্রয়োজন। এখানে উল্লেখ্য যে ডেবিট কার্ড ও রিসিভিং মেশিন ইস্যু ও বিতরণ সরকারী ব্যবস্থাপনায় ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত সম্প্রসারিত থাকবে। কারো ডেবিট কাডর্ বা রিসিভিং মেশিন হারিয়ে গেলে বা অকাযর্কর হয়ে গেলে সাথে সাথে একটি নির্দিষ্ট হট নাম্বারে অভিযোগ প্রদানের মাধ্যমে তা সাময়িক বন্ধ করা যাবে এবং নিকটস্থ ইস্যু সেন্টার থেকে নতুন ভাবে গ্রহন করতে পারবে।

কেমন হবে ডিজিটাল শিক্ষাব্যবস্থা:

ডিজিটাল শিক্ষাব্যবস্থায় ১ম এবং ২য় শ্রেণীতে ছাত্র ছাত্রীদেরকে পাঠ্য বই এর মাধ্যমে পাঠ দান করানো হবে এবং কম্পিউটার শিক্ষার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হবে ও শিক্ষার্থীদেরকে কম্পিউটার ব্যবহার উপযোগী করে গড়ে তোলা হবে। ৩য় শ্রেনী থেকে সকল শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হবে ১০০% কম্পিউটারের মাধ্যমে। সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় এই সব লেপটপ প্রদান করা হবে তবে শিক্ষার্থীগন প্রতিটি লেপটপের বিপরীতে নির্দিষ্ট পরিমান ফি প্রদান করবে। পাঠ দান থেকে শুরু করে পরীক্ষা সব কিছুতেই ব্যবহার হবে কম্পিউটারের। সকল শিক্ষাথীর লেপটপ ব্যাবহার করবে এবং সকল পাঠ্য বই এর সফটকপি ফোল্ডার আকারে লেপটপে ইনস্টল করা থাকবে। যখন ক্লাশে যে বিষয় পাঠ দান করা হবে তখন শিক্ষকের নিদের্শ মোতাবেক নির্দিষ্ট বিষয়ের নির্দিষ্ট অধ্যায় ওপেন করে তা অধ্যয়ন করবে। ছাপানো বই ছাড়া ১০০% ডিজিটাল ব্যবস্থায় সকল শিক্ষা কার্যক্রম সম্পন্ন হবে। এতে প্রতি বছর বিনামূল্যে বিতরণকৃত পাঠ্য বই এর পেছনে সরকারের খরচ কমে যাবে এবং সবর্স্থরে ডিজিটাল ব্যাবস্থা বাস্থবায়ন হলে শিক্ষাক্ষেত্রের সার্বিক ব্যায় ও সময় অনেক কমে যাবে।

কর্মসংস্থান সৃষ্টি:

সবর্স্থরে ডিজিটাল ব্যাবস্থা কার্যকর হয়ে গেলে প্রতিটি বিভাগ ও সংস্থায় কর্মরত এত বিপুল সংখ্যক জনবলের প্রয়োজন হবে না। আইটিতে দক্ষ মুষ্টিমেয় লোক দ্বারাই বিভিন্ন বিভাগ ও সংস্থা চালানো সম্ভব হবে। তাই বতর্মানে কর্মরত বিপুল সংখ্যক লোক বেকার হয়ে যাবে। দেশের ক্রম বধর্মান নতুন বেকার গোষ্ঠীর সাথে কমর্চ্যুত এই বিপুল সংখ্যক গোষ্ঠী যোগ হলে দেশের বেকার সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করবে। এই অবস্থা মোকাবেলা করার জন্য বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যাবস্থা করতে হবে এবং কর্মসংস্থান ব্যাবস্থাকে ২/১ টি শহরে কুক্ষিগত না রেখে জেলা,উপজেলা,ইউনিয়ন পর্যন্ত বিস্তৃত করে মানুষের দোর গোড়ায় নিয়ে যেতে হবে। সরকারী ব্যবস্থাপনায় একটি কমর্সংস্থান সংস্থা থাকবে এবং প্রতিটি জেলা,উপজেলা ও ইউনিয়ন পযর্ন্ত এর কার্যালয় থাকবে। এই সংস্থা স্থানীয় পর্যায়ে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প, হস্তশিল্প, পোশাক শিল্প,বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি,মৎস্য ও পশুপালন,কৃষিকাজ সহ সকল প্রকার উৎপাদন মুখী কর্ম প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ জন শক্তি তৈরী করে পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে বিভিন্ন কর্ম ক্ষেত্র তৈরী করবে এবং উৎপাদিত পন্য যোক্তিক মুল্যে উৎপাদন কারীর নিকট থেকে সংগ্রহ করবে। এই উৎপাদিত পন্য থেকে স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পর উদৃত অংশ রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় জাতীয় পর্যায়ে বিপনন করবে এবং অরও উদৃত থাকলে বিদেশে রপ্তানী করবে। এই প্রক্রিয়াটি বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় হতে পারে। এতে এক দিকে দেশের বিরাট বেকার সমস্যার সমাধান হবে ও উৎপাদন বিপুল পরিমানে বেড়ে যাবে অন্যদিকে উৎপাদিত পন্য দিয়ে দেশের আভ্যন্তরীন চাহিদা মেটানোর পর উদৃত অংশ বিদেশে রপ্তানী করার মাধ্যমে অনেক বৈদেশিক মুদ্রা অজর্ন করা সম্ভব হবে।

বিদ্যুৎ ও গ্যাস উৎপাদন বৃদ্ধি:
বিদ্যুৎ ও জ্বালানী ঘাটতি দেশের উৎপাদন ব্যবস্থাকে মারাত্বক ভাবে ব্যাহত করছে এবং জন জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলছে। কিস্তু ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা অপরিহায্য। এই সমস্যা থেকে উত্তোরনের লক্ষ্যে বিদ্যুৎ ও গ্যাস উৎপাদনের প্রতি জোর দিতে হবে। ব্যায়োগ্যাস উৎপাদনের মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান করা যায়। সরকারী ব্যবস্থাপনায় যে কমর্সংস্থান সংস্থা থাকবে তাদের পৃষ্ঠপোষকতায় ও তত্বাবধানে গ্রাম পর্যায়ে বানিজ্যিক ভাবে গোবাদি পশু পালন ও পোল্টি ফার্ম গড়ে তুলে গোবাদি পশু ও পোল্টি ফার্ম এর মল দিয়ে গ্রামে এবং শহরের বর্জ দিয়ে শহরে বড় পরিসরে ব্যায়োগ্যাস প্লান্ট নির্মাণ করতে হবে। ব্যায়োগ্যাস প্লান্ট থেকে উৎপাদিত গ্যাস থেকে স্থানীয় আবাসিক জ্বালানী চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করে স্থানীয় বিদ্যুৎ চাহিদা মিটিয়ে উদৃত থাকলে তা বিশেষ ব্যবস্থায় জাতীয় গ্রীডে যুক্ত করতে হবে। এতে দেশের বিদ্যুৎ ও গ্যাস সমস্যার সমাধান হবে এতে মানুষের মাঝে স্বস্থি ফিরে আসবে এবং প্রতিটি ক্ষেত্রে বিপুল পরিমানে উৎপাদন বেড়ে যাবে।

১০০% ডিজিটাল পদ্ধতি বাস্তবায়িত হয়ে গেলে সকল নাগরিক ও প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় তথ্য উপাত্ত জাতীয় ডাটাবেজে থাকবে বিধায় যে কোন সময় সরকারী বিভিন্ন সংস্থা বা বেসরকারী কোন সংস্থার প্রয়োজনে অতি দ্রুত ও অল্প সময়ে এবং নির্ভুল ভাবে এক ক্লিকে চাহিদা মত যে কোন তথ্য জানতে পারবে। এতে বিভিন্ন বিষয়ের উপর মাঠ পর্যায় থেকে ডাটা সংগ্রহ করার জন্য সরকারী বা বেসরকারী সংস্থার জনবল ও দাপ্তরিক কাজ সম্পন্ন করার জন্য যে পরিমান অর্থ ও সময় খরচ হয় তা সাশ্রয় হবে। ফলে সরকারের ব্যায় ভার অনেকাংশে কমে যাবে। যাই হউক আমি মনে করি ডিজিটাল বাংলাদেশের এই রুপ সুদূর প্রসারী কাঠামো নির্ধারণ করে এখন থেকে সকল কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা গেলে অদূর ভবিষ্যতে আমরা স্বপ্নের ডিজিটাল বাংলাদেশ পাব এই প্রত্যাশা রাখি।।

#-মো:মিজানুর রহমান।