আইন ও সালিশি বোর্ডের তথ্য মতে ২০১২ সালের জানুয়ারী মাস থেকে ২০ এপ্রিল ২০১২ পর্যন্ত দেশে মোট ১৬ টি গুমের ঘটনা ঘটেছে এবং গুম হওয়া কাউকে অদ্যাবধি উদ্ধার করা যায় নাই। সর্বশেষ গুম হয় বিএনপির সাবেক সাংসদ ইলেয়াস আলী। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হওয়ার কারনে বিষয়টি এত সাড়া জাগিয়েছে এবং এ নিয়ে সারাদেশে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে সিলেট বিভাগে ১৯ এপ্রিল ১ দিনের হরতাল হয়ে গেল এবং ২২ এপ্রিল আবারও ১ দিনের হরতাল হতে চলেছে। ঢাকা সহ সারাদেশে বিভিন্ন রকমের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে চলেছে। রাজধানীতে গাড়ী পুড়েছে এবং এই আগুনে পুড়ে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এটা হল হরতাল পূর্ববর্তী ঘটনা প্রবাহ। আগামী কালকের হরতালে কি পরিমান জানমালের ক্ষয়ক্ষতি হবে তা আল্লাহ বেমালুম। এতে সাধারন মানুষ চরম অসুবিধায় সম্মুখীন হয়েছে। কর্মজীবী মানুষ জীবিকার সন্ধানে ঘর থেকে বের হওয়াকে নিরাপদ মনে করছেনা। এমনকি সাধারন মানুষের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। বিরোধী দল যে ইস্যুকে কেন্দ্র করে হরতাল আহ্বান করেছে সরকার আন্তরিক ভাবে চেষ্টা করলে এই হরতাল থেকে বিরোধী দলকে বিরত রাখতে পারতো। সরকার ইলিয়াস আলীকে জনসম্মুখে উপস্থিত করলে বিরোধী দল হরতাল প্রত্যাহারের ঘোষনা দিয়ে ছিল। তা হলে সরকার ইলিয়াস আলীকে জনসম্মুখে উপস্থিত করে এই ধ্বংসাত্মক হরতাল প্রতিহত করছেনা কেন? আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন ইলিয়াস আলীকে নাকি বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম জিয়া লুকিয়ে রেখেছেন! যদি এমন তথ্য প্রধান মন্ত্রীর কাছে থাকে তা হলে উনি ইলিয়াস আলীকে উদ্ধারের মাধ্যমে বিরোধী দলীয় নেত্রীর মুখোশ উম্মোচন করে দেশ বাসীকে এই ধংসাত্মক হরতালের হাত থেকে রক্ষা করছেন না কেন? দেশের সকল বাহিনী, আইন আদালত, সকল শক্তি তো প্রধান মন্ত্রীর হাতে রয়েছে, তা হলে উনি কেন জনগনদেরকে জনগনকে রক্ষা না করে তাদেরকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছেন! আমরা সাধারন জনগন আসলে সরকারী দল নাকি বিরোধী দল কাদের প্রতিহিংসার শিকার তা বোধ গম্য নয়। সাধারণ নাগরিক হিসাবে আমরা কেউ এই রকম অশান্তি চাইনা। কিন্তু আমরা কি করবো! আমাদের চাওয়া পাওয়াতে তো ওনাদের কারও কিছু যায় আসেনা। ওনারা রাজনীতিবিদ আর আমরা নাগরিক। ওনারা খেলবেন আর আমরা দেখব। দেখি খেলা কেমন জমে!!