রাসুল (সাঃ) যখন মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করেন তখন তাঁর মুখে উচ্চারিত হয়, হে আমার স্বদেশ, আমি তোমায় ভালবাসি । আমার স্বজাতি যদি ষড়যন্ত্রে লিপ্ত না হত তাহলে আমি তোমায় ছেড়ে কখনো যেতাম না। এ থেকে বুঝা যায় দেশকে ভালবাসা রাসুল (সাঃ) এর সুন্নাত। আমিও সুন্নাত হিসাবে দেশকে ভালবাসি। কারন আমি সকল ক্ষেত্রে নিজেকে একজন মুসলমান হিসাবেই বেশি প্রাধান্য দিয়। আমি যখন দেশ ছেড়ে প্রবাসে আসছিলাম তখন আমার খুব কষ্ট হচ্ছিল। আমি ভাবছিলাম আমার এই দেশ যদি আমাকে কাজের সুযোগ দিত, আমার সততার মূল্য দিত তাহলে আমাকে আমার মাতৃভূমি ছেড়ে যেতে হত না। এখন প্রবাসে এসে দেশের প্রতি মমত্ববোধ আরো অনেক বেড়ে গেছে। দেশের এবং দেশের মানুষের কোন কিছু হলে আমরা প্রবাসীরা খুবই মর্মাহত হয়। সে আপন জন হোক বা না হোক। তাই কষ্ট হয় যখন দেশের মানুষ সামান্য কিছুতেই রাস্তায় নামে গাড়ী ভাংচুর করে, রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করে, নিজের এলাকার সৌন্দর্য নষ্ট করে। কষ্ট হয় যখন দেখি নিজের ভাইকে নিজেরা পিটিয়ে আহত করে, হত্যা করে। আপন ভাই না হোক ইসলামের দৃষ্টিতে সেও আমার ভাই। কষ্ট হয় আমার কোন বোন যখন ইভটিজিং এর শিকার হয়ে অপমানে বিষ খেয়ে মারা যায়। কষ্ট হয় যখন দেখি আমার ঘরের গ্যাসের চুলা অকারণে জ্বলে, কষ্ট হয় যখন বাথরুমে বালতির পানি উপচে পড়ে অপচয় হয়। অথচ আমরা জানি অপচয় কারি শয়তানের ভাই। কষ্ট হয় যখন দেখি বিজাতীয় সংস্কৃতি দেশীয় সংস্কৃতিকে গ্রাস করে। আমরা মুখে বলি দেশকে ভালবাসি, বিজয় দিবস আসলে আমার সোনার বাংলা…. বলে গলা ফাটিয়ে ফেলি। এ আমরাই দূর্নীতি করে দেশের বারটা বাজিয়ে ফেলি। কোন লাভ নায় , কোন পরিবর্তন হবে না। যতক্ষণ না আমরা নিজেদের ধর্মীয় মূল্যবোধ জাগ্রত করতে না পারি। আসুন আমরা ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলি, হালাল – হারাম বুঝার চেষ্টা করি। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে দেশকে ভালবাসি।