একজন ন্যায়পরায়ণ বিচারক

মিজান
Published : 30 June 2011, 07:57 AM
Updated : 30 June 2011, 07:57 AM

সৌদি আরবের তাবুক সিটিতে গতকাল ২৯ জুন ২০১১ তারিখে একজন বাংলাদেশিকে গাড়ি চুরির অপরাধে দুই মাসের কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি গাড়ী চুরে করে তা বিক্রয় করেছেন। কিন্তু যাকে কারাদন্ড দেয়া হয়েছে তিনি বলেন তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা। তিনি বলেন যেহেতু গাড়ি বিক্রয় করা তার কাজ সেহেতু এক ব্যাক্তি গাড়িটি বিক্রয় করতে দিয়েছেন। এটি যে চুরি করা গাড়ী তিনি তা জানতেন না। কিন্তু দূঃখের বিষয় তার পক্ষে কোন তথ্য প্রমান সে উপস্থাপন করতে পারেনি। অন্য দিকে বাদী পক্ষের দুইজন স্বাক্ষী তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সত্য হিসাবে আদালতে উপস্থাপন করেন। এর ফলে মামলার রায় বাদির পক্ষে চলে যায়। কিন্তু ন্যায়পরায়ণ বিচারক তা বুঝতে পারেন। তার পরেও যেহেতু অপরাধী না জেনে হলেও অপরাধ করেছেন এবং তার বিরুদ্ধে দুইজন স্বাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন এতে বিচারকের ইচ্ছা থাকলেও তার পক্ষে দয়া দেখানোর কোন সুযোগ ছিল না। তাই বাধ্য হয়ে বিচারক অপরাধের ধরন অনুযায়ী বাংলাদেশি লোকটিকে দুই মাসের কারাদণ্ডে দন্ডিত করেন। বিচার কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর বিচারক তাকে কাছে ডাকলেন এবং তার কাছে ক্ষমা চাইলেন। বিচারক বললেন দুইজন স্বাক্ষী সাক্ষ্য দেয়ার কারণে দন্ড দেয়া ছাড়া তার কিছুই করার নেই। বিচারক আবারো অপরাধী প্রমাণিত ব্যাক্তির কাছে ক্ষমা চাইলেন। তিনি বললেন তুমি কি আমাকে ক্ষমা করেছ ? তিনি এবার অন্য একজন বাংলাদেশি যিনি ভাষা অনুবাদ করে দিচ্ছিলেন তাকে ডেকে বললেন সে কি আমাকে ক্ষমা করেছে। অনুবাদক বললেন, সে আপনাকে ক্ষমা করেছেন। ক্ষমা পেয়ে বিচারক অবশেষে স্বস্তি ফিরে পেলেন।