অসংখ্য নৈরাজ্য আর দুঃসংবাদের ভেতর দু’টি সুসংবাদ

কালবৈশাখী ঝড়
Published : 22 June 2012, 04:00 PM
Updated : 22 June 2012, 04:00 PM

অসংখ্য নৈরাজ্য আর দুঃসংবাদের ভেতর দুটি সুসংবাদ।

সম্প্রতি দুদিন বিরতিতে পত্রিকার পাতায় দুটি খবর

১। বাংলাদেশের নাম যুক্তরাষ্ট্রের মানব পাচার সংক্রান্ত কালো তালিকা থেকে বাদ।

২। বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ইপিজেড বিশ্বের সেরা অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসাবে নবম স্থানে।

দেশে পোশাক শিল্পে যখন চরম অস্থিরতা চলছে, ঠিক সে সময় একটি সুখবর নিয়ে হাজির হয়েছে চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা (CEPZ)।

'গ্লোবাল ফ্রি জোন অব দ্য ফিউচার ২০১২-১৩' প্রতিযোগিতায় সিইপিজেড সেরা দশে স্থান করে নিয়েছে। লন্ডনভিত্তিক ফিন্যান্সিয়াল টাইমস গ্রুপের 'এফডিআই ম্যাগাজিন' বিশ্বের ১২০টি দেশের ৬০০ এক্সপোর্ট জোনের ওপর জরিপ শেষে গত শুক্রবার (১৫-৬-১২) যে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করেছে তাতে নবম স্থান পেয়েছে চট্টগ্রাম ইপিজেড।
এই তালিকায় শীর্ষস্থান দখল করেছে দুবাই এয়ারপোর্ট ফ্রি জোন।

দক্ষিণ এশিয়ায় সিইপিজেডের পরেই রয়েছে ভারতের দাহেজ স্পেশাল ইকোনমিক জোন। তবে ভারতের গুজরাটে অবস্থিত এই ইপিজেডটি গত বছর সেরা ২৫-এ স্থান পেলেও এবার কিছুটা পিছিয়ে ২৬তম স্থান পেয়েছে।

২০১০ সালে সেবার সার্বিক জরিপে সেরা ২৫-এ ঠাঁই পায়নি চট্টগ্রাম ইপিজেড।

সিইপিজেডের সাফল্যের খবর নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ কর্তৃপক্ষ (বেপজা)। এ প্রসঙ্গে বেপজার সদস্য এ কে এম মাহবুবুর রহমান গতকাল বলেন, 'এটা এ যাবৎ বাংলাদেশের সবচেয়ে সেরা অর্জন। গতবার আমরা সাফল্য পেলেও সেবার সেরা ২৫-এ স্থান পাইনি। কিন্তু এবার বেশ খানিকটা এগিয়ে গেলাম।' প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'এ বছরের শুরুতেই এফডিআই ম্যাগাজিন কর্তৃপক্ষ আমাদের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে বলে। সেই অনুযায়ী, এ বছরের ২৮ মার্চ সিইপিজেডের সব তথ্য তাদের কাছে জমা দিই। আমাদের দেওয়া তথ্যের বাইরে তারা বিকল্প মাধ্যমেও তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছে।' বেপজার এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় এই অসাধারণ সাফল্যের জন্য বিদেশি বিনিয়োগকারীদের চোখ থাকবে এখন বাংলাদেশের দিকে। চট্টগ্রাম যে বিনিয়োগের জন্য সবচেয়ে ভালো জায়গা, সে ধরনের একটি বার্তাও তাদের কাছে গেছে।

সেরা দশে ঠাঁই পাওয়া অন্য জোনগুলো হলো-

চীনের সাংহাই ওয়াইগাওকিয়াও ফ্রি ট্রেড জোন,
মালয়েশিয়ার ইস্কান্দার ফ্রি জোন,
আরব আমিরাতের ডু-বাইওটেক,
মরক্কোর ট্যাংগার ফ্রি জোন,
লাটভিয়ার ফ্রি পোর্ট অব ভেন্টসপিলস,
ফিলিপাইনের দ্য ক্লার্ক ফ্রি পোর্ট জোন,
বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ইপিজেড,
এবং
আরব আমিরাতের দুবাই মিডিয়া সিটি।
এই তালিকায় সবচেয়ে এগিয়ে আছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রপ্তানি এলাকাগুলো। প্রথম সারির ৫০টি রপ্তানি এলাকার মধ্যে ১৪টিই আরব আমিরাতের।

দীর্ঘদিন (আদম পাচারকারি হিসাবে) মার্কিন কালো তালিকায় থাকা বাংলাদেশ অবশেষে মুক্তি পেল। ছবি সহ ন্যাসেনাল আইডি, পাসপোর্ট – ভিসা ও জন্ম নিবন্ধন ডিজিটাল করার সুফল হয়তো। আর গলাকাটা পাসপোর্টের কথা আর শোনা যায় না।