ঘুমন্ত সহপাঠীর গলা কেটে পালালো মাদ্রাসার আবাসিক ছাত্র।
খুন হওয়া আমির আব্বাসের পাশেই ঘুমিয়ে ছিল তার বন্ধু সহপাঠী সাইফুর রহমান। দুই জনই সমবয়সী। আর এই সাইফুর রহমানই ঘুমন্ত আমির আব্বাসকে খুন করে ভোররাতেই মাদরাসা থেকে পালিয়েছে।
মাদ্রাসায় ধর্মশিক্ষা এইসব কোমলমতি কিশোরদের মানবিক মূল্যবোধ মনে হয় একটুও বাড়াতে পারেনি!
ঘটনাস্থল সিলেটের হযরত শাহজালাল (রহ.) দরগাহসংলগ্ন ক্বাসিমুল উলুম মাদ্রাসার হিফজ শাখার ছাত্রাবাসে। মাদ্রাসার আবাসিক হোস্টেলের ১৬ নং কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। একটি কক্ষে ঘুমায় ৩৪ জন ছাত্র। খুন হওয়া আমির আব্বাসের পাশেই ঘুমিয়ে ছিল তার বন্ধু সাইফুর রহমান। দুই জনই সমবয়সী। আর এই সাইফুর রহমান ঘুমন্ত আমির আব্বাসকে গলা কেটে খুন করে ভোররাতেই মাদ্রাসা থেকে পালিয়েছে। খুনের ঘটনায় দরগাহ এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহত আব্বাসের স্বজনদের আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠেছে দরগাহ এলাকার পরিবেশ।
ক্বাসিমুল উলুম মাদ্রাসার হিফজ শাখায় ৭০ জন আবাসিক ছাত্র ছিল। এদের বসবাস ও খাওয়ার জন্য দরগাহের ঝরনার পাড় এলাকার ফটকের পাশে একটি ছাত্রাবাস। এতে গাদাগাদি করে থাকতো ছাত্ররা। রোববার রাতে একটি কক্ষে ঘুমিয়ে ছিল ৩৪ জন ছাত্র। এদের মধ্যে নিহত আমির আব্বাস ও পাসে সাইফুর রহমানও ছিল। অভিযুক্ত সাইফুরকে এখনো খুজে পাওয়া যায় নি।
সুত্র,
আজ প্রকাশিত কয়েকটি দৈনিক পত্রিকা