একটি ইস্যুতে সরকার ও বিরোধীদল বিস্ময়কর ভাবে একমত!

কালবৈশাখী ঝড়
Published : 10 August 2012, 02:09 PM
Updated : 10 August 2012, 02:09 PM

প্রায় সব ব্যাপারে দ্বিমত থাকলেও একটি ব্যাপারে সরকারি দল, বিরোধীদল বিস্ময়কর ভাবে একমত। দেশের ছোট বড় বিভিন্ন উপজাতি, আদি নৃ-গোষ্ঠি এত দিন আদিবাসী নামে পরিচিত ছিল এবং এটা প্রচলিত ছিল ২০১০ পর্যন্ত। প্রতিক্রিয়াশীল ডানপন্থীরা, এবং বর্ণবাদিরা এর বিরোধীতা করে গেছে শুরু থেকেই। মৌলবাদিরা তো খোদার নাফরমান বান্দা হিসাবে এদেরকে মানুষই মনে করে না। ডানপন্থী ও মৌলবাদীদের নিয়ে গঠিত প্রধান বিরোধী দল খুব স্বাভাবিক ভাবেই শীতল প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে এর স্পষ্ট বিরোধিতা করে আসছিল।

কিন্তু ২০১০ এর দিকে কিছু আমলার পরামর্শে আওয়ামি সরকার ভোল পালটে ফেলে। আদিবাসী দিবস পালন থেকে বিরত থাকে, বলে দেশে কোন আদিবাসী নেই। সরকারের সব কাজে নেতিবাচক বিএনপি এ ব্যাপারটিতে নিরব সম্মতি জানিয়ে সম্পুর্নভাবে নিশ্চুপ। আদিবাসী, উপজাতী বা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী যাই বলেন এরা সংখ্যায় অতি অল্প।

পৃথিবীর অন্যান্য দেশ এধরনের উপজাতি/আদিবাসীদের সাথে সংঘাতে লিপ্ত হয়, তাড়িয়ে দিতে চায়, গনহত্যা চালায়। পাকিরাও সাঁওতালদের উপর গণহত্যা চালিয়েছিল। সামরিক সরকারগুলোও পাকি স্টাইলে পরিকল্পিত ভাবে গেঞ্জাম করার জন্য কিছু নোয়াখাইল্লাদের তুলে নিয়ে সেখানে স্থাপন করেছিল। কিন্তু বড় কোন অঘটন ঘটাতে পারেনি। শত উস্কানি সত্বেও উভয় পক্ষ কিছু ব্যতিক্রম বাদে একরকম শান্তিপূর্ণই ছিল।

বাঙ্গালি অনেক মহৎ হৃদয়। তাদেরকে চাকুরির কোটা দেয়া হয়েছে, ধর্মীয় স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে, অবাধ চলাচল ও বসবাস করার অধিকার দেয়া হয়েছে (অনেক দেশেই এটা দেয়া হয় না) শুধু নাম টা দিতে অসুবিধা কোথায়..?

আমরা সবাই আদিবাসী। ওরা আদিম কালচার, ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান, পোষাককে ধরে রাখতে পেরেছে, আমরা পারিনি। তফাৎ এটাই।