ম্যাডাম শেষ লাইনে এ কী লিখলেন?

কালবৈশাখী ঝড়
Published : 3 Feb 2013, 08:47 AM
Updated : 3 Feb 2013, 08:47 AM

কথিত ওয়ার্কাস রাইট, বাক স্বাধীনতা, হিউম্যান রাইটস এইসব অস্পষ্ট অযুহাতে আমরা কি পরাশক্তিকে আমাদের অর্থনীতি পঙ্গু করে দেয়ার আহবান জানাতে পারি?
বিরোধী দলের নেত্রী খালেদা জিয়া টাইমস্ ওয়াশিংটন পত্রিকায় একটি নিবন্ধ লিখেছেন। এতে বাংলাদেশের গনতন্ত্র ও অন্যান্য নিয়ে নালিশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্র কেন বাংলাদেশকে সহায়তা করছে না সেটা নিয়ে শুরু হয়েছে লেখা। ভেতরে বললেন উদ্ভট কথা।

একাত্তরে দেশটিকে অভ্যুদয়ের শুরুতেই সমর্থন ও স্বীকৃতি দিয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্র সেগুলোর অন্যতম! (দেশটি কি পাকিস্তান?) আদালতের বিচার নিয়েও প্রশ্ন তুললেন
Hasina administration in these trials, and how they are abusing them to issue death sentences to Ms. Hasina's political opponents।

(মহান! জামাতি নেতাদের অবৈধ ভাবে ফাঁসি দেয়ার জন্য হাসিনা ট্রাইবুনাল প্রভাবিত করছেন)
মানে, সেই জামাতি দাবি, টাইবুনাল বাতিল কর।

এসব কথা আমার কাছে গুরুত্ব বহন করে নাই, কেননা বিভিন্ন জনসভায় আগেও এসব বলেছিলেন।

কিন্তু শেষের দিকে ম্যাডাম এ কী বললেন?
general preferences for trade will be withdrawn if those who support workers' rights and have political views opposed to those of the prime minister are not now allowed to express their beliefs. The Western powers should consider targeted travel and other sanctions against those in the regime who undermine democracy, freedom of speech and human rights. They should say and do these things publicly, for all our citizens to see and hear. This is how the United States can ensure that its mission to democratize the world continues.

GSP সুবিধা বাতিল করে পোষাক আমদানি নিষিদ্ধ করতে আহবান জানালেন।
সুধু তাই না এ দেশীদের ট্রাভেল ব্যান পর্যন্ত চাইলেন!

আমরা কি কথিত ওয়ার্কাস রাইট, বাক স্বাধীনতা, হিউম্যান রাইটস এইসব অস্পষ্ট অযুহাতে পরাশক্তিকে আমাদের অর্থনীতি পঙ্গু করে দেয়ার আহবান জানাতে পারি?
ম্যাডাম এর আগে আরবে গিয়ে বাদশাহকে গোপনে বাংলাদেশের কর্মীদের বের করে দিয়ে ভিসা বাতিলের অনুরোধ করেছিলেন বলে গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল। কিন্তু এবার প্রকাশ্যেই লিখিত ভাবে করলেন।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড গার্মেন্টস (RMG) সেক্টর আর বিদেশে কর্মরতদের পাঠানো রেমিটেন্স। এই দুটি সেক্টরে প্রায় দুই কোটি নাগরিকের রুটিরুজি নির্ভর করে।

রাষ্ট্রক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আর কি কি করতে চান ম্যাডাম?