
পিয়াস করিম, একজন টকশো তারকা। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সাধারন অধ্যাপক, এতদিন আমেরিকায় শিক্ষকতা করেছেন, কিছুদিন আগে ফিরে এসে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগে যোগ দেন।
পিয়াস করিম পারিবারিক ভাবেই স্বাধিনতা বিরোধী বলয়ে বড় হয়েছেন। বাবা এমএ করিম ও নানা জহিরুল হক (লিল মিয়া) ছিল কুমিল্লায় শান্তি কমিটির নেতা। দালালি গুরুতর পর্যায়ে যাওয়ায় একাত্তর সালে লিল মিয়া এবং এমএ করিমের বাসায় গ্রেনেড হামলা করে মুক্তিযোদ্ধারা। মুক্তিযুদ্ধের পর এমএ করিমকে দালালির অপরাধে দালাল আইনে গ্রেফতার করা হয় এবং অনেকদিন সে কুমিল্লা কারাগারে বন্দী থাকে। এসময় ধূর্ত পিয়াস করিম তার বাবাকে বাঁচাতে ছাত্রলীগে যোগ দেয়। পরবর্তিতে যোগ দেয় বাম রাজনীতিতে। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেয়ার পর একসময় তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটিরও সদস্য ছিলেন। মুলত আনু মোহাম্মদের এই তেল-গ্যাস কমিটির ছায়াতলেই টকশো করার সুযোগ পান। এরপর থেকেই তিনি বিভিন্ন চ্যানেলের টকশো ‘র পরিচিত মূখ হয়ে ওঠেন, পরে তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির কথা ভুলেগিয়ে বিএনপি-জামাত তোষন সুরু করেন।

একজন টকশো তারকা হলেও হাইলাইটে আসেন গণজাগরণ মঞ্চের সময়ে। উলঙ্গ ভাবে যুদ্ধাপরাধ বিচার বিরোধী মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। চ্যানেল ৭১ এ যুদ্ধাপরাধী ও স্কাইপ হ্যাকারদের সাফাই গাইতে যেয়ে চরম ধরা খেয়েছিলেন শাহারিয়ার কবিরের হাতে, আর ছিলেন ছিলেন ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত। রাগে ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছিলেন পিয়াস, বললেন “আগে জানলে এখানে আসতাম না”।
শাহাবাগ গণজাগরণ তুঙ্গে থাকাকালিন জামাতি পক্ষে জনমতের বিরুদ্ধ মন্তব্য করতে থাকায় বিভিন্ন টকশোতে নাস্তানাবুদ হতে থাকেন। কয়েক মাস আগে একাত্তরের উপস্থাপক সামিয়া রহমান অধ্যাপক পিয়াস করিমকে প্রশ্ন করেছিলেন, গ্রামীণ ব্যাংকের মালিক শেয়ার হোল্ডার গরিব নারীরা কখনই লাভের অংশ পান না। তাহলে তারা ওই ব্যাংকের মালিক থাকেন কীভাবে? পিয়াস করিম সচেতনভাবে এই প্রশ্নের এড়িয়ে গেলে সাংবাদিক নাইমুল ইসলাম কিছু বলেন। এতে তার ওপর চটে বসেন, ক্ষিপ্ত হয়ে ঢাকাইয়া রিকশাওয়ালাদের মতো ঝগড়া করতে থাকেন এই অধ্যাপক। ইউনূস সাহেব তার ৮ লাখ নারী ঋণ গ্রহিতাকে গ্রামীণ ব্যাংকের মালিক বানিয়েছেন এটা নাকি একটা ফিলোসফি? নাইমুল ইসলাম কিছু বললে অধ্যাপক সাহেব ‘মিথ্যা বলছেন’ ‘মিথ্যা বলছেন’ বলে চেঁচাতে থাকেন এবং নাঈমুলকে ‘বাজে সাংবাদিক’ বলে মন্তব্য করেন। নাইমুল তার পাশে থাকলে নিশ্চিত ডঃ পিয়াস গায়ে হাত তুলতেন! এই টকশোজীবী অধ্যাপক RTV, এনটিভি, দিগন্ত চ্যানেলগুলোতে প্রায় প্রতিরাতে সরকার দলের মন্ত্রী-নেতাদের বিভিন্ন উপদেশ দিয়ে থাকেন। তাদের কাণ্ডজ্ঞান নিয়ে আলোচনা করেন। কিন্তু এই অধ্যাপক সেদিন নিজে একটি অনুষ্ঠানে যে আচরণ করেছিলেন তা শুধু দৃষ্টিকটূ নয়, অশোভনও।
গণজাগরণ মঞ্চের সময়ে। উলঙ্গ ভাবে যুদ্ধাপরাধ বিচার বিরোধী মন্তব্য করে আক্রান্ত হতে থাকেন বিভিন্ন দিক থেকে। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা হয়। গতবছর জামাত-শিবিরের বিরামহীন নাশকতার সময়কালে তার বহুতল এপার্টমেন্টের সামনের রাস্তায় একটি ককটেল ফুটলে বিএনপি-জামাত পক্ষের পত্রিকা ও চ্যানেলগুলো একে তার বাসায় বোমা হামলা বলে দাবি করতে থাকে।
এরকম অবস্থায় তার পাশে এগিয়ে আসে বিএনপি। তিনিও এগিয়ে যান বিএনপির পাশে। বিএনপি-জামাত নেতাদের সংগে জনসভায় এক মঞ্চেও উঠতে শুরু করেন ড.পিয়াস করিম। বিএনপির দলিয় সংবাদসম্মেললেও তাকে দেখা যেতে থাকে প্রায়ই। টকশো ‘র আলোচনায় সরাসরি কথা বলতে শুরু করেন বিএনপির পক্ষে। এমন আলোচনা, মঞ্চে ওঠা …নিয়ে শুভাকাংখী বুদ্ধিজীবিরা অনেকেই তাকে সতর্ক করেছেন। কিন্তু তাকে অবস্থান পরিবর্তন করতে দেখা যায়নি। হয়ত ক্রমাগত আক্রমণের মূখেও দলবাজী পরিবর্তন করতে পারেন নি। ইদানিং দূ ‘একটি অনুষ্ঠানে সামান্য কারণে অনেক বেশি উত্তেজিত হয়ে পড়ছিলেন ড.পিয়াস করিম। এটা শারীরিক কোনো সমস্যার কারণে হচ্ছিল কিনা, ঠিক জানা যায়নি।
পিয়াস করিম সাহেব এইতো মাত্র একহপ্তা আগে বিদেশে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে লবি করে গেছেন। ওয়াশিংটনে জামাতি লবির সাহায্যে বিএনপির নেতাদের উপস্থিতিতে বাংলাদেশবিরোধী সেমিনারে আযোজন করে, সেমিনারে আমন্ত্রিত মার্কিন ডিপুটি সেক্রেটারি অব স্টেট বক্তৃতার এক পর্যায়ে মৌলবাদি মিলিট্যান্ট দমনে বাংলাদেশ সফল ইত্যাদি বলতে থাকলে জবাবে পিয়াস উত্তেজিত হয়ে তীব্র ভাবে এর বিরোধিতা করেন।
মৃত ব্যক্তির নামে খারাপ কিছু বলতে নেই, তবু বলতে হয় -আমৃত্যু পিয়াস করিম রাজাকার, আলবদর ও স্বাধীনতাবিরোধীদের দালালি করে গেছেন। পিয়াস ছিলেন বাংলাদেশের এক বুদ্ধিবেশ্যা। তার মৃত্যুতে দেশ খানিকটা জঞ্জাল মুক্ত হয়েছে। এই বহুরুপি দালালকে আল্লাহ্ তার কৃত কর্মের উপযুক্ত শাস্তি দিবেন।
মুহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন বলেছেনঃ
যে যেই মতাদর্শে বিশ্বাস করে তা প্রকাশ করা অধিকার সবার রয়েছে । একজন রাজাকারের চেয়েও ভয়ন্কর হয়ে একজন দলীয় দালাল । যে কিনা ব্যক্তি স্বার্থের জন্য দেশকেও বিক্রি করতে কুন্ঠাবোধ করে না ।
কালবৈশাখী বলেছেনঃ
অসম্ভব!
সবকিছুরই একটা লিমিট আছে, বাকস্বাধীনতারও সীমাবদ্ধতা আছে।
বাকস্বাধীনতার সর্বচ্চ সুযোগপ্রাপ্ত দেশগুলোতেও যা ইচ্ছা তা বলা যায় না।
জার্মানিতে ও ইউরোপিয় দেশগুলোতে যুদ্ধাপরাধী নাৎসিদের পক্ষে প্রকাশ্যে বক্তব্য দিলে তাকে তাৎক্ষনিক গ্রেফতার করা হয়। এমনকি নাৎসি চিহ্ন দেখালেও।
যুক্তরাষ্ট্র সহ সভ্য দেশগুলোতেও বর্নবাদি বা যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে প্রকাশ্যে বক্তব্য দেয়া যায় না।
ইরান বা অন্যান্ন রক্ষনশীল দেশে এই ধরনের প্রকাশ্য দেশবিরোধী, স্বাধীনতা বিরোধী মতামত দিলে তার মৃত্যুদন্ড অবধারিত।
ইনোসেন্স বলেছেনঃ
একটু সাহস করে সত্য বলার মত লোক কয়েকজনই ছিলেন। তাদের মধ্যে অন্যতম ড. পিয়াস করিম। সত্য মিথ্যা হইতে স্পষ্টতঃই পৃথক।কেউ বুঝে কিন্তু প্রতিবাদ করে না, কিছুই বলে না যদিও বলার , প্রতিবাদ করার ক্ষমতা , সুযোগ আছে। কেউ প্রতিবাদ করে, সত্যের পক্ষে বলে – এরাই আল্লাহর নিকট অধিক পছন্দের। সবাইকে তাঁর নিকট প্রত্যাবর্তন করতে হবে। ড. পিয়াস করিম দেশ ও দেশবাসীর পক্ষ হয়ে উঁনি সত্য বলার চেষ্টা করতেন। নিশ্চয় সৃষ্টিকর্তা উঁনাকে তার জন্য পুরস্কৃত করবেন। গজা মঞ্চ নিয়ে ড. পিয়াস করিমের পর্যবেক্ষন সত্য প্রমানিত হয়েছে। গজাম এর করুন পতনই ড. পিয়াস করিমের পর্যবেক্ষন সঠিক প্রমান করে।
কালবৈশাখী বলেছেনঃ
বাংলাদেশের মত উদার দেশেই সম্ভব স্বাধীনতাবিরোধীদের পক্ষে প্রকাস্য বক্তব্য দেয়া, আদালত বিরোধী বক্তব্য দেয়া!
অন্যান্য দেশে এরকম হলে পরদিনই লাইত্থাইয়া দেশ ছাড়া করত, ইরান বা অন্যান্ন রক্ষনশীল দেশে হলে প্রকাস্যে ফাসিতে ঝুলাইত!
বাসন্ত বিষুব বলেছেনঃ
আমাদের দেশে পিয়াস করিম নতুন কোন চরিত্র ছিলেন না। কেউ এই পক্ষে আবার কেউ ঐ পক্ষে।
কালবৈশাখী বলেছেনঃ
পক্ষে-বিপক্ষে বলা হলে ব্যাপারটি হালকা করে ফেলা হয়।
একটি স্বাধীন দেশে এভাবে শত্রুপক্ষের সাফাই গাওয়া যায় না।
পিয়াস নিজে রাজাকার ছিলেন না। রাজাকার হলেও সমস্যা ছিল না।অনেক রাজাকারই প্রানের ভয়ে বিপাকে পরে রাজাকারি করেছে।
উনি রাজাকার পুত্র হলেও সমস্যা ছিল না।
মুল সমস্যা হচ্ছে উনি কট্টর ভাবে রাজাকারি আদর্শ ধারন করতেন,
অবলিলায় টকশোতে ৭১এর ঘাতক যুদ্ধাপরাধীদের সমর্থন করে বক্তব্য দিতেন। হেফাজত, হিজবুতি, তালেবান, আইএস সহ সব ধরনের কট্টর মিলিট্যান্ট গ্রুপগুলোকে প্রায় প্রকাস্যেই সমর্থন করে বক্তব্য দিতেন
বাংগাল বলেছেনঃ
সাবলীল ভাষায় চমতকার তথ্যবহুল সংগ্রহে রাখার মত একটি পোস্ট . রাজাকার জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্তই রাজাকার . যে দেশে জন্মেছে , যে দেশের আলো বাতাসে গায়ে গতরে ফ্যাস ফ্যাসে গলা নিয়ে বেড়ে উঠেছে , বিদেশে গিয়ে এমনকি দেশের মাটিতে দাঁড়িয়েও জন্মভূমির বিরোধীতা করার মত গর্হিত কাজ করে পিয়াসরা ইতিহাসের অস্তাকুড়েই থাকবে . বাংলার মাটি ওদের লাশ নিতেও লজ্জায় কুঁকড়ে যাবে .
Sent from http://bit.ly/hrFXfA
কালবৈশাখী বলেছেনঃ
যে দেশে জন্মেছে , যে দেশের আলো বাতাস খেয়ে গায়ে গতরে মোটাতাজা হয়ে ফ্যাস ফ্যাসে গলা নিয়ে বেড়ে উঠেছে ,
দেশের মাটিতে দাঁড়িয়েও জন্মভূমির বিরোধীতা করার মত গর্হিত কাজ করে পিয়াসরা ইতিহাসের অস্তাকুড়েই থাকবে।
বাংলার মাটি ওদের লাশ নিতেও লজ্জায় কুঁকড়ে যাবে!
ধন্যবাদ বাংগাল।
লীনা জাম্বিল বলেছেনঃ
তথ্যবহুল —— ঘুণা এমন মানুষগুলোর জন্য —
কালবৈশাখী বলেছেনঃ
সত্যই।
ঘুণা অব্যাহত থাকবে এমন মানুষগুলোর জন্য।
কান্টি টুটুল বলেছেনঃ
অধ্যাপক পিয়াস করিম সাধারণ মানুষের কাছে কতটা জনপ্রিয় ছিলেন এই আওয়ামী ভক্তের লেখায় তা টের পাওয়া যায়!
হা হা হা চালিয়ে যান ভাই, এইসব ছাড়া আপনাদের কিইবা করার আছে।
কালবৈশাখী বলেছেনঃ
জনপ্রিয় হলেই কি পাপিষ্টের পাপ মোচন হয়?
দেইল্লা রাজাকার, মোজাহিদ, বা সাকা … এরা কি কম জনপ্রিয় ছিল?
এদের তো অভিযোগ প্রমানিত হয়ে সর্বচ্চ শাস্তি প্রাপ্ত হয়েছে।
ইনোসেন্স বলেছেনঃ
ইহজগতে পাপ-পূর্ণের বিচার জনগনই করেন। পরকালে পাপ-পূর্ণের বিচার করবেন একমাত্র মহান সৃষ্টিকর্তাই।
কালবৈশাখী বলেছেনঃ
গনহত্যাকারি, নরহত্যাকারি, জন্মভুমির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে শত্রুপক্ষের সাথে হাত মিলানো লুন্ঠন, ধর্ষন এই সব অপরাধের জন্য পরকালে আল্লাহের আইনে কঠিন শাস্তি আছে।
ইহকালে তো আছেই।
আরীফ খান স্বাধীন বলেছেনঃ
একজন পাওয়া গেল যিনি দুরবীণ দিয়ে দেখে সত্যি কথাটা বলে ফেললেন ভাই আসুন কোলাকুলি করি আমি কিন্ত BNP (BANGLADESH NATIONALIST PARTY বা BAL (BANGLADESH AWAMI LEAGUE) করি না আমি ব্লগার আমার কোন ঈশ্বর থাকতে নেই
mnreza বলেছেনঃ
পিয়াস কি আসলেই শহীদ মিনারে সম্মানিত হওয়ার মত উপযুক্ত ব্যক্তি? কি তার অবদান? প্রতিদিন যত মানুষ মারা যাবে তাদের সবাইকে কি শহীদ মিনারে নেয়া হবে?
কালবৈশাখী বলেছেনঃ
দেশের আলো বাতাস খেয়ে, দেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে জন্মভূমির বিরোধী করা, শত্রুপক্ষ গনহত্যাকারিদের উলঙ্গ ভাবে সমর্থন করা কোন কুলাঙ্গার পবিত্র শহীদ মিনারে স্থান পেতে পারে না।
রনজু বলেছেনঃ
‘ পিয়াস ছিলেন বাংলাদেশের এক বুদ্ধিবেশ্যা ‘ সত্যি ????????
কালবৈশাখী বলেছেনঃ
গনহত্যাকারি, নরহত্যাকারি, যুদ্ধাপরাধীদের সমর্থন, জন্মভুমির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে শত্রুপক্ষের সাথে হাত মিলানো, এইসব কুলাঙ্গার অবস্যই বেশ্যার চেয়েও ঘৃনিত বুদ্ধিবেশ্যা।
আরীফ খান স্বাধীন বলেছেনঃ
মৃত ব্যক্তির নামে খারাপ কিছু বলতে নেই, তবু বলতে হয় -আমৃত্যু পিয়াস করিম রাজাকার, আলবদর ও স্বাধীনতাবিরোধীদের দালালি করে গেছেন। পিয়াস ছিলেন বাংলাদেশের এক বুদ্ধিবেশ্যা। তার মৃত্যুতে দেশ খানিকটা জঞ্জাল মুক্ত হয়েছে। এই বহুরুপি দালালকে আল্লাহ্ তার কৃত কর্মের উপযুক্ত শাস্তি দিবেন।
নিজেই তো বললেন মৃত ব্যক্তির নামে খারাপ কিছু বলতে নেই তাহলে আপনি আপনার বিবেকের বিরুদ্ধে কেন লিখেছেন এসব কথা! কার স্বার্থে এক পিয়াস করিম বিএনপির পাশে দাড়িয়েছিল বলে আওয়ামীলীগের গা জ্বালা করেছিল কেন? বিএনপি তো হাতে গোনার মত বুদ্ধিবেশ্যা আছে এটা অস্বীকার করার উপায় নেই কিন্তু আওয়ামী লীগে যে গাছের পাতার মতন বুদ্ধিবেশ্যা আছে তাদের কথাও একটু লিখুন এই দেশে যারাই নিরপেক্ষ তারাই কি বিএনপি? মানুষের মন বুঝা খুবই মুস্কিল!