বিএনপি -জামাতের ডাকা অবরোধ- আন্দোলন জোড়দার চলছে।
নেতা কর্মিরা যদিও মাঠে নেই। বোমাবাজি ও অগ্নিসংযোগ ছাড়া দৃশ্বমান কোন একটিভিটি নেই।
ফখরুলসহ ৬-৭ জন বড় 'ন্যাতা' জেলে।
বাকিরা কী করছে? মাঠে নেই কেন?
আছে, ভালই তো আছে। টিভি দেখে, ঘুরে ফিরে। বৌ-বাচ্চারাও গাড়িতে ঘোরে-ফিরে। তাদের ব্যবসা, দোকান, অফিস, কারখানা সব দেখাশোনা করছে,
তবে বলে ব্যবসা খুব মন্দা যাচ্ছে।
ঢাকায় আমার পরিচিত বিএনপির মাঝারি পর্যায়ের কিছু ব্যবসায়ী নেতারা তাদের সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রেখেছেন। তাদের সাভার, নারায়নগঞ্জের কারখানাগুলো পুরোদমে চালু রেখেছেন। প্রতিষ্ঠানের ট্রাক ও গাড়ি চালু রেখেছেন। কোন ড্রাইভার চালাতে না চাইলে তাদেরকে বেতন কাটার ভয় দেখিয়ে গাড়ি চালাতে বাধ্য করছেন, নিয়ম মত। নিজেরা অবরোধ ডেকে মানছেন না কেন? জিজ্ঞেস করলে বলে, আমরা কী করবো? সব ব্যাবসায়ীরা যা করছে আমরাও তাই করছি।
চট্টগ্রামেও বিএনপির বড় নেতা আব্দুল্লাহ্ আল নোমানেরও সকল প্রতিষ্ঠান যথারীতি খোলা এবং শ্রমিক কর্মকর্তা কর্মচারীরা নিয়মিত অফিসে যাচ্ছেন। এছাড়াও তার এবং তার স্ত্রীর মালিকানাধীন অর্ধশতাধিক কাভার্ড ভ্যান, ট্রাক, কন্টেইনার ট্রাক রাস্তায় চলাচল করছে। সূত্রমতে কয়েকজন ড্রাইভার সম্প্রতি নিরাপত্তাজনিত কারনে গাড়ি বের করতে না চাইলে তাদেরকে চাকরীর ভয় দেখিয়ে গাড়ি বের করতে বাধ্য করা হচ্ছে।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীরও সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা। সকল ফ্যাক্টরিও খোলা, কিছু কারখানা ৩ শিফটেই চলছে। হরতাল ডেকে নিজেরা ব্যবসা চালাচ্ছেন, বৌ-বাচ্চা নিয়ে গাড়ি হাঁকিয়ে বেড়াচ্ছেন!
নিজেরা অবোরোধ ডেকে নিজেরাই মানছেন না।
আন্দোলনের নামে দুচারটা টোকাই নেশাখোরের হাতে ৫-৬ শো টাকা আর পেট্রোলের বোতল ধরিয়ে দেয়া হচ্ছে।
তারা কোন প্রাইভেট কার / জিপে মারছে না। বড়লোক, ধনীদের কোনকিছু আক্রান্ত হচ্ছে না
আগুন মারছে সিএনজি তে, বাসে .. মরছে গরিব, সাধারন ……