আতংক ছড়িয়ে বিদেশি খ্যাদানোর জন্য এই সময়টা শুধু জঙ্গি বা জেএমবি-হরকত বললে কাজ হবে না। লোকাল ভাড়াটে খুনি দিয়ে দুই নিরিহ বিদেশি ফেলে দিয়ে পশ্চিমাদের মহাতঙ্ক, মোক্ষম হাতিয়ার আইএস এর নাম ব্যবহার করতে হবে। প্রত্যক্ষ ভাবে জারিত না হলেও একটি বড় দলের প্যাসিভ জরিত বা প্রত্যক্ষ সমর্থন থাকলেও খুব অবাক হবার কারন নেই। রাজনৈতিক দলের জঙ্গি ভাড়া করে হত্যা, হত্যা প্রচেষ্টার ইতিহাস নতুন কিছু না, আফগান ফেরত জঙ্গি জালালুদ্দিন, মুফতি হান্নান জঙ্গি ভাড়া করে হামলা, গ্রেনেড হামলা করার ঘটনা কারো ভুলে যাওয়ার কথা না। প্রমাণ আছে। কিছু ঘটনা আদালতেও প্রমাণ হয়েছে, হচ্ছে। আর এদের মরিয়া নিষ্ঠুরতার কথাও কারোভুলে যাওয়ার কথা না। গুপ্তহত্যা, নির্বিচারে হাজার হাজার নিরিহ বাসযাত্রী পুড়িয়ে ফায়দা হাসিলের ভয়াবহতার কথাও ভুলে যাওয়ার কথা না।
২০১২'র কথা মনে আছে? জিএসপি বাতিল করতে পশ্চিমাদের কাছে ম্যাডামের বিশাল চিঠি, আরব বাদশাহদের কাছে ভিসা বন্ধ করে বাঙালি খ্যাদানোর অনুরোধ, ইউনুসের বেপরোয়া ইমেইল আকুতি – 'কিছু একটা করেন '।
অর্থাৎ এরা লাখ লাখ আদম, দেশের ৬০ লাখ গার্মেন্টস ওয়ার্কারদের পথের ভিখারি বানাতে বিন্দুমাত্র হ্যাজিটেট না।
ইউ্নূস এখনো মরিয়া। সেদিন ইউনূসের জাতিসঙ্ঘ বিল্ডিংএ কোন কাজ ছিলনা, নিজেই বলেছেন। উনি নিউইয়র্ক -এ এক স্থান থেকে আরেক স্থানে মিটিংএ যাচ্ছিলেন পায়ে হেঁটে (বুড়া মানুষ নুিয়র্কে পায়ে হেঁটে?) যাচ্ছিলেন। পথে সমাবেশ দেখে থামেন, ইউএন বিল্ডিঙ্গের নিচের হাসিনা বিরোধি সমাবেসে বেশিরভাগ পোষ্টার-ফেষ্টুন ব্যানার ছিল নিজামি-মোজাহেদের ছবিসহ মুক্তি চেয়ে স্লোগান, এত কিছু দেখার পরও সেই সমাবেশে গেলেন, সেখানে সমকক্ষ বা বন্ধু বা পরিচিত কেউ ছিল না। এরপরও যোগ দিলেন, লোফারদের সাথে হাসিমুখে সেলফি তুললেন। এরপর আর কিছু বলা লাগে?
আতংক ছড়ানোর জন্য এই সময়টা শুধু জঙ্গি বা জেএমবি-হরকত বললে কাজ হবে না। লোকাল ভাড়াটে খুনি দিয়ে দুই নিরিহ বিদেশি ফেলে দিয়ে পশ্চিমাদের মহাতঙ্ক, মোক্ষম হাতিয়ার আইএস এর নাম ব্যবহার করতে হবে।
'সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ' অন পেমেন্টে ক্লায়েন্টের হয়ে কাজ করে, (তাদের প্রফাইলেই লেখা) বেশী পেমেন্ট দেয়া হলে বালছাল বানোয়াট সাই্ট দেখিয়ে রয়টার্সের কাছে স্ক্রিনশট পাঠিয়ে বলবে পাইছি। এসব বুঝতে বেশি পণ্ডিত হওয়া লাগে না।