রিটা কাৎজ – ‘সাইট ইন্টেলিজেন্স’ ঘটনাটা কী?

কালবৈশাখী ঝড়
Published : 28 Oct 2015, 07:07 PM
Updated : 28 Oct 2015, 07:07 PM

রিটার 'সাইট ইন্টেলিজেন্স' কি হাবিজাবি থাকে আমার তাতে আমার আগ্রহ নেই, কিন্তু রিটা কাৎজ স্বয়ং যখন বাংলাদেশের কিছু ঘটনা নিয়ে গুনে গুনে ৮ বার একক ভাবে বাংলাদেশকে নিয়ে টুইট করে, বাংলাদেশে আইএস জড়িত। নিরীহ মানুষ হত্যার অজুহাত বের করে, যুক্তি খুঁজে দেয়, তখন সেটা চিন্তার কথা। হোসাইনী দালান শিয়া মিছিলে বোমা হামলার খবর শোনার পর থেকে অপেক্ষায় ছিলাম  রিটা কাৎজ কী বলে। বার বার চোখ রাখছিলাম টুইটারে। জানি দায় স্বীকার করলে তো আইএস বাংলাদেশে না জানিয়ে এই  রিটাকেই আগে জানায়!
বিম্পি জামাতের মিলিয়ন ডলারের ভাড়াটে লবিষ্টরা এন্টি বাংলাদেশ প্রপাগান্ডার অংশ হিসেবে রিটাকে টাকার বিনিময়ে ব্যাবহার করছে। নইলে তার কি ঠ্যাকা পরেছে ঢাকার কোন চিপা গলিতে দুইটা না ৩টা পটকা ফুটেছে এইসব নিয়ে গুতাগুতি করার। যেখানে সৌদি শিয়া মসজিদে গত মাসে জোড়া আত্নঘাতি বোমা হামলায় ৯০ জন নিহত হয়েছিল, রক্ তেলাল হয়ে গেছিল মসজিদের মেঝে। পাকিস্তানে প্রতি শুক্রবারই মসজিদে বোমাহামলায় শত শত লাশ হচ্ছে। সেসব নিয়ে তো রিটার ৮ বার দূরে থাক একবারও ব্যক্তিগত টুইট করতে দেখা যায় না। আমাদের দেশটাকে অনিরাপদ প্রমাণ করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। যে করেই হোক তাদের প্রমাণ করতেই হবে যে এই দেশে তাদের স্বজাতি আল-কায়দ আর আইএস নামধারি কুকুরদের জন্ম হয়ে গেছে। তা বিশ্ববাসীকে গুলে খাওয়াতে পারলে কাদের লাভ তা সহজেই অনুমেয়।

এদেশে শিয়া-সু্ন্নির মধ্যে এমন কোন বিভেদ-আক্রোশ ছিল না যার ফলে সুন্নি সম্প্রদায়ের কেউ শিয়া সম্প্রদায়ের উপর বোমা হামলা করবে। এটা অবশ্যই রাজনৈতিক ভাবে আয়োজিত ও সংগঠিত পরিকল্পিত ঘটনা। মধ্যপ্রাচ্যে ও পাকিস্তানে এসব ঘোষনা দিয়েই এসব বোমাবাজি হয়। বুক ফুলিয়ে বলে আমরাই করেছি। সৌদি-ইয়ামেনে তো এই ইশু নিয়ে কামান বিমান নিয়ে যুদ্ধই চলছে।

বাংলাদেশে মাজার বিরোধী, পীর বিরোধী কট্টর শিয়া বিরোধী হিসেবে আছে একটি গোষ্ঠিই, সবাই জানে সেটা ওহাবি আদর্শে "মাউদুদিবাদি" জামাত। একমাত্র ফ্যাসিস্ট গোষ্ঠি, যার আছে অর্থবিত্ত ও শক্তিশালী সংগঠন, বৈদেশিক লিঙ্ক, আন্তর্জাতিক প্রচারমাধ্যম। দেশের সাধারন সুন্নিরা এসব করবে না। পারবে না। এরা বা এদের জেহাদি সমর্থকরা কদিন আগে হত্যা করেছে পীর খিজির খানকে। তার আগেও এ ধরনের কয়েকজন ভিন্নমতাবলম্বি হুজুরদের জবাই করেছে। এখন এককাঠি বাড়িয়ে একটা মাঝারি বোমাহামলা হলো। এরপর এরা পাকি স্টাইলে বড় বোমাহামলা করবে। নিশ্চিত থাকেন। আর প্রচারনার জন্য রিটারাও টুইট চালিয়ে যাবে যতদিন ডলার সাপ্লাই অব্যহত থাকে।

সর্বশেষ খবর। বিদেশি কূটনিতিকদের সুর এখন নেতিয়ে পরেছে। অস্ট্রেলিয় ফুটবল দল ও জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল এখন আসছে। বিদেশিদের চলাচলের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে নিরাপত্তাহীনতা আছে বলে মনে করে না ইউরোপিয় ইউনিয়ন ও ফ্রান্স । দুই বিদেশি হত্যার ঘটনায় তারা বলেছে, হত্যাকাণ্ডের পর তদন্ত ও সরকারের শক্ত পদক্ষেপ ইতিবাচক বলে তাদের সন্তুষ্টি জানিয়েছে। গতকাল মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র জন কারবি পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বলেন,

"আইএস বাংলাদেশে কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে কি না"- তা বলা কঠিন। এরা আইএস কি না এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলার মত কিছু নেই। এব্যাপারে বাংলাদেশই তদন্ত করবে এবং করছে।