দেশের জন্য!!!

মহি উদ্দিন
Published : 25 May 2012, 06:49 AM
Updated : 25 May 2012, 06:49 AM

একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে ১৪ দল এবং ১৮ দল দলের মাননীয় সভানেত্রী এবং দেশের সুশীলসমাজের কাছে আমার আবেদন, দেশের এত বড় ক্ষতি না করে আগামী ২০ বছর ১৪ দল ও ১৮ দল পর্যায়ক্রমে আড়াই করে ক্ষমতায় থাকবে।

এর মাঝে গণ্যমান্য এবং সুশিলসমাজকে নিয়ে দেশের যত পুরনো আইনকানুন আছে, তা পরিবর্তন করতে হবে আগামী ১০০ বছরের সময় উপযোগী করে।

আমাদের দেশে অনেক মন্ত্রণালয় আছে যা আমার মনে হয় দরকার নেই। ১০-১৫ টার মধ্য নিয়ে আসা যায় । ঠিক সেই রকম করে যতোটা মন্ত্রণালয় থাকবে, প্রতিটি রাজনৈতিক দলের ততটা উপসংঘটন ও একটি গবেষণা সেল থাকবে, যার প্রথম এবং দ্বিতীয় বেক্তি পরে মন্ত্রি হবেন। তারা নিজ নিজ দলের মধ্যে গনত্রন্ত্র ফিরিয়ে আনবেন। উপসংঘটন গুলো যারা চালাবেন তাদের অবশ্যই নির্বাচিত হতে হবে নিজ দলের মধ্যে, দুই-তিন বছরের মধ্যে একবার নির্বাচন হতে হবে। এই ২০ বছর কোন নির্বাচনের দরকার নাই। প্রথমবার যে নির্বাচন হবে, সেবার যেসব দল নির্বাচনে অংশ নিবে তারা মোট প্রদত্ত ৫% ভোট না পেলে নিজ থেকে তারা বিলুপ্ত হয়ে যাবে। আমাদের এত ছোট দেশে এত দল থাকার কোন দরকার নেই ।

উন্নয়ন পরিকল্পনাগুলো দুই দল মিলে করবেন, যা একদল শুরু করলে অন্য দল যেন বন্ধ না করে দেন। প্রতিটি মন্ত্রণালয়কে যুগউপযুগী করে নিবেন দেশের সুযোগ্য সন্তানদের নিয়ে। বিশেষ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে ঢেলে সাজাবেন এবং শিক্ষাকে কর্মউপযুগী করবেন । সরকারী এবং বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের যতো করমকরতা-কর্মচারী আছেন, তারা ওপেন রাজনীতি করতে পারবেন না। ঠিক সেইভাবে শিক্ষকরাও কোন রাজনীতি করতে পারবেন না।

এই ২০ বছর দেশের কোথাও রাস্তাঘাট, মাঠে-ময়দানে কোন মিছিল-মিটিং সমাবেশ করতে পারবেনা। যদি এগুলো করতে হয় তাহলে প্রত্যেক দলেরই থানা পর্যায়ে দুজন করে (সভাপতি,সেক্রেটারি) নিয়ে মিটিং করবেন যে কোন কমিউনিটি সেন্টার বা হলে। এই ২০ বছর দেশের সুন্দরযের জন্য বাইরে কোথাও পোষ্টার-লিফলেট ব্যানার লাগানো যাবে না । প্রতিটি বাড়ি এবং বিল্ডিং অফিস-আদালতের একটি নির্দিষ্ট এরিয়া পর্যন্ত যার যার নিজ দায়িত্বে পরিষ্কার করে রাখতে হবে। না রাখলে জরিমানার বেবস্থা রাখতে হবে ।

বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানের জন্য অফিস-আদালত, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা, অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব কিছু সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৪তার মধ্যে কাজ শেষ করবে। বাজার মার্কেট, ক্লাব এবং অন্যান্য যা কিছু আছে সব বিকেল ৫ টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে । এতে প্রত্যেক পরিবারের সদস্যরা সন্ধার আগে ঘরে ছলে আসবে, তাতে পারিবারিক বন্ধন মজবুত হবে এবং ছেলে মেয়েদের পড়া-লিখার উন্নতি হবে । সমাজ অনেক অবক্ষয় থেকে বেচে যাবে।

দেশের প্রত্যেক নাগরিকের আইডি কার্ড দিতে হবে, যা সে সব জায়গায় দেখাতে বাধ্য হয় । যেমন- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতালসহ সরকারি যেসব সুযোগ-সুবিধা নিতে হয়, সব জায়গায় কার্ড দেখাতে বাধ্য থাকবে, এমনকি বাড়িভাড়া নেয়ার সময়ও। এই কার্ডের চিপসের মধ্যে তার সিভি জমা থাকবে । এই কার্ড ভোঁটার লিস্ট হিসেবে কাজ করবে ভোটের দিন ভোট দেয়ার সাথে সাথে সার্ভার চলে যাবে এবং গণনা হয়ে যাবে ।

দেশের সবাই যারা নিজ নিজ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত, তাদের অবশ্যই দেশের জন্য কিছু করতে হবে । যেমনঃ ব্যাবসায়ীরা ব্যাবসার নিট লাভের লভ্যাংশের অন্তত ৫% দেশের উন্নয়ন এর জন্য ব্যায় করবেন । ঠিক সেই ভাবে অন্য সবাই মেধা এবং বুদ্ধি দিয়ে সাহায্য করবে । সরকারী কর্মকর্তাদের বেলায় ভাল কাজের জন্য পুরষ্কার এবং খারাপ কাজের জন্য তিরস্কার/বহিস্কার বেবস্থা থাকতে হবে । প্রতিটি মন্ত্রণালয় একটি নির্দিষ্টসংখ্যক কর্মকর্তাদের অন্য মন্ত্রণালয়ে বদলি করা যাবে না । যেমন কৃষি মন্ত্রনালয়ের সচিবকে বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ে বদলে করলে যা হয় আর কি?

পুলিশ বিভাগ এবং দুর্নীতি বিভাগকে ঢেলে সাজাতে হবে । যাতে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রি এসব কিছু থাকবে না । তাদের কাছে দেশের নাগরিক সমান থাকবে ।

ই-মেইলঃ moheuddin71@gmail.com