অত্যন্ত দু:দুঃখভারাক্রান্ত হৃদয়ে বলতে হচ্ছে সরকার বর্তমানে শিবির কর্মী ও সমর্থক মনে করে নিজের দলের কর্মী সমর্থকের সন্তানদের পরিচয় পাওয়ার পরেও তাদের রিমান্ডে ও জেল হাজতে পাঠাচ্ছে যা অত্যান্ত কষ্টকর ও নিষ্ঠুর কাজ। তেমনি ঘটনা ঘটেছে গত ১০ নভেম্বর ২০১২ তারিখে।
পূর্বে আমার ছোট্ট একটি বংশের ঘটনা তুলে ধরব, আমার দাদারা, চাচারা এবং বর্তমানে আমরা বংশের ভায়েরা প্রায় সবাই প্রত্যক্ষভাবে বেশিরভাগ পরোক্ষভাবে সবাই আওয়ামি লীগ। ২০০ হইতে ২৫০ ভোটের আমাদের বংশ। কেউ কোনদিন আওয়ামি লীগ ছাড়া অন্যদলের স্পর্শে আসে নাই সরাসরির প্রশ্নই উঠে না।
সেই বংশের ছেলে আজ শিবির কর্মী সাজিয়ে জেলে রেখেছে। আমাদের সংসদ সদস্য লিখিতভাবে পরিচয় দেওয়ার পরও মাননীয় যুগ্মসাধারণ মো মাহবুবুল আলম হানিফ সাহেব তা কর্ণপাত না করে তিনি বলেছেন ছেলে নাকি শিবিরের সহিত জড়িত।
গত ১০ নভেম্বর মিরপুর থেকে গ্রেপ্তার হওয়া শিবির কর্মীর সহিত আমার ভাতিচা গ্রেপ্তার হন। ভাতিজা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে তার এইচ এস সি পাস করা কমার্স কলেজের মেসে উঠেছিল কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে ঐ রাত্রে বাংলাদেশের পুলিশ রেট করে গ্রেপ্তার করে। মেনে নিলাম স্বাভাবিকভাবে যে জানেনা। কিন্তু যখন মাননীয় এমপি মহাশয় সারটিফাইড বা লিখিত পরিচয় দেওয়ার পরও তাকে রিমান্ড ও জেল হাজতে পাঠিয়েছে।
এমপি দু:খিত আমি এমপির প্রত্যয়নপত্র সংযোগ দিতে পারিনা।
ইচ্ছে না হলেও বলতে খুব কষ্ট হয় এই দেশ , এই সমাজ, এই পরিবর্তনের জন্যই কী বাংগালী জাতির জনক এই দেশ স্বাধীন করেছিল?