আমরা সমাজের খেটে খাওয়া মানুষের একজন। আমাদের চলার পথের অনেক ভুল ভ্রান্তি আছে। এগুলোর জন্য আমাদের ও গালি শোনার বা সংশোধন প্রয়োজন আছে এবং সুন্দর নগর উন্নয়নে আমারাও গুরুত্বপূর্ণ পারি ভুমিকা রাখতে।
নির্বাচিত প্রতিনিধি কয়েকজন,
সংগে আমরা করিব কাজ নাগরিকজন।
নয় শুধু নগর, গড়িব দেশ,
এই হোক কামনায় একমাত্র হুশ।
জনে জনে মিলে দূর করি সকল নগর জঞ্জাল,
নগর হবে স্বরগীয় , বাসের আবাসস্থল।
আমারা পুলিশকে, আমলাকে, রাজনীতিবিদকে তাঁদের আদর্শ, নৈতিকতা, চাল-চলনকে নিয়ে অনেক বাজে মন্তব্য করি। কিন্তু আমাদের নাগরিক হয়ে চলাফেরায় যে সামাজিক ভুলভ্রান্তি সেগুল মানবতা ও সামাজিকভাবে বেমানান। তার জন্য আমাদের মানবিক ও চলার পথে আইনের দিকগুল বিবেচনায় আনা অতীব গুরুত্বপূর্ণ।
আমাদের মনুষত্যের সাধারণ ভুল সাধারণত সবার চোখে পড়ে এবং এগুলোতে আমরা রাস্তাপারাপারে যারা অভ্যস্ত তারা এগুলোতে কমবেশি জড়িত।
১। রাস্তায় ঝুঁকিমুক্ত চলার জন্য ফুট ওভার ব্রিজ ব্যাবহার না করা।
২। ফুটপাত ব্যাবহার না করে জমিদারের বাচ্চার ন্যায় রাস্তার মাঝে দিয়ে চলা ঝুঁকিপূর্ণ এটা মাথায় বা কর্ণপাত না করা।
৩। মোটর সাইকেল ফুটপাতে চালান ও শব্দদূষণ।
পথচারীকে চলতে না দিয়ে যেন-তেন গাড়ী চালান। এভাবেই আমরা রাস্তা ক্রসিং করি। ছি! আমরা আবার অন্যের অন্যায়কে ঘৃণা করি কিভাবে? ফুট ওভার ব্রিজ আমারা ব্যাবহার না করার দরুন জিবনপাত ঘটতে পারে যে কোন মুহূর্তে। দেখুন যারা ব্রিজ ব্যাবহার করছে তাঁরা খারাপ, না যারা জীবন ঝুকি নিয় দুর্ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে তাঁরা। নিজ নিজ অবস্থান থেকে নিজে নিজে শুধরান ভাল হবে।
৭। এলোমেলো গাড়ী চালান ও পার্কিং করা।
৮। আইনকে শ্রদ্ধা না করা।
৯। রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশকে সহায়তা না করা।
একজন ট্রাফিক পুলিশ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তায় মানুষের সাহায্যে নিয়োজিত থাকে। একজন ট্রাফিক পুলিশ প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ ঘন্টা দায়িত্ব পালন করে থাকে।
১০। নিজে অন্যায় করে পুলিশকে নিজ উদ্যেগে ঘুষ দিতে যাওয়া।
১১। দ্রুত যাওয়ার জীবন বাজি রেখে ঝুঁকি নেওয়া কত টুকু ভাল কাজ এতে বাহাদুরির কছুই নায়।
১২। একটু সময় নিয়ে পার হলে বুঝি বড়ই ক্ষতি জীবন পাতে সমস্যা নায়!
১৩। জল পথের দৃশ্য।
এই দুরাবস্থায় না গিয়ে যদি একঘন্টা বা একদিন পরে যায় জিবনের চেয়ে কি কোন ঝুকি আছে?
একটি নিঘাত সত্য ঘটনা বলি। একদিন এক ভদ্র ব্যাক্তি জাপান থেকে দেশে এসে বন্ধুর গাড়িতে ঢাকা শহর বেড়াতে চলেছে,"আমি জাপান থেকে ঢাকায় ঘুরছি বন্ধুর গাড়ীতে, পান্থপথের একজায়গায় ট্রাফিক গাড়ী আটকাল। গাড়ীর কাগজ চেক করে ট্রাফিক গাড়ী কেস এবং রিকুইজিশন করবে। কারণ হিসেবে গাড়ীর রং পাল্টানো হয়েছে। গাড়ীর ভিতর থেকে ড্রাইভারকে ২০০০/= টাকা দিয়ে ছেড়ে দেয়ার জন্য তাগিদ গাড়ী মালিকের। জাপান ফেরত ভদ্রলোক বেকুবের মত চুপ। পরে জানাল মালিক নিকট হতে যে গাড়ী রঙ ইচ্ছে মত মনের মাধুরি মিশিয়ে পাল্টানো। কাগজ করতে গেলে অনেক খরচ ও ঝামেলা।" এখন আমার প্রশ্ন অপরাধী কে? রং করতে যদি ৫০,০০০/= বা ১০০,০০০/= যায়, কাগজ করতে ৫০,০০০/= গেলে খুব লজ। নিজেদের ফ্যাসন পরিবর্তনে মজা ও সুখ খুজে আর কাগজ করতে কারপণ্য। দেশের প্রচলিত আইঙ্কে ব্রিধাংগলি দেখান অন্যায় না?
একজন পথচারীর উচিত মানবিক দিক দিয়ে সব সময় রাস্তায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে সাহায্য করা। অন্যের নিকট থেকে চাইতে হলে নিজেকেও ঠিক দেশের দশের মংগলের জন্য মনপ্রান উজাড়, সেভাবে বিলাতে হবে নিজের মনুসত্য। দেশ গড়ার কারিগরকে যদি সবাই মিলে সহযোগিতা করতে না পারি তবে কি দেশের সর্বদা সার্বিক উন্নতি আশা করা যায়, যায়না। তাই আসুন সবাই মিলে উন্নয়নের উথে হাটি দেশ গড়ি। কাজে প্রতিবন্ধকতা হতে পারে, তবে সবাই মিলে একসঙ্গে করলে নিশ্চয় তিলোত্তমা নগরীর গড়ার লক্ষ্যে পৌঁছতে পারব। তখন বিশ্বের বুকে মানুষ বাসের অযোগ্য নগরি হবে সুন্দরতম একেকটি বাসযোগ্য নান্দনিক শহর। আর এটিই বড় সাফল্য । তা সকলের সমন্বিত কাজে হবে এই পরিস্কার পরিছন্ন একটি নগর সব শহর।
শিক্ষা নাও শিক্ষিত হও
দেশের তরে মানুষের মাঝে মনুসত্য বিলিয়ে দাও।
২০০৯ সালের নগর উন্নয়ন নীতিমালা বাস্তবায়ন না করাও একটি প্রতিবন্ধকতা।
পুনশ্চঃ ছবি কালেক্টেড ও কিছু নিজের সংগৃহীত।