গত ১১ই নভেম্বর ছিলো ফারজানা হীরনের বিয়ের তারিখ । ফারজানা ও হিরণের বিয়ের তারিখ যদিও বিয়ের আসরে ফারজানা হীরনকে যৌতুক চাওয়ার অপরাধে তালাক দেয় । আমাদের সমাজে যৌতুকের কারনে অনেক মেয়ে নির্যাতনের শিকার হয়। যৌতুকের এই বেড়াজাল হতে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে মুখোশ খুলে। ছেলে শিক্ষিত হলে যৌতুক বেশী পাওয়া য়ায এটা গর্ব না ঘৃন্যত অপরাধ। যৌতুক দেওয়া ও নেওয়া সমান অপরাধ। সমাজকে যৌতুক মুক্ত করতে হলে আমাদের যুব সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে, যৌতুকের কুফল সম্পর্কে প্রচারনা চালাতে হবে। সরকারী এবং বেসরকারী বিভিন্ন গন মাধ্যমকে এগিয়ে আসতে হবে। আমরা যদি আমাদের পরিবার,মহল্লা, গ্রামকে যৌতুক মুক্ত রাখতে পরি তাহলে আমরা আমাদের এদেশকে যৌতুক মুক্ত রাখাতে পারবো। ফারজানাদের যেন আর যৌতুকের জন্য বিয়ের আসরে তালাক দিতে না হয়। ১১ই নভেম্বরকে অনেকেই যৌতুক দিবস হিসেবে দাবী করেছেন। আমাদের দেশে অনেক দিবস আছে কিন্তু দিবসের যথাযথ মুল্যায়ন নই। ১০ই নভেম্বর গেল নুর হোসেন দিবস। কি পেলাম আমরা কি পেল নুর হোসেনের পরিবার। তাই দিবস নয়। আমরা যদি আমাদের ভিতরে মানুষ্যত্ব জাগিয়ে তুলি এবং সমাজকে সচেতন করতে পারি তাহলে যৌতুক প্রথা এমনি হ্রাস পাবে।