হীরণ ও তার ফুপুকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ঘটনার সঠিক তদন্ত না করে কাউকে বরখাস্ত করা কি ঠিক? বিয়ের আসরে কেউ কোন দিন যৌতুক দাবী করে না সে যত লোভী হোক না কেন। ফারজানার কথায় হীরণ ও তার ফুপুকে বরখাস্ত করার আগে হীরন এবং তার পরিবার সম্পর্কে জানতে হবে। হীরনের বড় ভাই তাদের বিয়েতে যৌতুক লেনদেন হয়েছে কিনা। তালাক দেওয়র পিছনে অন্য কোন কারন আছে কিনা।ফারজানা একবার বলেছে বর পক্ষ বিয়ের আগে কোন যৌতুক দাবী করেনি, আবার বলছে ১০ তারিখে হীরনের পরিবার থেকে যৌতুক দাবী করা হয়েছে। আমার মতে বর পক্ষ যদি ১০ তারিখে যৌতুক দাবী করে তাহলে ১১ তারিখে ফারজানা হীরনকে বিয়ে করল কেন। ফারজানার যদি সৎ সাহস থাকতো তাহলে যৌতুকের ব্যাপারটা হীরনকে মোবাইল করে শুনে তারপর সিদ্ধান্ত নিতে পারত। বিয়ে করে তালাক দেবার দরকার ছিলনা । এতে দুই পরিবার ও তার আত্নীয় স্বজনরা কেউ লজ্জিত হতনা।
তালাক ইসলামের শরিয়তে জায়েজ । কিন্তু তালাকে সবচেয়ে হীন ও জঘন্য কাজ বলে হাদীসে উল্লেখ্য করা হয়েছে। আর এই জঘন্য কাজ করার জন্য আমরা ফারজানাকে এ যুগের বেগম রোকেয়া বানাতে বিলম্ব করিনি। আসলে আামরা ভাল কাজের প্রসংশা করতে জানিনা এটা আমাদের দুর্ভাগ্য । আমরা জানি ফারজানা সমাজ কল্যাণে লেখাপড়া করেছেন ইডেন কলেজে। মাস্টার্সে পড়তে থাকা অবস্থায় যোগ দেন পদ্মা লাইফ ইনসুরেন্সের প্রধান শাখায় জুনিয়র অফিসার হিসেব। কিন্তু হীরন কাজ করেছে সমাজে ফারজানাদের মত মেয়েদের নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা করতে প্রথম আলোর সাথে । হীরন প্রথম আলো বরিশাল বন্ধুসভার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, কলাপাড়া বন্ধুসভার উপদেষ্টা, বরিশাল বন্ধুসভার সঙ্গীতের সুরকার এবং গীতিকার। হীরন ২০০২ সালে প্রেসিডেন্টস রোভার স্কাউট পদক প্রাপ্ত। ২০০৩ সালে বাংলাদেশের প্রথম শ্রেষ্ঠ রোভার স্কাউট হিসেবে প্রধান মন্ত্রী কর্তৃক স্বর্ণ পদক প্রাপ্ত। কলাপাড়া ছাত্রকল্যাণ সমিতি বরিশালের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। ২০০৯ সালে রিইব থেকে গণগবেষণা প্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। গণিত উৎসব, ভাষা প্রতিযোগিতার প্রথম থেকে স্বেচ্ছা সেবক। শিশুশ্রম, এসিড নিক্ষেপ, নারী নির্যাতন ইত্যাদি সামাজিক আন্দোলনের নেতৃত্ব দেয়া সহ ডিজিটাল বাংলাদেশ বিষয়ক উপজেলা টাক্সফোসের্র বর্তমানে রিসোর্স পার্সন।প্রথম আলোর বন্ধু সভার সদস্যরা কখনও সমাজ বিরোধী কাজ করেনা এটা সকলের জানা। আসুন আমরা সবাই মিলে যৌতুক বিরোধে রুখে দাড়াই যৌতুকে না বলি। যৌতুক মুক্ত সমাজ গড়ি।