গত ২৩ ফেব্রুয়ারি সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বললেন কারো বেডরুম পাহারা দেওয়া সম্ভব নয়। মাননীয় প্রাধানমন্ত্রী সরকারের পক্ষে কারো বেডরুম পাহারা দেওয়া যদি সম্ভব না হয়, তাহলে সরকার জনগনকে কোথায় পাহারা বা নিরাপত্তা দিবেন । স্কুল কলেজে, রাস্তায়, অফিসে, ঘরে বা বাহিরে কোন খানে আমরা সাধারন মানুষ নিরাপদে আছি বা আপনি নিরাপত্তা দিয়েছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতির জনক কিন্তু বেডরুমে খুন হয়েছেন। আপনজন খুন হলে কতটুকু কষ্ট বা যন্ত্রনা পেতে হয় তা কিন্তু আপনার চেয়ে বেশী কেউ জানেনা। খুনিরা খুন করে যাবে সরকার বা প্রশাসনের কি কোন কিছু করার নেই। তাহলে খুনিদের কি সরকার ও প্রশাসন ভয় পায়। আমাদের দেশের প্রশাসন দুর্বল নয় তাদেরকে দুর্বল করে রাখে আমাদের রাজনীতি নামের অপরাজনৈতীক দলগুলো তাদের সুবিধার জন্য প্রশাসনকে ব্যবহার করছে। যে দল ক্ষমতায় যায় তারাই প্রশাসনকে তাদের মত করে ব্যবহার করে। প্রশাসনকে দলীয় করনের কারনে প্রশাসনের উপর সাধারন মানুষ বিশ্বাস হারিযে ফেলেছে । অথচ আমাদের দেশের প্রশাসন বিশ্ব মানের প্রশাসন । সাংবাদিক দম্পতি খুন হওয়ার ১৯ দিন পরও খুনের তদন্তের কোন উন্নতি হয়নি। সরকার, প্রশাসন নিরব। সাগর-রুনির সহকর্মী সাংবাদিকরা আন্দোলন করছে তাদের সহকর্মী খুন হয়েছে তাই । সরকার প্রশাসন বা আমাদের তো কেউ খুন হয়নি আমারা কেন আন্দোলন করবো। যেদিন আমার আপনজন খূন হবে সেদিন আমিও আন্দোলন করবো, সরকারের পদত্যাগ চাইবো। আমরা দুঃখ কষ্ট আমার বুকে জমা থাকবে, তেমনি তদন্তর ফাইল জমা থাকবে প্রশাসনের কাছে, আমর দুঃখ কষ্ট যেমন কেউ বুঝবেনা, তেমনি প্রশাসনের তদন্তের রিপোর্ট কেউ জানবেনা। এভাবেই চলতে থাকবে আমার কান্না আর প্রশাসনের তদন্ত ।