হস্তক্ষেপে নয়, ভয়েই বাল্য বিয়ে বন্ধ!

এম.মনসুর আলী
Published : 9 Dec 2016, 01:45 AM
Updated : 9 Dec 2016, 01:45 AM

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার ইউএনও সৈয়দা নাহিদা হাবিবার হস্তক্ষেপে নয়, বরং তাঁর ভয়েই ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী রুমার (১৪) বিয়ে বন্ধ করল তার বাবা বাহলুল মিয়া। বাহলুল মিয়া উক্ত উপজেলার পাকশিমুল ইউপির বড়ই চারা গ্রামের খালেক মিয়ার ছেলে।

দেনমোহর, মেহমান সংখ্যা, যৌতুক ও স্বর্ণালংকারের কথাবার্তা, তারিখ অর্থ্যাৎ বিয়ের প্রায় সব কিছুই শেষ। বিয়ের বাজার করতে এসে স্থানীয় মেম্বার ও সচেতন লোকদের মুখে ইউএনও সৈয়দা নাহিদা হাবিবার বাল্য বিয়ে সম্পর্কে কঠিন ও কঠোরনীতির কথা শুনে জেল জরিমাণার ভয়ে রুমার বাবা বাহলুল মিয়া তরিঘড়ি করে রুমানার বিয়ে বন্ধ করে দেয়।

কারণ এলাকার সুশীল সমাজ থেকে শুরু করে কৃষক, জেলে কামার-কুমার সবাই এতদিনে জেনে গেছে যেখানেই বাল্যবিয়ে সেখানেই এই নীতিবান ইউএনও'র হস্তক্ষেপ। তাঁর চেষ্টা ও হস্তক্ষেপে সরাইল উপজেলার প্রায় ৯৯ ভাগ বাল্য বিয়ে মুক্ত। বাংলাদেশের প্রতিটি উপজেলার শ্রদ্ধেয় ইউএনও'দের শুধু হস্তক্ষেপে নয়, নাম শুনেই ভয়ে বাল্যবিয়ে বন্ধ হোক, এমনটাই আমাদের চাওয়া ও প্রত্যাশা। তাহলেই আমরা একদিন বাল্যবিয়ে মুক্ত বাংলাদেশ পাব।

এম.মনসুর আলী
অরুয়াইল বাজার, সরাইল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
monsor.eza@gmail.com