বিএনপির সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইলয়াস আলীর রহস্যজনক নিখোজেঁর পর থেকে হরতালের সংস্কৃতিতে ফিরে গিয়েছিল দেশ। কঠোর কর্মসূচীর নামের নামে কয়েক দফা হরতাল পালন করে দলটি। দেশবাসী যখন আবারো হরতালের আশংকায় দিন পার করছিলেন তখন হঠাৎ করেই একটি বিরতি এলো। বিরোধী দল সংবাদ সম্মেলন করে জানায় কয়েকজন বিদেশী অতিথির আগমনের কারণে তরা হরতালে সাময়িক বিরতি দিচ্ছেন। দেশবাসী নি:সন্দেহে খুশী হয়েছেন বিরোধী দলের এই সিদ্ধান্তে। শুধু হরতালের বিরতির কারণে নয়, বিদেশী অতিথিদের সম্মানে এই বিরতি এলো। অতীতে আমরা অনেকবার বিদেশী অতিথিদের বাংলাদেশে আগমনের সময় হরতাল দেখেছি।
হাই প্রোপাইল অতিথিরা ফিরে গেছেন রোববার। ওই দিনই বিরোধী দলের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে কঠোর কর্মসূচী ঘোষণার কথা ছিল। কিন্তু হরতালের পরিবর্তে আমরা বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা পেয়েছি। নি:সন্দেহে হরতাল না আসায় সাধারন মানুষ খুশী হযেছেন।
"আবার আরেকটি প্রশ্নও এসেছে। হরতাল না দেওয়াটা হিলারীর সফরের প্রভাব নয়তো?"
এই প্রশ্নটি স্বাভাবিক। কারণ হিলারী ক্লিনটন সরকারী এবং বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলার সময় হরতাল ধর্মঘট বাদ দিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানের কথা বলেছেন বলে হিলারী নিজেই সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন।
বিরোধী দল কী হিলারীর পরামর্শ মেনে নিলো? সরকারী দল কী আলোচনার পথ বেছে নেবে? এই প্রশ্ন এখন সবার মধ্যে ফিরছে। উত্তর এখনো পাওয়া যায়নি কোন দলের কাছ থেকেই।
এখন অপেক্ষা এই বিরতি কতদিন থাকে?