বেসিক ডিউটি আগে, না ওভারটাইম আগে?

স্বশিক্ষিত ভদ্রলোক
Published : 22 May 2016, 03:00 AM
Updated : 22 May 2016, 03:00 AM

প্রত্যেকটা সমাপনি পরীক্ষায় একটা ঐচ্ছিক বিষয় থাকে, যাতে উত্তীর্ণ না হলেও মূল বিষয়গুলোতে উত্তীর্ণ হতে পারলে পরীক্ষার্থী সামগ্রিকভাবে সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে যায়। কিন্তু যদি মূল বিষয়ের কোনো একটাতেও উত্তীর্ণ হতে না পারে, তখন ঐচ্ছিক বিষয়ে যত ভালো নম্বরই আসুক না কেন; পুরো পরিক্ষার ফলাফল শূন্য। পরীক্ষার্থী অকৃতকার্যের তালিকায় চলে যায়!

ঐচ্ছিক বিষয়ের একটা লাভজনক দিক হলো, তাতে ভালো নম্বর অর্জন করতে পারলে মূল বিষয়গুলোর নম্বরের ঘাটতি পূরণ করা যায়, এবং ফলাফলে কাঙ্ক্ষিত স্থান পাওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক হয়। কিন্তু যেহেতু বিষয়টা ঐচ্ছিক, তাই এমনকি সেটি দেয়া না হলেও শুধু এর কারনে অকৃতকার্য হিসেবে গণ্য হবেনা।

ইসলাম ধর্মের ফরজ, ওয়াজিব এবং কোনো কোনো সুন্নত বিষয়গুলো বাধ্যতামূলক, পালন করতেই হবে! নফল এবং কিছু সুন্নত ঐচ্ছিক, পালন করলে ভালো, করতে না পারলে কৈফিয়ত চাওয়া হবেনা।

'শব-ই বরাত' এবং 'শব-ই ক্কদর' সহ বিশেষ কিছু রাত্রি আছে যে রাত্রিগুলোতে এবাদাত করলে বিশেষ সওয়াব পাওয়া যায়। যা যথাক্রমে সুন্নত এবং নফল। যদি কেও ঐ রাত্রিগুলোতে বাড়তি কোনো এবাদাত না করে স্রেফ ঘুমিয়ে কাটায়, তাতে তাঁর খাতায় কোনো গুনাহ লেখা হবেনা। কিন্তু সে যদি ঐ রাত্রিগুলোয় সারারাত তাহাজ্জুদ, কোরআন তেলাওয়াত, জিকির-আজকার ইত্যাদি করে কাটিয়ে দেয়, কিন্তু রাত্রির শুরুতে মাগরিব, এশা এবং রাত্রিশেষে ফজরের নামাজ- এর কোনো একটাও পালনে ব্যার্থ হয়, তাঁর হিসেবের খাতায় সওয়াবের চেয়ে গুনাহ বেশি লেখা হবে!

আমরা অনেকেই সারাবছর ঠিকমতো নামাজ আদায় করতে পারিনা, কিন্তু এই বিশেষ রাত্রিগুলোয় চেষ্টা করি সৃষ্টিকর্তার আরাধনা একটু বেশি করে করবার, এবং তাঁর সান্নিধ্য একটু বেশি করে পাবার। তাঁদের উদ্দেশ্যে এই কথাগুলো বলা। আমারা যদি রাত্রির শুরুটা মাগরিব দিয়ে করি এবং রীতিমত এশা আদায় করে ফজর দিয়ে শেষ করি; সারারাত আর কোনো এবাদাত না'করতে পারলেও ঐ রাত্রির আমলনামায় আমরা কৃতকার্য হিসেবে গণ্য হব! আল্লাহ্‌ সুব্‌হানাওয়া তা'আলা আমাদের সবাইকে আমল করার তৌফিক দান করুন।

নামাজ আমরণ পাঁচ ওয়াক্তই ফরজ…

~~~মর্তুজা~~~
২২-০৫-২০১৬ খৃঃ