একটি বাস্তব ঘটনা। গত কয়েক মাসে সিংগাপুর থেকে এসেছি। অনেক দিনের আশা এবার কিছু একটা করবো। সেই ক্লাশ সি সিক্স থেকে একসাথে পড়ালেখা করা। একসাথে প্রাইভেট পড়া। আরো কত্ত কি। শুধু মুখফুটে বলার অভাব আমি তোমায় ভালবাসি। প্রতি মূহুর্ত মনে হয় এবার বলবো, বলবোই, কিন্তু কেন জানি কাছে গিয়ে আর বলতে পারি না। আবার বার বার মনে হয়, সেওতো আমায় ভালবাসে তবে সে বলে না কেন? ও আমাকে আগে বলবে। এভাবেই দিনের পর দিন, মাসের পর মাস চলে যায়। মাঝখানে ভাল বন্ধুত্বের পরিচয়ে চলে আমার টেলিকথোপকথন। কথার মাঝে বয়ে চলে প্রেমের ভাব। কেউ কাউকে বলা হয়ে ওঠে না। সে এখনও আমাকে ভালবাসে আমার বিশ্বাস। তাইতো আজ ভেবেছি। এবার বিশেষ থেকে গিয়ে মনের না বলা কথা বলবো সাহস সঞ্চার করে। একদিন দুদিন তার সাথে ডেটিং করা শেষ তবু কেন জানি বলতে পারছি না। সেও আমাকে বলছে না কেন? তার কথায়, ভাষায় চলনে-বলনে তো আমায় ভালবাসার যথেষ্ট প্রমাণ মেলে। তবে কেন বলে না। আমি তোমায় ভালবাসি। কথাটার মাঝে কি এমন আছে যে আমরা কেউ তা বলতে পারছি না। আসলে সত্যিকার ভালবাসার মাঝে এমন এক দ্বিধাদ্বন্দ্ব কাজ করে তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না এতো সহজে। ভালবাসার আবেগে যেন তার জন্য জীবনটাই বিলিয়ে দিতে কোন ভয় নেই। নিজের সঞ্জিত অর্থ দিতে নেই কোন সংশয়। মনের গহীনে তিল তিল করে গড়ে ওঠা ভালবাসার মানুষটির জন্য সবকিছু্তেই রাজি। সেই ভালবাসার মানুষটি যখন চাই যে, তার জীবনে স্বাবলম্বি হতে চাই। নিজ পায়ে দাঁড়াতে চায়। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই সে এমএলএম কোম্পানী ডেসটিনিতে যোগ দিয়েছে। এখন শুধু তার ইচ্ছা গ্রাহক বাড়ানোর মাধ্যমে নিজের জায়গা করে নেয়া। তাইতো সে আমার যখন বলে তার কিছু টাকা প্রয়োজন, যার মাধ্যমে অল্প সময়ে প্রতিষ্ঠিত হওয়া যাবে। এখনও বলতে পারিনি সে না বলা কথাটি। তবুও ভালবাসার মানুষ বলে কথা। তার কথা মতো প্রথমে ষাট হাজার টাকা দিলাম শেয়ার ক্রয়ের জন্য। এর পর আবার আমার ভাইবোনদের গ্রাহক বানালাম নিজের অর্থ দিয়ে এতে গেল ত্রিশ হাজার। আর শেষ কিছু ঘটনা জানার পূব মুহূর্তে দিলাম বিশ হাজার টাকা।
আসলে আজকের মিডিয়া জগত কতটা সচেতন তা বলা যাবে না। মানুষ ঠকার আগেই বলে দেয় মিডিয়া আপনারা এ পথে পা বাড়াবেন না। তবু সেই পথেই চল। আমি বিদেশ থাকতেই একবার খবরে জানতে পেরেছিলাম এমএলএম সম্পর্কে। তবু দেশে এসে সেই এমএলএম এ ভালাবাসার মানুষের কথায় ফেসে গেলাম। বুঝে গেলাম ভালবাসার মূল্য এমএলএম এ এসে মিছে গেছে। এমএলএম কোম্পানীতে যোগ দেয়ার পর গ্রাহক সংগ্রহের এক পর্যায় সে ভালবাসার ফাদে গ্রাহক সংগ্রহের কাজে নিজেকে প্রকৃত ভালাবাসার মানুষ আর রাখতে পারেনি। তা বুঝে গেলাম তার অফিসে চাক্ষুস প্রমাণ দেখে। সেদিনের ঘটনার প্রকৃত দুচোখ আর ঠিক থাকতে পারে না। ওকে আজও আমার ভালবাসার কথা বলা হয়নি। ভেবেছিলাম বিদেশের সঞ্চিত অর্থ দিয়ে ওকে বিয়ে করে সুখে ঘর করবো। তার এ পরিণতি দেখে আমার মাথা আর ঠিক রাখতে পারলাম না। নেশা করা শুরু করলাম। তবু ওকে কিছু বুঝতে দিলাম না। এর মাঝে যে টাকা গুলো দিয়েছি সেগুলোর ও কোন খবর নেই। তাইতো নিরবে নিভৃতে ঝরে পরার আগে আবার পারি জমালাম সিংগাপুর। এইতো হলো বাংলাদেশের এমএলএম কোম্পানী, ভালবাসা হারালাম, ভালবাসার মানুষ হারালাম, হারালাম জমানো টাকা। সবকিছু হারিয়ে আজ বিদেশে বড় একা।
খুজে পাওয়া হিরা বলেছেনঃ
এত দ্রুত সব কিছু করলেন কী ভাবে? মিডিয়া যে ভাবে এই এম এল এম এর পিছে লাগছে কয়েক দিন পর দেখবেন ছিনতাইকারী আর পকেটমারের জন্য ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। নাই মামার চাইতে কানা মামা ভাল। মানুষ করবে টা কী? ঢাকা শহরে বাড়ি ভাড়া করে যারা থাকেন তারা বুঝেন 10000 টাকায় তার কী হয়। তাও 10000 টাকার চাকরির জন্য লাগে 100000 টাকা গুস। আর প্রাইভেট ফার্ম গুলো তো মানুষ কে মানুষ বলে মনে করেন না। এত কিছুর মধ্যেও আমাদের এই বেচে থাকা। এর এই ভাবে যদি একটার পর একটা এম এল এম কোম্পানী যদি বন্ধ হতে থাকে জানি না দেশের এত বড় বেকার জনো গষ্টি কে বাস্ত রাখবেন কী ভাবে এটাই চিন্তার বিষয়। তবে এটা বলতে পরী নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কোম্পানী গুলোর বদনামের পিছনে ডেসটিনি এক নম্বর দাই। তারি দেখানো রাস্তায় সে নিজেই ফেসে গেছে।
ওয়াসেক বলেছেনঃ
আপনার কথাগুলো সঠিক বলে ধরে নিলাম। আপনার DIN number/CID number বলুন। এক ঘনটার ভিতর আপনার সকল হতাশা (টাকা পয়সার বিষয়ে) সঠিক কিনা জানিয়ে দিব। অথবা নিজে যে কোন অফিসে গিয়ে DIN number/CID number দিয়ে হতাশা দূর করুন।
ওয়াসেক বলেছেনঃ
নুতন লিখা পোষট করছেন‚ কিনতু এখানে কোন reply নেই যে!!! আপনার লিখাটি বানোয়াট বলে ধরে নিব কি?
পারভেজ শামীম বলেছেনঃ
Dear, for my blindness Love I give him for her requirement. But I don’t want to know about DIN number/CID number.
পারভেজ শামীম বলেছেনঃ
ওয়াসেফ ভাই, একটু লক্ষ্য করলেই দেখবেন যে, ‘‘এমএমএল কোম্পানীর কারণে’’ লেখাটির শেষে আছে আমি এখন বিদেশ (সিংগাপুর) বড় একা। আর লেখক ভাইয়ের অবস্থান ঢাকা অর্থাৎ বাংলাদেশ। পোষ্টটিতে বিন্দুমাত্র কোন চাপা/মিথ্য/বানোয়াট কিছু লেখা নেই। একটি বাস্তব জীবনের ঘটনা লেখকের নিজের মত করে উপস্থাপন করা হয়েছে। ঘটনার নায়ক ৭-৮ মাস আগে দেশে এসে কয়েক ধাপে টাকাগুলো দেন। এর মাঝে একদিন হঠাৎ মেয়েটির অফিসে গিয়ে তার ব্যক্তিগত ক্যারিয়ার গরার অন্যরকম রহস্য জানতে পেরে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পরেন এবং গত মে ২০১২ মাসে আবার বিদেশ পারি জমান। তার প্রকৃত ভালবাসার মাঝে যে গুন ধরেছে তার আর ফেরত পাওয়া যাবে না। তবে আপনি যদি টাকা গুলো উদ্ধারের ১০০ ভাগ গ্যারান্টি দিতে পারেন, তবে সমস্ত ঠিকানা আপনাকে জানানো হবে।
ওয়াসেক বলেছেনঃ
আপনার প্রিয়তমা আপনাকে বাইপাস করেছে। দুঃখজনক। আপনার প্রিয়তমা যে এলাকায় থাকে ঐ এলাকার গীবতও গান না কেন? মগজটা একটু খাটান। দোষ কার যাচাই করুন। ডেসটিনিকে জিগগেস করে আপনি প্রেমে পড়েন নাই। প্রেমিকার 14 জেনারেশন উদধার করেন‚ ডেসটিনির নয়। ডেসটিনি অনলাইন। যে কোন দেশেই থাকুন না কেন আপনার হতাশার বিষয়ে নিশচিত হওয়া যায়।
ডেসটিনির কাগজপএ যদি আপনার নিকট থেকে থাকে তবে নিশচিত থাকুন আপনি প্রতারিত হননি। কোন ডকুমেনট ছাড়া আপনার দাবী অসাড়।
পুণরায় বলছি যদি আপনি সঠিক হন তবে আপনার অবশশই একটি DIN number/CID number থাকবে। যদি না থাকে তবে ঘটনাটি আপনার মনগড়া।
কারো কোন ঠিকানার প্রয়োজন নেই‚ আপনার DIN number/CID number–ই বলে দিবে আপনার ততথ সঠিক কিনা। আপনার সাথে পরবরতি কথা হবে যদি DIN number/CID number দিতে পারেন।
ভালো থাকুন।
তানভির-- আজব দেশের বাসিন্দা বলেছেনঃ
আনির্বাণ ভাই, আপনার প্রেমিকা যে ধর্মের সে ধর্মকেও আশা করি কিছুদিনের মধ্যে দোষারোপ করা শুরু করবেন ? অর্থাৎ আপনার নিজের ধর্মকেও আপনি দোষারোপ করা শুরু করবেন । এর কারন কি জানেন ? আপনার মগজের কোনো ব্যবহার না করা । আপনার প্রেমিকা ডেসটিনির কথা বলে প্রতারণা করেছে । তাই ডেসটিনির দোষ হয়ে গেল ? আপনি সিঙ্গাপুরে থেকে বেকুবের মত ব্লগে লিখছেন । তাহলে কি আমি সিঙ্গাপুরের সবাইকে অথবা সিঙ্গাপুরকেই বেকুবের আস্তানা বলে ধরে নিব ? অবশ্যই না । কারন, সমস্যা আপনার মধ্যে, সিঙ্গাপুরের না । সমস্যা আপনার প্রেমিকার মধ্যে, ডেসটিনিতে না । আর আপনার প্রেমিকা যদি ডেসটিনিতে আপনার নামে আসলেই শেয়ার ক্রয় করে থাকে তাহলে তা এখনো আছে । এবং আপনার বিনিয়োগ এখন লাভজনক অবস্থানে আছে । আপনার সিআইডি/DIN সহ আমাদের সাথেও যোগাযোগ করতে পারেন । কয়েক মিনিটের মধ্যে সমাধান করে দেয়া হবে । প্লিজ, মাথাটাকে কাজে লাগান …